অনলাইন
ভারতীয় জেলেদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কূটনৈতিক রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৯ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
সদ্য মুক্ত এবং ফেরত ভারতীয় জেলেদের উপর শারীরিক নির্যাতনসহ দুর্ব্যবহারের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট বলে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভারতীয় জেলেদের ওপর নির্যাতনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে ঢাকা চরমভাবে হতাশ হয়েছে। গভীর হতাশা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আস্থা, সদিচ্ছা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, কোনও অবস্থাতেই আটক জেলেদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে এই ধরনের দুর্ব্যবহার বা শারীরিক নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশ উল্লেখ করতে চায় যে, আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলে/ক্রু সদস্যের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানকালে যথাযথ আচরণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেয়া হয়, যারা আটকের সময় জেলেদের সাথে দেখা করেন। ২রা জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ভারতীয় জেলেদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার সময় এবং ৪ঠা জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মংলা থেকে জেলেদের যাত্রার সময় ভারতীয় কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো সমস্ত ভারতীয় জেলেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে নিশ্চিত করে যে তারা চিকিৎসাগতভাবে সুস্থ আছেন। সমুদ্র সীমান্তের দিকে তাদের যাত্রার সময়, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ সকল প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং ব্যবস্থা প্রদান করে। বিবৃতি মতে, জেলেদের পারস্পরিক প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ভারত সরকারের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলকভাবে মানবিক সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে। বাংলাদেশ সকল পক্ষকে এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা এড়াতে আহ্বান জানিয়েছে যা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
উল্লেখ্য, ভারতে আটক ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে/ক্রু এবং বাংলাদেশে আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলে/ক্রুকে ৫ই জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমান্তরেখার কাছে সফলভাবে প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য বিভাগ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে/ক্রু সদস্যকে গ্রহণ করে এবং ৯৫ জন ভারতীয় জেলে/ক্রু সদস্যকে ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে। একই সাথে, আটককৃত জাহাজের বিনিময় সম্পন্ন হয়, দুটি বাংলাদেশি মাছ ধরার জাহাজ, "এফভি লায়লা-২" এবং "এফভি মেঘনা-৫", বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়, এবং ছয়টি ভারতীয় মাছ ধরার নৌকা ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।
আমার মাথায় আসে না যে, ভারতের প্রতিটা কথার উত্তর আমাদের দিতে হবে কেন? উক্ত জেলেরা দুর্বৃত্ত এবং আমাদের জলসীমায় চুরির দায়ে আটক হয়েছিল এবং তাদের মুক্ত করতে ভারতীয় বাহিনী একটা নোংরা পথ অবলম্বন করেছিল এবং আমরা সেটা মেনেও নিলাম। এখন অভিযোগ করা হচ্ছে তাদের পেটানো হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, তাদেরকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে আদালতে বিচার করা উচিত ছিল। পাশাপাশি, ভারতীয় বাহিনীর অবৈধ কাজের জন্য তাদেরও আন্তর্জাতিক অপরাধের দায়ে মামলা করা যেত। এক্ষেত্রে, জেলেদের মারা/পিটানো অভিযোগের উত্তর দেওয়ার কোন প্রয়োজন নাই। বরং উভয়ই তথা জেলেরা এবং ভারতীয় বাহিনী অপরাধ করেছে সেটা ফলাও করে প্রচার করা- নিজের সাফাই গাওয়া না। আমাদের পররাষ্ট্র দপ্তর মনমানসিকতায় দাসত্ব থেকে কবে বের হতে পারবে একমাত্র আল্লাহই বলতে পারেন।
জল সীমানায় ভারতীয় অপকর্ম ঢাকতেই এ অপবাদ দেয়া হচ্ছে। বরং তারা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশের জেলেদের আটক করেছিলো,যা নিন্দনীয়!!