খেলা
অস্ট্রেলিয়ায় হারে শুরু পাকিস্তানের
স্পোর্টস ডেস্ক
৫ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবারএকপর্যায়ে মনে হচ্ছিল পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ দুইশ’ পার হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত নাসিম শাহর ৪০ রানের ওপর ভর করে ২০৩ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। লক্ষ্যটা সহজ মনে হলেও অস্ট্রেলিয়ার জন্য কঠিন করে তোলেন পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ। তবে সেটা সামলে অস্ট্রেলিয়াকে রোমাঞ্চকর এক জয় এনে দেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এখন যৌথভাবে সর্বোচ্চ জয়ের মালিক অস্ট্রেলিয়া। গতকাল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ২০৪ রানের লক্ষ্য ৯৯ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে কামিন্সের দল। রান তাড়ার ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়। এদিন বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পর ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে ৩২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন কামিন্স। তবে পাকিস্তানকে অল্প রানে আটকে রাখার নায়ক মিচেল স্টার্ক হন ম্যাচসেরা। দশ ওভারে তিন মেইডেনসহ মাত্র ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এখন সর্বোচ্চ জয়ে যৌথ মালিক অস্ট্রেলিয়া। ১০৯ ম্যাচে তাদের ৭১টি জয়। ১৩৭ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও জয় ৭১টি। এই সংস্করণে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয় ৫৭টি। গতকাল দুই দল মিলে রান করে ৪০৭, দু’দলের কেউই ফিফটি করতে পারেননি। দুই দলের দুজন করে ছুঁতে পারেন চল্লিশ। ম্যাচের ১৮ উইকেটের মধ্যে ১৩টিই নেন পেসাররা।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ফিফটি ছাড়া দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ রানের দিক থেক এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৯০ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের ৪১০ দুই নম্বরে আর ১৯৯৯ সালে একই মাঠে স্বাগতিক ও দক্ষিণ আফ্রিকার ৪১২ রানের ম্যাচ শীর্ষে।
এদিন কামিন্স যখন ব্যাটিংয়ে নামেন ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৫৫ রান। ২৪.৫ ওভার বাকি থাকলেও জয়টা তখন কঠিন হয়ে উঠছিল স্বাগতিকদের জন্য। এরপর কামিন্স অষ্টম উইকেটে শন অ্যাবোটকে নিয়েই তোলেন ৩০ রান। দলীয় ১৮৫ রানে রেখে অ্যাবোট রান আউট হয়ে গেলে বড় বিপদেই পড়ে অস্ট্রেলিয়া। এমসিজির বাউন্সি উইকেটে তখন হারিস রউফ, হাসনাইন আর শাহিন আফ্রিদি রীতিমতো ঝড় তুলছিলেন। তবে ঠান্ডা মাথায় তাদের সামলে জয় নিশ্চিত করেন কামিন্স।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান ১১৭ রানেই হারিয়ে ফেলে প্রথম ছয় ব্যাটারকে। ২৪ রানে মিচেল স্টার্ক তুলে নেন দুই ওপেনারকে। এরপর বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান চেষ্টা করলেও পারেননি। শেষদিকে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে দলের রান ২০০ পার করেন নাসিম।