সম্পর্ক সুদৃঢ় করার সুযোগ দেখছে ঢাকা

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র আমন্ত্রণে আগামী ২০-২৪ জানুয়ারি বেইজিং সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এটাই হতে যাচ্ছে কোনো দেশে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় এবং গভীর করতে এই সফর বড় সুযোগ বলে মনে করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ অভিমত ব্যক্ত করেন। মিস্টার আলম বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর হিসেবে বেইজিং-যাত্রা নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  সফরকালে উপদেষ্টা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে। 
মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ও চীন ২০২৫ সালে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করতে চলেছে। এ লক্ষ্যে উভয় দেশ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ সফরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপনের শুভ সূচনা হবে। এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়নকল্পে  দুই দেশের মধ্যে  অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি কৃষি, শিক্ষা, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান প্রভৃতি ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। উপদেষ্টার সফরে বাণিজ্য ভারসাম্য আনার চেষ্টার পাশাপাশি দেশটি থেকে বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার কথা জানান মুখপাত্র। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাৎসরিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যদিও এই বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের পক্ষে অনুকূল নয়। এই সফরে বাণিজ্য ভারসাম্য পুনর্গঠনের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সফরকালে উপদেষ্টা বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে  সাংহাই-এর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে জানানো হয়।