ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ রজব ১৪৪৬ হিঃ

শরীর ও মন

ত্বকের সৌন্দর্য ফিরে পেতে কেমিক্যাল পিলিং

অধ্যাপক ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার

কেমিক্যাল পিলিং একটি লাগানোর ওষুধ; যা বিভিন্ন খাদ্যশস্য-ফল ও দুধের নির্যাস থেকে ইউরোপ ও আমেরিকার ওষুধ কারখানায় তৈরি হয়। ডার্মা চিকিৎসকরা এর সঠিক পরিমাপ করে চিকিৎসা বা পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। বা বিশেষ ট্রেনিং আক্রান্ত স্থানে লাগায়; এবং এই ওষুধ পুরাতন ও অসুস্থ ত্বককে ফেলে দিয়ে নতুন ত্বক তৈরিতে সহায়তা করে। সাধারণত ত্বকের উপরিস্তরের (ঊঢ়রফবৎসরং) কোষগুলো বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন সানবার্ন, র‌্যাশ, চুলকানি, ত্বকের শুষ্কতা ইত্যাদি। এর ফলে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট এবং ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকের এই অবস্থাকে পিলিং বলা হয় । 
কেন করবেন
আমাদের ত্বক বাইরের ধুলাবালির সংস্পর্শে বেশি থাকে। এর ফলে আমাদের ত্বক অনেক দূষণের শিকার হয়। ত্বক প্রতিনিয়ত নতুন কোষ তৈরি করে স্বাভাবিকতা ধরে রাখে। কিন্তু অনেক সময় ত্বকের এই নতুন কোষ গঠনের প্রক্রিয়া বিভিন্ন কারণে বাধাগ্রস্ত হলে এর সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে এবং ত্বকে পিলিং হয়। এ ছাড়া অনেক অসুখের কারণে পিলিং হতে পারে। যেমন অ্যালার্জি, ইনফেকশন, বংশগত কারণ ইত্যাদি।
প্রয়োজনীয়তা
ত্বককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ত্বকে কেমিক্যাল পিলিং করা হয়। কেমিক্যাল পিলিং মূলত ত্বকের চিকিৎসা। যার মাধ্যমে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ত্বকে প্রবেশ করানো হয় এবং ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করা হয়। কেমিক্যাল পিলিং তিন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন ঝঁঢ়বৎভরপরধষ, গবফরঁস পিলিং, এবং উববঢ় পিলিং। ঝঁঢ়বৎভরপরধষ পিলিং ট্রিটমেন্ট উপরি ত্বকের চিকিৎসা করে, মূলত ঊঢ়রফবৎসরং-এ এই চিকিৎসা কার্যকর হয়। সবফরঁস পিলিং ট্রিটমেন্ট ত্বকের ফবৎসরং লেয়ার পর্যন্ত কার্যকর হয় এবং উববঢ় পিলিং ত্বকের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ত্বকের চিকিৎসা করা হয়। কেমিক্যাল পিলিং করতে যেই উপাদানগুলো খুবই পরিচিত, তা হলো জবঃরহড়রফং, অষঢ়যধ-ঐুফৎড়ীু অপরফং, ইবঃধ-ঐুফৎড়ীু অপরফং (ঝধষরপুষরপ অপরফ), ঞৎরপযষড়ৎড়ধপবঃরপ অপরফ,অহফ চযবহড়ষ ইত্যাদি। একটি নির্দিষ্ট সমস্যার জন্য একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসা কার্যকর হয়। তাই সবাই একই ধরনের চিকিৎসা নিতে পারেন না।
কাদের প্রয়োজন
রোদে পোড়া ত্বকের জন্য কেমিক্যাল পিলিং খুবই কার্যকর। এ ছাড়া যাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের পিগমেন্টেশন। যেমনÑ মেছতা, কালো দাগ ইত্যাদি আছে, তাদের জন্য কার্যকর হয়। কিন্তু যাদের ত্বকে খুব বেশি রোদে পোড়া দাগ আছে, তারা এই চিকিৎসা ব্যবহার করতে পারবেন না। এতে আরও বেশি দাগ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কেমিক্যাল পিলিংয়ের কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। যেমন ত্বকে পধৎৎরহম, ইনফেকশন, ভাইরাস সংক্রমণ ইত্যাদি। কখনো কখনো ত্বকে বিভিন্ন রঙের দাগও দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু কেমিক্যাল পিলিং সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। চিকিৎসার সময় কখনো কখনো আক্রান্ত স্থান অবশ করে নিতে হয়। স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে চিকিৎসার পর বিশেষভাবে দেখাশোনা করতে হয়। এ ছাড়া রোদে যাওয়া নিষেধ থাকে এবং এই চিকিৎসার ফলাফল চিকিৎসকের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। 

লেখক: চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ (সাবেক) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার, ফার্মগেট, ঢাকা। প্রয়োজনে: ০১৭১১-৪৪০৫৫৮

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status