অনলাইন
মিরপুরে সংঘর্ষ
দুই পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ
স্টাফ রিপোর্টার
(৬ মাস আগে) ৩১ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই দুই পোশাকশ্রমিক হলেন, খুলনা সদর থানার বাইদাঘাটা এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে আল-আমিন ও কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার পাঁচকাহুনী এলাকার রসূল বক্সের মেয়ে মোছা. রুমা আক্তার। তারা বর্তমানে মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকা থাকেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রহমান জানান, আমার ছেলে ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার পোশাক কারখানার শ্রমিক। সকালে পোশাকশ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এ সময় পোশাকশ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িতে আগুন দেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে তারা গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে ঢামেকে ভর্তি করা হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, ‘মিরপুর-১৪ এলাকা থেকে আসা গুলিবিদ্ধ দুই পোশাকশ্রমিককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকার একাধিক কারখানার পোশাকশ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নেন। চাকুরিচ্যুতি ও একটি স্থানীয় পোশাক নির্মাণ কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ জানান তারা। এ সময় বিক্ষোভরত পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকেরা পুলিশের একটি ও সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য বিঘ্নিত হয়। এরপর সকাল ১১টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দু’টি পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনার পর তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করা হয়।’
পাঠকের মতামত
এই সুযোগে ভারতের গার্মেন্টস ব্যবসা এখন রমরমা যার চেষ্টা ভারত এ দেশ দখল কত্র অনেকটাই করে ফেলেছে আর দালাল মালিকদের কারসাজি তো আছেই!!!
এসব আওয়ামী প্রেতাত্মাদের কাজ।
মালিক +শ্রমিকউষ্কানীদাতাদের দালাল আইনে বিচার করা হোক।
শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে উস্কানি দিয়ে দেশকে অষ্টিশীল করতে ও গার্মেন্টস ব্যবসা বন্ধ করতে এটা স্পষ্ট চক্রান্ত। এদের ধ্বংস করে দিতে হবে.
মিরপুরের সকল গার্মেন্টস সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার এখনই সময়, রাজনৈতিক সরকার এটা করতে পারে না তাঁদের নেতাদের হসস্তক্ষেপের এর কারনে। যেই কারখানার শ্রমিক আন্দোলন করবে তার ফ্যাক্টরি বন্দ ঘোষণা করেন দেখেন সব এক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
আমার মনে হয় গার্মেন্টস মালিকদের অধিকাংশই বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হওয়ায় তারাই কৌশলে এই সমস্যাগুলো তৈরী করছে। এক্ষেত্রে দোষী মালিকদের চিহ্নিত এবং তাদেরকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে।পাশাপাশি নতুন দেশপ্রেমিক উদ্যোক্তা তৈরী করতে হবে। পাশাপাশি নতুন পরিস্থিতে শ্রমিকদের ধৈর্য্য ধরার আহবান জানাই।
এই মুহূর্তে এসব যারা করছে তাঁরা সবাই ভারতীয় চক্রান্তকারী। তারা বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসা হাতিয়ে নিতে আওয়ামী চক্রান্তকারীদের ইন্ধন যুগিয়ে চলেছে।
মিরপুরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী বন্দ করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত আরও ২০ বছর আগের। অনেকে সাভার আশুলিয়া ও গাজীপুরে স্থান্তর করলেও সাবকন্ট্রাক্ট গার্মেন্টস মালিকগণ তা করেনি। তারা গোপনে এই ফ্যাক্টরী গুলি পরিচালনা করলেও প্রায়শই তারা শ্রমিকদের ন্যায্য মুজুরি নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। ফলে শ্রমিক অসন্তুষ্ট রাজপথে এসে জনদুর্ভোগ বাড়ায়। এই মুহূর্তে এসব যারা করছে তাঁরা সবাই ভারতীয় চক্রান্তকারী। তারা বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসা হাতিয়ে নিতে আওয়ামী চক্রান্তকারীদের ইন্ধন যুগিয়ে চলেছে।
দুঃখজনক ঘটনা। বেতন বকেয়া থাকবে কেন ? বেতন দিতে সমস্যা কোথায় ????
আহা, সবেমাত্র আমরা জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা একটা স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়েছি! কার উস্কানিতে বিভিন্ন সেক্টরে আমাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে!