ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ রজব ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

মাঠের অভিজ্ঞতা না থাকলেও হতে পারবেন ডিসি

অনলাইন ডেস্ক

(২ সপ্তাহ আগে) ৯ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:১৮ অপরাহ্ন

mzamin

সমকাল

‘মাঠের অভিজ্ঞতা না থাকলেও হতে পারবেন ডিসি’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে নিয়োগে ফের ফিটলিস্ট হচ্ছে। নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে চার মাস পরই নতুন তালিকা করার উদ্যোগ নেওয়া হলো। তবে এবারও শর্ত শিথিল থাকছে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে কাজ না করলেও ডিসি হতে পারবেন। কিন্তু ইকোনমিক ক্যাডার থেকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হওয়া কর্মকর্তারা ওই দুই পদে কাজ না করে ডিসি হতে পারবেন না। এ ছাড়া লিয়েনে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের লিয়েনের মেয়াদ ছয় মাসের বেশি, তারা ফিটলিস্টে অন্তর্ভুক্ত হবেন না।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই এমন কর্মকর্তাদের ডিসি নিয়োগ দিলে সঠিকভাবে কাজ করতে পারবেন কিনা– এ প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিসি হতে হলে মাঠের কাজের ধরন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে অল্প সময়ের ব্যবধানেই ডিসি ফিটলিস্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন তালিকার জন্য আগামী শনিবার ২৫ জন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। তবে এ তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের একান্ত সচিব সানোয়ার হোসেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি (নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ওবায়দুর রহমান সমকালকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে অনেক যোগ্য কর্মকর্তা পদবঞ্চিত ছিলেন। ফলে অনেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে দুই বছর কাজ করার সুযোগ পাননি। এ জন্য মাঠ প্রশাসনের এসব পদে দুই বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা ছাড়াই ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ তালিকাতেও এ শর্ত শিথিল করা হয়েছিল। আগামী ডিসি ফিটলিস্ট না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, ইউএনও-এডিসি না হলে ডিসি হিসেবে সঠিকভাবে কাজ করা কঠিন হতে পারে। কারণ, মাঠের কাজের ধরন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, শুধু ইকোনমিক ক্যাডারের জন্য নয়, প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্যও মাঠ প্রশাসনের অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। সরকার প্রয়োজন মনে করলে লিয়েনে থাকা কর্মকর্তাদেরও যে কোনো সময় কাজে লাগাতে পারে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন কর্মচারীদের পদায়ন নীতিমালা-২০২২-এ বলা হয়েছে, ডিসি ফিটলিস্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক, এডিসি, জেলা পরিষদের সচিব, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউএনও উভয় পদে মোট ন্যূনতম দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী শনিবার ডিসি ফিটলিস্টের কার্যক্রম শুরু হবে। নতুন তালিকা তৈরির জন্য ওই দিন সকাল ১০টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। তবে যারা এই তালিকাভুক্ত হতে ইচ্ছুক নন, তাদের এ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। এ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত এক দিন পরপর চলমান থাকবে। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৫, ২৭ ও ২৮তম ব্যাচের যোগ্য কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এ তালিকা তৈরি করা হবে।

ডিসি হওয়ার দৌড়ে তিন ব্যাচের ৫০৯ কর্মকর্তা

নতুন ডিসি ফিটলিস্টের জন্য প্রশাসন ও পূর্বতন ইকোনমিক ক্যাডারের বিবেচিত কর্মকর্তা রয়েছেন ৫০৯ জন। এর মধ্যে আছেন ২৫তম ব্যাচের ১৩৪ জন, ২৭তম ব্যাচের ২০৫ জন এবং ২৮তম ব্যাচের ১৫৮ জন। তবে ২৫তম ব্যাচের ৪২ জন ও ২৭তম ব্যাচের ৩০ জন কর্মকর্তা আগে ডিসি পদে নিয়োগ পেয়েছেন।

সর্বশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর ডিসি নিয়োগের ফিটলিস্ট তৈরি করা হয়। এ লিস্টে মোট কর্মকর্তা ছিলেন ১০৬ জন। এর মধ্যে ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৬১ জন। তদন্ত প্রতিবেদন নেতিবাচক হওয়ায় বাকি কর্মকর্তাদের কেউ নিয়োগ পাননি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ফিটলিস্টভুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ডিসি হিসেবে নিয়োগ হননি, তাদের মধ্যে কয়েকজনের তদন্ত প্রতিবেদন ইতিবাচক ছিল। তবে নেতিবাচক প্রতিবেদনের কথা বলে দ্রুত নতুন তালিকা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও আবার আওয়ামী লীগ আমলের সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়েছে।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘পুলিশের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র চান না ডিসিরা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের হাতে চায়নিজ রাইফেল, সাব মেশিনগান (এসএমজি), ৯ এমএম পিস্তলের মতো প্রাণঘাতী অস্ত্র না রাখার প্রস্তাব এসেছে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পক্ষ থেকে। কেউ কেউ শটগান ও ছররা গুলির ব্যবহার বন্ধের প্রস্তাবও দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তাবগুলো জমা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুরু হবে তিন দিনের ডিসি সম্মেলন।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হবে প্রথম ডিসি সম্মেলন। প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনের আগে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছ থেকে নানা বিষয়ে প্রস্তাব চায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এবারও চাওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এবারের ডিসি সম্মেলন সামনে রেখে তিন শতাধিক প্রস্তাব পাওয়া গেছে। প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। তার মধ্যে কিছু প্রস্তাব পুলিশ-সংশ্লিষ্ট। প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ ছাড়াও জেলা পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা চাওয়া হয়েছে ডিসিদের পক্ষ থেকে।

সাতক্ষীরার ডিসি মোস্তাক আহমেদ প্রস্তাবে লিখেছেন, জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ডিসি। উপজেলা পর্যায়ে সভাপতি থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ডিসি ও ইউএনওদের কোনো দাপ্তরিক নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টি ডিসি ও ইউএনওদের নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।

প্রাণঘাতী অস্ত্র

পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারটি আলোচনায় এসেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে। সরকারের প্রাথমিক হিসাবে, এই অভ্যুত্থানে ৮২৬ জন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভ দমনে নির্বিচার প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। যদিও বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে লাঠিপেটা, গরম পানি, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ এবং শটগানের ছররা গুলির মতো অস্ত্রের ব্যবহারের চেয়ে বেশি বলপ্রয়োগের কথা নয়।

‘১৭৫ মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ: নিহত ৭৮ শতাংশের শরীরে প্রাণঘাতী গুলির ক্ষত’ শিরোনামে গত ২ আগস্ট এক প্রতিবেদনে প্রথম আলো জানিয়েছিল, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের বেশির ভাগের শরীরে গুলির চিহ্ন ছিল একটি। কারও কারও ক্ষেত্রে দুটি চিহ্নও দেখেছেন স্বজনেরা। মানে হলো, এসব গুলি প্রাণঘাতী ছিল।

ছররা গুলিতেও মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ শহীদ হয়েছেন পুলিশের ছররা গুলিতে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। নতুন সরকার নানা খাতে সংস্কারের জন্য ১১টি কমিশন করেছে, যার একটি পুলিশ সংস্কার কমিশন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ডিসিদের পক্ষ থেকে পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার-সংক্রান্ত প্রস্তাব এল।

প্রাণঘাতী ও ছররা গুলি নিয়ে প্রস্তাব দেন সিলেটের ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। তিনি প্রস্তাবে উল্লেখ করেছেন, জনবিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাণঘাতী অস্ত্র ও ছররা গুলি নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে ছররা গুলিও মানবদেহে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

যুগান্তর

‘অপার মুগ্ধতায় খালেদা জিয়া’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, এ এক অবিস্মরণীয় দিন। বাংলাদেশ থেকে ৮ হাজার কিলোমিটার দূরে লন্ডনে সূর্যের ঝলমলে আলোয় উদ্ভাসিত সকাল। ঘড়ির কাঁটায় তখন যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিট। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বহনকারী উড়োজাহাজটি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে আগে থেকেই মা খালেদা জিয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান। সাত বছর পর মায়ের সঙ্গে দেখা হবে, সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় থাকা তারেক রহমান ছিলেন অনেক হাস্যোজ্জ্বল। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মাকে কাছে পান তিনি। তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে মাকে দেখেই কাছে গিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়। মা-ছেলের এ মধুর মুহূর্ত এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে।

দীর্ঘদিন পর শাশুড়িকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হন পুত্রবধূ জুবাইদা রহমানও। তিনিও শাশুড়িকে জড়িয়ে ধরেন। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে বিমানবন্দরের চতুর্থ টার্মিনালের রয়্যাল ভিভিআইপি গেট দিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে বের হন খালেদা জিয়াসহ সফরসঙ্গীরা। এ সময় তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে লন্ডন ক্লিনিকের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান তারা। একই গাড়িতে তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা রহমানও ছিলেন। হাসপাতালে তিন নাতনি দাদি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন।

এর আগে চোখ ও পায়ের ফালোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এ সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি। শুধু ভার্চুয়ালি মা ও ছেলের মধ্যে কথা হতো।

এদিকে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হজরত আলী খান বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। খালেদা জিয়াকে ভিআইপি প্রটোকল দেন হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালিক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদও বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। এ সময় যুক্তরাজ্য বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

রাতে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালিক যুগান্তরকে বলেন, যুক্তরাজ্যে পৌঁছে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশ থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আসা চিকিৎসকরা লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের কাছে তাকে কাগজপত্রসহ বুঝিয়ে দিয়েছেন। তারা প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কাগজপত্র দেখে খালেদা জিয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হাসপাতালে বাংলাদেশ থেকে আসা চিকিৎসক ছাড়াও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত আছেন।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘কেজিতে ৭-১০ টাকা বাড়ল চাল’। প্রতিবেদনে বলা হয়, আমনের ভরা মৌসুমে পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে। গত এক মাসে খুচরা পর্যায়ে চিকন (মিনিকেট) চালের দাম বস্তাপ্রতি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে। চিকন চাল সর্বোচ্চ কেজিতে সাত থেকে ১০ টাকা এবং মাঝারি ও মোটা চালের দাম সর্বোচ্চ পাঁচ-ছয় টাকা বেড়েছে। এতে নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যে চাপে থাকা ভোক্তারা আরো চাপে পড়েছে।

অত্যাবশ্যক এই নিত্যপণ্য কিনতে বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছে অনেক ক্রেতা। বাজারে অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়লে মানুষ কম কিনে ব্যয় কমানোর চেষ্টা করে, কিন্তু চালের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয়। দাম যত বেশিই হোক না কেন, প্রয়োজনমতো চাল তাকে কিনতেই হবে। কঠিন বাস্তবতা হলো গরিব মানুষের আয়ের বেশির ভাগ যাচ্ছে চাল কেনায়।

চালের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহে মিল পর্যায়ে অস্বাভাবিক দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে খুচরা ও পাইকারিতে দাম বেড়েছে।

চালকল মালিকদের দাবি, এবার ধানের দাম বাড়তি ধরে কেনার কারণে তাঁরা চালের দাম বাড়িয়েছেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার ও বাড্ডা বাজার এবং তিনটি জেলা নওগাঁ, কুষ্টিয়া ও বগুড়ার বড় পাইকারি মোকামে খোঁজ নিয়ে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্বল্প আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছে। টানা ৯ মাস দেশে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে। বর্তমানে শাক-সবজির দাম কিছুটা কমলেও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম এখনো বেশি। গত মাসে সয়াবিন তেলের দামও লিটারে আট টাকা করে বেড়েছে। এর মধ্যে বাড়ল চালের দাম।

কারওয়ান বাজারের মেসার্স ঢাকা রাইস এজেন্সির ব্যবসায়ী মো. সায়েম হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাজারে আমনের নতুন চাল আসার পর সরবরাহও বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় চালের ঘাটতিও নেই। ধানের দাম বাড়ার কথা বলে সব ধরনের চালের দাম বাড়িয়েছেন মিলাররা। এতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। মিল পর্যায়ে জোরালো তদারকি করা গেলে চালের দাম কমে আসবে।’

ইত্তেফাক

‘আলু ছেড়ে এবার চাল মজুত’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আমনের ভরা মৌসুমেও রীতিমতো অস্থির চালের বাজার। গত দুই দিনের ব্যবধানে শুধু মোটা চালের কেজিতেই বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। সরু ও মাঝারিমানের চালের দরও বাড়তি। এক মাসের বেশি সময় ধরে চালের বাজারের এই অবস্থা। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে।

কারণ, চালের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ শতাংশের কাছাকাছি। যা নভেম্বর মাসের তুলনায় সামান্য কম। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় মূল্যস্ফীতির হার এখনো চড়া।

কিন্তু আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ছে কেন? সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মূলত: মজুতের কারণেই চালের দাম বাড়ছে। সূত্র বলেছে, গত মৌসুমে যারা হিমাগারে আলু মজুত করেছিল তারা প্রচুর মুনাফা করেছে। এবার এই মজুতদাররা চাল মজুত করেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে চালের দর বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে এর কারণ হিসেবে মজুতদারিকে দায়ী করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টাও। তিনি বলেন, বর্তমানে আমনের ভরা মৌসুম চলছে। বাজারেও চালের ঘাটতি নেই। ফলে চালের যে মূল্যবৃদ্ধি, তা অযৌক্তিক। ইতিমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় মজুতবিরোধী আইন প্রয়োগে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের নির্দেশ দিয়েছে।

সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের বাজারদর নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে। সংস্থাটিও তাদের প্রতিবেদনে চালের দর বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে। এই প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত এক মাস ধরেই চালের বাজার চড়া। এর মধ্যে গত দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি মোটা চালে ৪ টাকা বেড়ে তা ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, মাঝারিমানের চাল পাইজাম/লতা কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেটের দাম গত এক মাসের ব্যবধানে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়ে তা ৭০ থেকে ৮৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে রাজধানীর খুচরাবাজারে ভালো মানের নাজিরশাইল চালের দাম ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মজুতদারিকে দায়ী করলেও মিলাররা বলেছেন, ধানের দাম বাড়ায় চালের দাম বেড়েছে। তারা বলেছেন, এবার ধানের দাম গত বছরের তুলনায় প্রতি মণে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশি। যার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। দেশের উত্তরাঞ্চলের চালের মোকাম সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ব্যবসায়ী মেসার্স অন্তিম সেমি অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী গোলাম মোস্তফা ইত্তেফাককে বলেন, গত বছর মোটা ধানের মণ ছিল ১ হাজার ১০০ টাকা। এবার তা বেড়ে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ হিসেবে প্রতি মণ মোটা ধানে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে।

এছাড়া, সরু ধানের মণ ২০০ টাকা বেড়ে এবার ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের আরেক বড় চালের মোকাম বগুড়ার শেরপুর। এই মোকামের ব্যবসায়ী আজিম বয়লারের স্বত্বাধিকারী হানিফ উদ্দিন ইত্তেফাককে বলেন, এবার আলুর দাম পাওয়ায় মজুতদাররা আলু বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণে ধান মজুত করেছে। ফলে মোকামে চাহিদা অনুযায়ী ধানের সরবরাহ নেই।

এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারের গুদামে ৮ লাখ টন চাল মজুত আছে। যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়। এছাড়া, চালের দাম বাড়ায় অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল সংগ্রহের পরিমাণও সন্তোষজনক নয়। এবার চলতি মৌসুমে সরকার সাড়ে ৬ লাখ টন চাল ও ৩ লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। গত নভেম্বরে এই সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ টন চাল সংগ্রহ করা গেছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এই সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে সংগ্রহ অভিযান কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম ‘৮ প্রতিষ্ঠান থেকে এস আলমে ২ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংকসহ আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিতর্কিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম তার নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বের করে নিয়েছেন দুই লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া আরো ডজনখানেক ব্যাংক থেকে তার ঋণ নেয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এসব ব্যাংকে তদন্ত চলছে। সব মিলিয়ে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে এস আলমের অর্থ বের করে নেয়ার পরিমাণ পৌনে চার লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এসব অর্থের বেশির ভাগই পাচার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাচারকৃত সম্পদের খোঁজে দেশী-বিদেশী সংস্থাগুলো কাজ শুরু দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১২টি দেশে পাচারকৃত সম্পদের গন্তব্য সম্পর্কে খোঁজ মিলেছে। এসব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। এ জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থার (সিআইডি) সমন্বয়ে যৌথ কমিশন গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক তদন্তে এ পর্যন্ত যেসব ব্যাংক থেকে অর্থ বের করে নেয়ার প্রমাণ মিলেছে তার মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা (অফশোর ব্যাংকিংসহ), সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংক থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আভিভা (সাবেক রিলায়ান্স) থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এসব ব্যাংকে এস আলমের আরো বেনামী প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ঋণ নেয়ার বিষয়ে খোঁজ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত অবস্থায় ব্যাংকগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো থেকে এস আলম মুক্ত করা হলেও ঠিক কী পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে তা এখন সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা হয়নি। এমনি পরিস্থিতিতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ফরেনসিক অডিট শুরু করছে বিদেশী অডিট ফার্ম।

জানা গেছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের ব্যাংকিং খাত লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। দেশের আর্থিক খাতের অভিশাপ বলে চিহ্নিত এস আলমের মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আটটি ব্যাংক দখলে নিয়ে যায়। এসব ব্যাংক থেকে জনগণের আমানতের অর্থ পানির মতো বের করে নিতে থাকে। প্রথমে ২০১৭ সালের মে মাসে উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয়। আর এ ব্যাংক দখলের জন্য আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর সিতাশু কুমার সুর চৌধুরীর সহযোগিতায় এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয় একটি বোর্ডের সভার মাধ্যমে। বিধিবহির্ভূত এসব ঋণ বের করে নিয়ে ওই ঋণের অর্থ দিয়েই ব্যাংকের শেয়ার কিনতে থাকে। এক পর্যায়ে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও এমডিকে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তুলে নিয়ে ব্যাংকটি পুরোপুরি দখলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে পানির মতো টাকা বের করতে থাকে। ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা বের করে নিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দীন, মিফতা উদ্দীন, কোম্পানি সচিব জেকিইএম হাবিবুল্লাহসহ প্রায় ডজন খানেক ব্যক্তি। আর পদপদবি ধরে রাখতে সহযোগিতা করেন ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন এমডি মাহবুব আলমসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মাহবুব আলমকে এমডি দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর পুরস্কার হিসেবে এস আলমের সহযোগী আরেক ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উপদেষ্টা করা হয়। পরে দখল করা আরেক ব্যাংক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়। পরবর্তীতে নতুন এমডিকেও এস আলমের অর্থ বের করে নিতে বাধ্য করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক হিসেবে ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম বের করে নিয়েছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা। এর সাথে রয়েছে অফশোর ব্যাংকিংয়ের ১৮ হাজার কোটি টাকা। আরো প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা এস আলমের দখল করা অন্য ব্যাংকে মূলধনের জোগান দিতে বাধ্য করা হয় ইসলামী ব্যাংককে। ওই সব ব্যাংক থেকেও এ অর্থ বের করে নেয় এস আলম।

ইসলামী ব্যাংকের মতো সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দখলে নেয় বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম। এমডি ও চেয়ারম্যানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে একটি হোটেলে আটকে তাদের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেয়া হয়। এরপর রাতারাতি ব্যাংকটির মালিক হয়ে যায় মাফিয়া এস আলম। দখল করার পর ব্যাংকটি থেকে যে পরিমাণ আমানত আসত বেশির ভাগই নামে-বেনামে বের করে নিত এস আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক তদন্তে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম বের করে নিয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা, যার বেশির ভাগই পাচার করে দিয়েছে। শুধু অর্থই বের করে নেয়নি, ব্যাংকটিতে প্রায় দুই হাজার নতুন লোকবল নিয়োগ দিয়ে অস্বাভাবিক ব্যয় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৫ আগস্টের পর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এস আলম মুক্ত হলেও তার লুটপাটের ক্ষত এখনো কাটাতে পারেনি ব্যাংকটি। সাধারণ গ্রাহকের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না কর্মকর্তারা। ব্যাংকটির নতুন পর্ষদ ও চৌকস কর্মকর্তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ব্যাংকটিকে ধরে রাখার।

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘University student unions: Student bodies split over polls timing’ অর্থাৎ ‘বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ: ভোটের সময় নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছাত্র সংগঠনগুলো’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যখন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন কবে নির্বাচন হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছাত্র সংগঠনগুলো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও শিবির জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বলেই বেশি দেরি না করে নির্বাচনের পক্ষে।

অন্যদিকে ছাত্রদলের নেতারা ক্যাম্পাসে ‘পুরোপুরি সক্রিয়’ না হওয়ায় জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত নির্বাচন পিছিয়ে দিতে আগ্রহী বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় বেশিরভাগ ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। যার মুখ্য ভূমিকায় ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

তবে আগস্টের শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।

বণিক বার্তা

‘স্থানীয় শিল্পে উৎপাদন সংকোচনে ব্যবসার খরচ বাড়ছে’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছে অন্তর্বর্তী সরকার। নীতি সুদহার (রেপো রেট) কয়েক দফা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে ১০ শতাংশে। এতে ব্যাংকভেদে ঋণের সুদহার উঠে দাঁড়িয়েছে কম-বেশি ১৫-১৬ শতাংশে। পুঁজি সংস্থানের ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্প খাতের উৎপাদনকে চাপে ফেলছে জ্বালানি সংকট। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গ্যাস সংকটে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারছে না। এতে পরিচালন ও মাথাপিছু ব্যয় বাড়ছে ব্যবসার। এর মধ্যেই শিল্প খাতে করভার ও শুল্কচাপ বাড়ছে। শিল্প খাতে শ্রম অসন্তোষ, আমদানির বিদ্যমান নানা প্রতিবন্ধকতা, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি ইত্যাদিরও প্রভাব পড়ছে শিল্প খাতের ব্যয় ও উৎপাদনে। এসবের সম্মিলিত প্রভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে শিল্প খাতের উৎপাদন। যদিও ব্যবসা পরিচালনার খরচ এখন ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

আমদানিনির্ভর শিল্প খাতগুলোর জন্য এ ব্যয়কে আরো বাড়িয়ে তুলছে ডলারের বিনিময় হারের ঊর্ধ্বগতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দিন প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১১৮ টাকা। এর ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় গতকাল তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২২ টাকায়।

খাতসংশ্লিষ্ট ও বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় দেশের শিল্প খাতের গত ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। এতে দেখা গেছে, গত ছয় মাসে শিল্পে উৎপাদন কমেছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। আর গোটা খাতের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবসার পরিচালন ব্যয় বেড়েছে অন্তত ৩০ শতাংশ।

শিল্প উৎপাদনে ব্যবহার্য গ্যাসের দাম দফায় দফায় বাড়িয়েছিল পতিত বিগত সরকার। দাম বাড়িয়েছিল বিদ্যুতেরও। শুল্ক-করের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বোঝার সঙ্গে ছিল পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির মতো অনানুষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যয়ের চাপও। এ ব্যয়চাপকে আরো ভারী করে তুলছিল বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতা, ডলার সংকট, পুঁজি সংস্থানের খরচসহ সার্বিক ব্যবসায়িক পরিবেশের প্রতিকূল পরিস্থিতি। তবে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতিতে পরিবর্তনের প্রত্যাশা তৈরি করে। ব্যবসার ন্যায্য ও অনুকূল পরিবেশ গড়ে ওঠার পাশাপাশি ব্যয়চাপ কমতে যাচ্ছে বলে মনে করছিলেন ব্যবসায়ীরা। যদিও গত ছয় মাসের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ব্যবসার খরচ আরো বেড়েছে।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘অবৈধ আবাসন প্রকল্প বন্ধ হচ্ছে’। খবরে বলা হয়, বেশির ভাগ বেসরকারি আবাসন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনিয়ম ঠেকাতে সরকার একাধিক আইন করলেও তা প্রতিষ্ঠানগুলো খুব একটা আমলে নেয় না। এবার আবাসন খাতে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ঠেকাতে আইন প্রয়োগে শক্ত হচ্ছে সরকার। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক) ইতিমধ্যে তালিকা করে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। সংস্থাটির সঙ্গে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (রাজউক) অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রেখেছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে বলেন, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা জাগৃক ও রাজউক থেকে প্রকল্প অনুমোদন করেনি, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী তাদের (আবাসন প্রতিষ্ঠান) অবশ্যই পৃথক প্রকল্পের জন্য অনুমোদন নিতে হবে।

জাগৃক সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী (মিরপুর গৃহসংস্থান বিভাগ-২) কাওসার মোর্শেদ পূর্ত মন্ত্রণালয়ে দেওয়া চিঠিতে আইন মেনে ব্যবসা না করার জন্য ১১টি আবাসন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, পুষ্পধারা প্রোপার্টিজ লিমিটেড, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, স্বপ্নধরা অ্যাসেটস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, প্রিয়প্রাঙ্গণ, ঠিকানা প্রোপার্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেড, জন্মভূমি সিটি, প্রিমিয়াম হাউজিং এস্টেট লিমিটেড, ধরিত্রী প্রোপার্টিজ লিমিটেড, মডার্ন এশিয়া প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রাইভেট) লিমিটেড এবং নিমতলা হাউজিং লিমিটেড। একই সংস্থার নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা ডিভিশন-১) মো. কায়সার ইবনে সাঈখ একই দিনে মন্ত্রণালয়ে পৃথক আরেকটি চিঠি দেন। সেখানে তিনি রূপগঞ্জ এলাকার ভাইয়া হাউজিং লিমিটেড, প্রাইম অ্যাসেট লিমিটেড, সাভারের সুগন্ধা প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লি., চলন্তিকা হাউজিং, স্বপ্নভূমি আবাসন এবং মেগা বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আবদুল্লাহ নূর বলেন, ‘আবাসন ব্যবসা করতে হলে সংশ্লিষ্ট আইনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান তা মানছে না। তাই বাধ্য হয়ে এখন আইনি ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। গত দুই দিনে আমরা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নোটিশ দেওয়াসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।’

গত দুই দিনে এ প্রকৌশলীর কাজের আওতাভুক্ত এলাকায় যেসব আবাসিক প্লট, ফ্ল্যাট ও ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সেগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে আইন পল্লী, পূর্বাচল প্রাইম সিটি, সুবর্ণ ভূমি হাউজিং লিমিটেডকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রকৌশলী জানান, এসব রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান জাগৃক থেকে কোনো প্রকল্প অনুমোদন করেনি। এগুলোর মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠানকে জাগৃক থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে, তাদের নিবন্ধন বাতিলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ইতিমধ্যেই সুপারিশ করা হয়েছে। নিবন্ধিত ও নিবন্ধনহীন উভয় ধরনের কোম্পানির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের কাজ প্রক্রিয়াধীন। সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

জাগৃকের কর্মকর্তারা বলেন, সরকার এখন বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪ (সংশোধিত ২০১২ ও ২০১৫), রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে। এ আইন অনুযায়ী, কোনো ডেভেলপার যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করলে কিংবা অননুমোদিত রিয়েল এস্টেট প্রকল্পের বিজ্ঞাপন প্রচার বা বিক্রয় করলে অনূর্ধ্ব দুই বছর কারাদণ্ড অথবা অনূর্ধ্ব ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

দেশ রূপান্তর

‘এপ্রিলের আগে বই পাচ্ছে না সবাই’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ২০ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির সব বই ছাপানোর কাজে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ছাপাতে পেরেছে ২৭ শতাংশ। প্রেসগুলো সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করলে বাকি ৭৩ শতাংশ বই এ মাসের মধ্যেই ছাপানো সম্ভব বলে মনে করছে এনসিটিবি। কিন্তু বই ছাপানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এনসিটিবির এ সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। তারা বলছে, ছাপানো ও বাঁধাই শেষে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের হাতে এপ্রিলের আগে সব বই পৌঁছানো সম্ভব নয়।

ছাপানোর কাজ শেষ না হওয়ায় এ বছর বই উৎসবই হয়নি। বছরের শুরুর দিন ১ জানুয়ারি বই পৌঁছায়নি সব শিক্ষার্থীর হাতে। এখন পর্যন্ত প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বেশিরভাগ বই ছাপা হয়েছে এবং সেগুলো ইতিমধ্যেই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বছরের প্রথম দিন এই তিন শ্রেণির বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই বই হাতে পেয়েছে। তবে বাকি সাত শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই ছাপা হয়েছে ৬ শতাংশ।

সব শিক্ষার্থী বই না পাওয়ায় স্কুলগুলোতে পাঠদান ঠিকমতো শুরু হয়নি। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাচ্ছে। শিক্ষকরা যে কয়েকটি বই হাতে পেয়েছেন, তা দিয়েই কোনোমতে চালাচ্ছেন পাঠদান। নামকরা স্কুলগুলো এনসিটিবির ওয়েবসাইট থেকে কিছু বই ডাউনলোড করে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন। কিন্তু অধিকাংশ স্কুলেই শিক্ষার্থীরা শুধু যাওয়া-আসা ও খেলাধুলার মধ্যেই রয়েছে।

এ বছর সময়মতো বই ছাপানো কাজ শেষ না হওয়ার জন্য এনসিটিবি কর্র্তৃপক্ষ ছাপার দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর গাফিলতিকে দায়ী করছে। আর মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো এনসিটিবির পরিকল্পনার অভাবকে দুষছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ বছর পাঠ্যবই ছাপার কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে বলে স্বীকার করেছেন। সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গত সরকারের আমলে বই ছাপায় কিছু অসাধু চক্র গড়ে উঠেছিল। চক্রটি এবারও সক্রিয় ছিল। তারা শুরু থেকে অসহযোগিতা করেছে। এ কারণে বই ছাপানোর কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। ভবিষ্যতে হয়তো এ সমস্যা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা যাবে, সরকার আশা করছে, চলতি মাসের মধ্যেই বই ছাপা এবং বিতরণ কাজ সম্ভব হবে।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

Bangladesh Army

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status