অনলাইন
বকেয়া পরিশোধে আল্টিমেটাম ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করলো আদানি গ্রুপ
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৪ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
বিদ্যুৎ বাবদ পাওনা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশকে সময় বেঁধে দেয়ার আল্টিমেটামের বিষয়ে এবার অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারতের আদানি গ্রুপ। বেসরকারি ওই বিদ্যুৎ কোম্পানি বলেছে, ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়ার পুরোটা তারা ৭ নভেম্বরের মধ্যে চায়নি।
রোববার সন্ধ্যায় একটি পিআর ফার্মের মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আদানি পাওয়ার বলেছে, ‘আদানি সাত দিনের মধ্যে ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের পূর্ণ পেমেন্ট দাবি করেনি। বিষয়টির সমাধানে আদানি বাংলাদেশের পিডিবির সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।’
এর আগে গতকাল টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ নভেম্বরের মধ্যে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করা হলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবে আদানি পাওয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিপিডিবি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে উল্লিখিত এ শর্ত পূরণ করেনি বলে অভিযোগ করেছে আদানি পাওয়ার। তবে এর প্রতিক্রিয়ায় আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ড ৩১ অক্টোবর থেকে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। যাতে বাংলাদেশে বিদ্যুতের ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও বলা হয়, ঝাড়খন্ডে আদানির গোড্ডা প্ল্যান্টে গত শুক্রবার উৎপাদিত এক ১,৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে বাংলাদেশে মাত্র ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। ওই প্ল্যান্টটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী। এছাড়া পায়রা, রামপাল ও এসএস পাওয়ার ওয়ানসহ অন্যান্য বড় কারখানাগুলোতেও জ্বালানি সংকটের কারণে উৎপাদন কমে গেছে।
খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।
এদিকে ৭ই নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাবে না বলে আদানির যে সংবাদ প্রচার হচ্ছে সে সম্পর্কিত বিস্তারিত চিঠি সরকারের কাছে আসেনি বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এটি যদি সত্য হয়ে থাকে তবে তা দুঃখজনক। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে আদানির বকেয়া পরিশোধ করবে। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আদানি আগে কোথায় ছিলো। বাকী টাকার জন্য শেখ হাসিনার উপর কেন চাপ সৃষ্টি করে নাই। মনে হয় বিদ্যুৎ বাকী দিয়াছে শেখহাসিনা কে বলতে ভুলে গেছে। সুতরাং হুট করে বললে তো দেওয়া সম্ভব না। অতএব সময় দিতে হবে এমনকি যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে। অবশ্য ধয্য ধরতে হবে আদানি কে।
ভারত এবং আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা করা উচিত।
আদানিকে কোন পেমেন্ট করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। কারন এই contract এর কোন আইনগত বৈধতা নাই। কারন এই চুক্তি অনির্বাচিত অবৈধ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছে যে এখন জ্ঞোদির হেফাজতে ভারতে পালিয়ে আছে। তাছাড়া এই চুক্তির বিক্রি মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের ইউনিট মূল্য থেকে অনেক বেশী। যা অনুমান করা হয় কমিশন বাবদ হাসিনা, রেহানা ও মোদি গং নিয়েছে। তাছাড়া এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র শুধু মাত্র বাংলাদেশে সরবরাহের জন্য স্থাপন করা হয়। আমরা যদি আদানি থেকে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ করে দেই তাহলে আদারির আমাদের টাকার তৈরী এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হবে। তাই যদি বিদ্যুৎ আদানীর থেকে কিনতেই হয় তাহলে সঠিক বাজার মূল্য টিক করে নতুন করে চুক্তির পরে কোন পাওনা থাকলে তা পরিশোধ করা যেতে পারে। পূর্বে যে অতিরিক্ত মূল্য ও কমিশন বাবদ যা টাকা দেওয়া হয়েছে তা অবশ্যই adjust করতে হবে। এর আগে কোন অসধাতেই আদানি কোন বিল পরিষোধ করা টিক হবে না ।
বকেয়া পরিশোধ করে চুক্তি বাতিল করুন । এটা বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তি । ফ্যাসিষ্ট সরকার দেশের স্বার্থ বিকিয়ে নিজেদের পকেট ভরতে এই চুক্তি করেছিল
আদানি কে কোন টাকা দেয়া যাবে না। টাকা দিলে দেশ ও জাতির সাথে বেঈমানী করবে বর্তমান সরকার
বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ অনেক কম , বাংলাদেশ এই দিকে যাচ্ছেনা কেন ?
আদানি গ্রুপ পাওনার মধ্যে হাসিনার কমিশন এর টাকা আছে 10% অতএব আদানির বকেয়া পরিশোধ না করা উচিৎ