প্রথম পাতা
তিন মাস দেশেই ছিলেন ওবায়দুল কাদের
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার
৫ই আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ দিন দলটির প্রায় সব নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান। জীবন রক্ষায় সেনানীবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেক নেতা। কিন্তু তখন বড় জিজ্ঞাসা ছিল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন। তিনি দেশে না বিদেশে এমন প্রশ্ন ছিল রাজনৈতিক মহলে। সময়ে সময়ে তাকে নিয়ে নানা গুজব আর গুঞ্জন ছড়িয়েছে বাতাসে।
মানবজমিন-এর হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী গণঅভ্যুত্থানের পর তিন মাস ৫ দিন তিনি দেশেই ছিলেন। এই সময়ে তিনি নিরাপদেই ছিলেন। দলের সভাপতির মতো তিনিও ভারতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করেছেন এই সময়ে। যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন দলীয় সভাপতির সঙ্গে। সেখান থেকে সাড়া মিলেনি। সূত্রের দাবি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যে যারপরনাই বিরক্ত ছিলেন দলের সভাপতি। ‘ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যেই আন্দোলনে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছিল বলেই দলটির নেতারা মনে করছেন। যে আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনার সরকারকে এক বিধ্বংসী পরিণতি দেখতে হয়েছে।
মানবজমিন জানতে পেরেছে, গত ৮ই নভেম্বর ওবায়দুল কাদের শিলং হয়ে ভারতের কলকাতায় পৌঁছান। খবর রয়েছে, তিনি এক বিশেষ স্থানে আয়েসেই দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে কীভাবে দেশ ছাড়বেন তার ফন্দি-ফিকির করছিলেন। সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং পৌঁছান। সেখান থেকে যান কলকাতা। দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন এমনটাই জানা গেছে। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। এক্ষত্রে শেখ হাসিনা কোনো আগ্রহ দেখাননি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সরকার পতনের কয়েকদিন আগে থেকে হঠাৎ নীরব হয়ে যান। বলাবলি আছে, আন্দোলন নিয়ে দেয়া বক্তব্যের কারণে তাকে কথা বলতে বারণ করা হয়েছিল দলের সভাপতির পক্ষ থেকে। এ সময় দলের অন্য নেতারা গণমাধ্যমে কথা বলেন। আওয়ামী লীগের পতনের পর আত্মগোপনে থাকা কয়েকজন নেতা নানা মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বিবৃতি দেখা যায়নি।
টানা তিন মেয়াদে দলের সাধারণ সম্পাদক হয়ে ওবায়দুল কাদের দলেও নিজস্ব বলয় তৈরি করেছিলেন। এ কারণে দলীয় অনেক নেতাকর্মীও তার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ ছাড়া বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে নানা সময়ে বক্তব্য দেয়ায় সাধারণ মানুষের কাছেও বিরক্তিকর চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছিল নানা ব্যঙ্গাত্মক প্রচারণা।
পাঠকের মতামত
This is clearly an inside job.
বাংলাদেশকে নিয়ে এখনো বড় ধরণের চক্রান্ত চলছে দেশ সংস্কারের স্বার্থে এর নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করে আইনের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
একই দিনে জুনায়েদ পলক ও ড. হাছান মাহমুদকে বিমান বন্দরের লাউঞ্জে আটক থাকার ছবি/ সংবাদ টিভিতে দেখানো হলো। হাছান মাহমুদ না কি বেলজিয়ামে পাড়ি দিয়েছেন ? সব সম্ভবের এ দেশে ওবায়দুল কাদের গং নিরাপদ আশ্রয়ে ভারত চলে যাওয়ার খবর নিয়ে আলোচনায় ব্যতিব্যস্ত রাখা কি স্বৈরচারী পুরনো কূটকৌশল কিনা তা নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে।
সেই আশ্রয়স্থল দাতা কে এবং কোথায় ছিল তা জাতী জানতে চাই।
আমার মনে হয় বৈসম্যবীরোধী সমন্বয় কমিটির লোকজন জড়িত। এখানে অনেক টাকার বিনিময় লেনদেন হয়েছে।
হাসিনার নির্দেশ ছাড়া ওবায়দুল কাদের কোন কথা বলতেন না ! আন্দোলন দমানোর জন্য হেলমেট লীগ এর আগে হাসিনা অনেকবার নিয়োগ দিয়েছে ! এবারও এর কোন ব্যতিক্রম হয়নি ! মনে রাখতে হবে এ দলের সভানেত্রী নিজেই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী !
তিন মাস ৫ দিন নিরাপদ আয়েসে ছিলেন কিন্তু সেই আশ্রয়স্থল দাতা কে এবং কোথায় ছিল তা জাতী জানতে চাই।
দেশে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী দলের লোক কে যারা সহায়তা করে দেশ থেকে পালাইছে তাদেরকে চিন্ত করে আইনের শাসন হ্উক সৌদি আরব থেকে বলছি
আমাদের এ কেমন গোয়েন্দা সংস্থা তারা ৩ মাসেও একজন দোষী ব্যক্তিকে দেশের ভিতরেই ট্রেস আউট করতে পারলো না।
সেই বিশেষ স্থানটি কোথায়?
যে বা যারা নিরাপদে ভারতে যেতে সহযোগিতা করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
এই লোক দলের ভরাডুবির জন্য দায়ী।আওয়ামিলীগের মত এত পুরাতন একটা দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কোনো যোগ্যতাই তার ছিলো না
সেই বিশেষ স্থানটা ছিল ইন্ডিয়ান এম্বাসি। সেখানে বর্তমানে শেখ সেলিম এবং আরাফাত অবস্থান করছেন।
কাকা তিন মাস ইন্ডিয়ান এম্বাসিতে ছিলেন। ওখানে আরও রাঘব বোয়াল আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো শেখ সেলিম এবং আরাফাত।
যাদের আশ্রয়ে ওবায়দুল কাদের নিরাপদে দেশে অবস্থান করেছিল তাদের চিহ্নিত করা হোক, বর্তমান পারিপার্শ্বিকতায় আশ্রয় দাতা এবং নিরাপদে সীমান্ত অতিক্রম করতে সহায়তাকারীকে বিচারের আওতায় আনতে না পারলেও ভবিষ্যতে অবশ্যই তাদের বিচার করা যাবে!
দেশে এখনো জাতীয় বেইমান বসবাস করে, সবার আগে তাদেরকে খোঁজে বের করতে হবে। দেশ এখনো নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছে।
আমাদের এ কেমন গোয়েন্দা সংস্থা তারা ৩ মাসেও একজন দোষী ব্যক্তিকে দেশের ভিতরেই ট্রেস আউট করতে পারলো না। তাদের চখে ধুলো দিয়ে বীরের বেশে পালিয়ে গেলো।
আমাদের এ কেমন গোয়েন্দা সংস্থা তারা ৩ মাসেও একজন দোষী ব্যক্তিকে দেশের ভিতরেই ট্রেস আউট করতে পারলো না। তাদের চখে ধুলো দিয়ে বীরের বেশে পালিয়ে গেলো।
"তিনি এক বিশেষ স্থানে আয়েসেই দিন কাটাচ্ছিলেন" সেই বিশেষ স্থানটা কোথায় জাতি জানতে চায় ।
ঐ ব্যক্তির কথাবার্তা একদম ভালো ছিল না।
এতদিন অ্যারেস্ট করতে পারল না এত বড় কালপ্রিন্টকে?কর ছত্রছায়ায় ছিল?
এগুলো মরার পর D NA টেষ্ট করে পরিচয় সনাক্ত করতে হবে ,না হলে শস্সানে নিবে ওদের আত্মীয়রা।
এতদিন আওয়ামীলীগ ভারতের দাস হয়ে কাজ করেছে প্রকাশ্যে এখন যারা আছে তারা করছে গোপনে। হায়রে জাতি মুনাফিকের সংখ্যাই বেশি
তিনি এক বিশেষ স্থানে আয়েসেই দিন কাটাচ্ছিলেন। Where is this special place? Who are the owners?
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় বারবার গেলে লাগামহীন হয়ে যান বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা। এক ফুতকারে তার বড় বড় বাহাদুরি শেষ। কিন্ত কথা হল কিভাবে নিরাপদ ছিলেন, কার আশ্রয়ে, এবং কিভাবে নিরাপদে সীমান্ত অতিক্রম করলেন ? কোটি টাকার প্রশ্ন।