অনলাইন
সহযোগীদের খবর
৪৫ হাজার পুলিশের চেয়ার বদল
অনলাইন ডেস্ক
(৭ মাস আগে) ১৩ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম - ৪৫ হাজার পুলিশের চেয়ার বদল। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসিনা সরকারের পতনের পর যে গাড্ডায় পড়েছে, সেখান থেকে এখনও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি পুলিশ। নানা সংকট, সীমাবদ্ধতা আর বিপর্যয় কাটিয়ে নতুন রূপে ফেরার চেষ্টায় আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি। একদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দ্রুত বাহিনীর গতি ফেরানো, অন্যদিকে জনআস্থা অর্জন। এ দুই চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে চলছে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার।
এই পটভূমিতে স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করার দৃঢ়তা পুলিশের জন্য জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, নতুন পরিস্থিতিতে বাঁকবদলের ভেতর দিয়েই যাচ্ছে পুলিশ। ৫ আগস্টের পর প্রতিদিন পুলিশের বিভিন্ন পদে আসছে নতুন মুখ। গত তিন মাসে বদলি ও পদায়ন পেয়েছে ঝড়ের গতি! এ সময়ে সারাদেশে পোশাকধারী দুই লাখ দুই হাজার পুলিশের বিপরীতে রদবদল করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৪২ সদস্যকে। সে হিসাবে প্রায় ২৫ শতাংশ পুলিশের চেয়ার বদলে গেছে। অল্প সময়ে এত সংখ্যক পুলিশ সদস্যের কর্মস্থল বদলের ঘটনা নজিরবিহীন।
৬৪ জেলার পুলিশ, সব রেঞ্জ ডিআইজি, মহানগর কমিশনার এবং সব থানার ওসি পদে এসেছে নতুন মুখ। পুলিশে এককভাবে সবচেয়ে বড় ইউনিট হলো ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অন্তত ৩২ হাজার সদস্য এখানে কাজ করেন। এ পর্যন্ত এখানকার ১৮ হাজার সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে ডিএমপির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে ঢুকছেন, তাদের দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ ও উদ্দীপনা। রাজধানীর মতো জায়গায় নতুন পরিবেশে কাজের ধরন নিয়ে সম্যক ধারণা দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। নীতিনির্ধারকরা বলছেন, কাজে গতি আনতে এই বদলি। গেল দেড় দশকে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ায় পুলিশ। গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও দেখা গেছে। পুলিশ এ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার চেষ্টায় আছে।
তবে কারও কারও মত, নতুনভাবে যারা পদায়ন পাচ্ছেন, তাদের নিজ নিজ এলাকার অপরাধীদের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানতে কিছুটা সময় লাগছে। অপরাধীরা এর সুযোগ নিতে পারে। কিছুদিন গেলে রদবদলের প্রভাব দৃশ্যমান হবে। কারণ, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ঘটনাপ্রবাহ এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ পুলিশের সামনে আসছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৫ আগস্টের পর ১৮ অতিরিক্ত আইজিপির চেয়ার বদল করা হয়েছে। রদবদলের তালিকায় আছেন ডিআইজি ১২৪, অতিরিক্ত ডিআইজি ১৬১, পুলিশ সুপার ২৪৪, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ৪০০, সহকারী পুলিশ সুপার ২২৭ জন। এ ছাড়া নন-ক্যাডার পদে রদবদল হয়েছে পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ২ হাজার ১১২, পরিদর্শক (সশস্ত্র) ৪৩, পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) ২৯৪, উপপরিদর্শক (এসআই) ৪ হাজার ১১৬, সার্জেন্ট ১৮৮, টিএসআই ২৭, এসআই (নিরস্ত্র) ৭৮, এএসআই ৪ হাজার ৬৬৮, এটিএসআই ৫৭, এএসআই (সশস্ত্র) ২৪৫ এবং নায়েক ৬১৫। আর তিন মাসে কনস্টেবল রদবদল হয়েছে ৩১ হাজার ৪২৪ জন।
পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পুলিশে কর্মরত সদস্য ২ লাখ ১৩ হাজার। এর মধ্যে সিভিল সদস্য প্রায় ১১ হাজার। আর পোশাকধারী পুলিশ সদস্য সংখ্যা ২ লাখ ২ হাজার। তাদের মধ্যে ক্যাডার পদের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার; বাকিরা নন-ক্যাডার। পুলিশ সদস্যের মধ্যে কনস্টেবল প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার। পুলিশ বাহিনীর ক্যাডার সদস্যদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপির পদ ২২টি। ডিআইজি পদ ৮৭টি। পুলিশ সুপার ৫৮৬ জন।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের আজকের প্রধান শিরোনাম- হাসিনাকে গ্রেপ্তারে চিঠি ইন্টারপোলকে রেড অ্যালার্ট জারির অনুরোধ। এতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির অনুরোধ জানিয়ে ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিস।
পুলিশের মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। গতকাল ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ইন্টারপোলকে অ্যাড্রেস করে চিঠিটি আইজিপির কাছে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর এটা ইন্টারপোলে পাঠাবে। তিনি বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) যেহেতু মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে অভিযুক্ত, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেন্ডিং আছে, কিন্তু বাংলাদেশের জুরিসডিকশনের বাইরে তিনি চলে গেছেন, সে কারণে আন্তর্জাতিক পুলিশিং সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোল যাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করার ব্যবস্থা নেয় এবং তাঁর ব্যাপারে অন্তত রেড অ্যালার্ট জারি করে, সে ব্যাপারে আমরা অনুরোধ পাঠিয়েছি।’ কীভাবে পাঠিয়েছেন-এমন প্রশ্নে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এটা কমিউনিকেট করার দায়িত্ব পুলিশের আইজির। আমরা সরাসরি লিখেছি ইন্টারপোলের কাছে। এটাই যাবে।’
এর আগে রবিবার পলাতকদের ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিস’ জারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ওইদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কারকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি। ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম- টানেল ও মহাসড়কের টোলের বড় অংশ নিয়ে যায় ঠিকাদার। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল - এই তিন অবকাঠামো নতুন। কিন্তু এগুলোর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ে বিপুল ব্যয় ধরে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।
আর ঠিকাদার কাজ পেয়েছে কোনও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়া।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দরপত্র ছাড়া নিজেদের পছন্দে ঠিকাদার নিয়োগে লাভবান হয়েছে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান।
সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। লোকসান হয়েছে দেশের মানুষের।
এ প্রতিষ্ঠানগুলোর এখন ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে, অন্যদিকে চলাচলে খরচ পড়ছে বেশি। আর এসব অবকাঠামো থেকে যে আয় হচ্ছে, তার বড় অংশ নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।
চাকরিচ্যুতি গুম নির্যাতনে জীবন তছনছ- কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এই প্রতিবেদনটি কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে করা হয়েছে। তারা সবাই ওই সময় চাকরি হারিয়েছিলেন। তাদেরই একজন লে. কর্নেল (অব.) মো. সামসুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “সেনা কর্মকর্তাদের একটি তালিকা করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে পিলখানায় সহকর্মী সেনা কর্মকর্তাদের পরিকল্পিত ও নৃশংসভাবে হত্যার কয়েক দিন পর ওই বছরের ১ মার্চ ঢাকা সেনানিবাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা যাঁরা কিছু প্রশ্ন করেছিলাম, বিচার চেয়েছিলাম, তাদের তালিকা।”
“এই তালিকার প্রথম শিকার আমরা ছয়জন। সহকর্মীদের হত্যার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বিচার চাওয়ার অপরাধে কোনও তদন্ত এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে আমাদের বরখাস্ত করা হয়। পরে বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে পাঁচজনকে অকালীন অবসর দেওয়া হয়। তালিকার অন্যদেরও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়,” বলছিলেন তিনি।
এরকম আরও কয়েকজনের কথা তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। তারা সবাই-ই প্রায় কাছাকাছি ধরনের অভিযোগ করছেন এবং ওই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাইছেন।
তবে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে পুনঃতদন্তের দাবি উঠছে এবং অন্তর্বর্তী সরকার থেকেও এর আশ্বাস মিলছে।
নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনাম- অশান্ত মনিপুরে কারফিউ। খবরে বলা হয়, ভারতের মনিপুর রাজ্যের কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ-এর গুলিতে ১১ জন কুকি বিদ্রোহী নিহত হওয়ার পর সোমবার রাত থেকেই কারফিউ জারি করা হয় রাজ্যটির জিরিবাম জেলায়।
সোমবার রাতে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম ইম্ফল জেলায় সশস্ত্র কুকিরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় দু’জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সেইসাথে, মঙ্গলবার জিরিবামে একটি দগ্ধ বাড়ি থেকে দুই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
তবে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার মনিপুরের জাতিগত সংগঠনগুলো স্কুল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদ জানায়।
তারা মনিপুরের পাহাড়ি জেলাগুলোতে স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটা থেকে পরবর্তী ১১ ঘণ্টার জন্য বনধের ডাক দেয়।
রাস্তায় কোনও যানবাহন না চলায় পাহাড়ি জেলাগুলোর জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
কুকি সম্প্রদায়ের নেতারা জানিয়েছেন, যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা স্থানীয় গ্রামগুলোর স্বেচ্ছাসেবক, তারা হামার নৃগোষ্ঠীর সদস্য।
ঋণপ্রবাহে বড় পতন— যুগান্তর পত্রিকা প্রধান শিরোনাম করেছে এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে বড় ধরনের ছন্দপতন দেখা দিয়েছে। গত চার বছরের মধ্যে এ খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর-তিন মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এর চার বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরে একই সময়ে এই খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, কয়েক দফা বন্যা ও উদ্যোক্তাদের আস্থাহীনতার কারণে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কিছুটা কমেছে।
একই কারণে শিল্প খাতে উৎপাদনেও কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
প্রতিবেদনে এটিও বলা হয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে।
ফলে সার্বিক পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে এতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
আলোচনায় নতুন দুই উপদেষ্টা- দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রধান এই খবরে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন দুই উপদেষ্টা আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অতীত রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও কর্মকান্ড ঘিরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তাদেরকে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করে অপসারণের দাবিতে গত দুই দিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও তার অভিনেত্রী স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিলেন উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা একে ‘আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তারা অনেকে শেখ হাসিনার সঙ্গে অভিনেত্রী তিশার হাস্যোজ্জ্বল ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তৈরি করা ফিল্মে শেখ হাসিনার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন তিশা।
অন্যদিকে শেখ বশির উদ্দীন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দীনের ভাই ও একটি মামলার আসামি এমন তথ্যও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তার নাম সম্বলিত মামলার কাগজের ছবি ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনালে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের— সংবাদ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক র্যাব কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও মেজর রাশেদসহ নয় জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন ১৩ বছর আগে গুলিতে পা হারানো ঝালকাঠির লিমন হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের তিনি এ অভিযোগ দায়ের করার পর সাংবাদিকদের বলেন, “১৩ বছর ধরে আমি ও আমার পরিবার হয়রানির শিকার হয়ে আসছি।
একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করলাম। একটি মামলায় এ যাবৎ পাঁচ বার নারাজি দিয়েছি ও দুই-তিনবার রিভিউ আবেদন করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও সুরাহা পাইনি।”
র্যাবকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “আমার পক্ষ থেকে বিলুপ্তির দাবি জানাচ্ছি। র্যাবের কতিপয় সদস্য আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে।”
২০১১ সালের ২৩শে মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা লিমনকে গুলি করে। তখন র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, লিমন ‘সন্ত্রাসী’ মোর্শেদ জমাদ্দারের সহযোগী।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু বাংলাদেশে— বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়, চলতি ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের (ইসিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, এর সিংহভাগ সংক্রমণই ঘটেছে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে। সর্বোচ্চসংখ্যক সংক্রমণ দেখা গেছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পেরু, কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়েতে।
শুধু ব্রাজিলেই এ পর্যন্ত সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৯৫ লাখের বেশি। আর্জেন্টিনা, পেরু, কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়েতে সংক্রমণ সংখ্যা দুই থেকে ছয় লাখের মধ্যে।
এসব দেশে সংক্রমণ-শনাক্ত বেশি হলেও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে এরই মধ্যে তালিকার ওপরের দিকে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৭৪ হাজার ৮০০।
এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৬৭ জনের। সে অনুযায়ী, চলতি বছরের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার পরের অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ।