খেলা
প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি অমিতের
স্পোর্টস ডেস্ক
১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবারখুলনার পেসার আব্দুল হালিমের ডেলিভারিটা ছিল শর্ট বল, সেটাকে পুল করলেন অমিত হাসান। ঠিকমতো ব্যাটে না লাগলেও ফাইন লেগ দিয়ে পৌঁছে গেল বাউন্ডারিতে। আর তাতে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় সিলেট বিভাগের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। এবারের জাতীয় ক্রিকেট লীগে এটাই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। অমিতের ডাবল সেঞ্চুরি আর আসাদুল্লাহ গালিবের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় দিন শেষে খুলনার বিপক্ষে ৪৯৩ রানে এগিয়ে যায় সিলেট।
গতকাল কক্সবাজারের একাডেমি গ্রাউন্ডে জাতীয় ক্রিকেট লীগের চতুর্থ রাউন্ডে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৯৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সিলেট। অমিত হাসান করেন ২১৩ রান, আর গালিবের ব্যাট থেকে ১১৫ রান রান। খুলনার হয়ে ৪ উইকেট নেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদী আর ৩ উইকেট শিকার পেসার জিয়াউর রহমানের। দিন শেষে বিনা উইকেটে খুলনার সংগ্রহ ৩ রান।
এর আগে সিলেট ৩ উইকেটে ২৪৪ আর অমিত দিন শুরু করেন ১০৯ রান নিয়ে। কক্সবাজারের ব্যাটিং স্বর্গে অমিত ও গালিবকে তেমন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি খুলনার বোলাররা। সকালের প্রথম ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর জুটির সেঞ্চুরি করেন তারা। হাফ সেঞ্চুরির অপেক্ষা নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া গালিব পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ১৩৩ বলে। এর কিছুক্ষণ পর দেড়শ পূর্ণ করেন অমিত। তাদের জুটিতেই রানের পাহাড় গড়ে সিলেট। অমিত ও গালিবের জুটিতে আসে ২৫১ রান। শেষ পর্যন্ত ৭৩৫ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪৫৫ বল খেলে ২১৩ রানের ইনিংস খেলেন অমিত। যেখানে ছিল ১৮ চার ও ১ ছক্কা। অমিতের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল ১৮৬ রান। আর ২২৫ বলে সেঞ্চুরি করা গালিব করেন ১১ রানে।
একই দিনে কক্সবাজারে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১৮ রানে অলআউট হয় বরিশাল। সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন মঈন খান। এছাড়া তাসামুল হকের ব্যাট থেকে আসে ৫৩ রান। চট্টগ্রামের হয়ে ৪টি উইকেট নেন আশরাফুল হাসান। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান নিয়ে দিন শেষ করে চট্টগ্রাম। শাহাদাৎ হোসেন দীপু ৬৪ আর ইয়াসির চৌধুরী রাব্বি অপরাজিত ৮১ রানে।
দিনের আরেক খেলায় রাজশাহীর কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে রংপুরকে ১৮৯ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর রাজশাহী বিভাগ নিজেরাও অলআউট হয় ১৮৯ রানে। রংপুরের হয়ে ৩ উইকেট নেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান নিয়ে দিন শেষ করে রংপুর। এর মধ্যে রাজশাহীর মহর নেন ২ উইকেট।
একই দিনে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন শেষে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৫০ রানে পিছিয়ে আছে ঢাকা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ঢাকা অলআউট হয় ৩০৪ রানে। সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। এছাড়া তাহজিবুল ইসলামের ব্যাট থেকে ৬৩ রান। মেট্রোর হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন শুভাগত হোম ও এনামুল হক। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান নিয়ে দিন শেষ করে ঢাকা বিভাগ। ৫৪ রান করেন রনি তালুকদার। শুভাগত ৬০ ও নাজমুল ইসলাম অপু অপরাজিত ২১ রানে।