ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

ঢাকা-কুমিল্লা সরাসরি রেল সংযোগ এখন সময়ের দাবি

মনিরুল হক চৌধুরী
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবারmzamin

সড়কপথে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ২৪৮ কিলোমিটার। রেলপথে এ দূরত্ব ৩২০ কিলোমিটার। ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রামে যাতায়াত করতে হয় টঙ্গী-ভৈরব-আখাউড়া ঘুরে। তাই সড়কের চেয়ে রেলে বেশি সময় ব্যয় করে চট্টগ্রাম যেতে হয়। এই বাড়তি দূরত্ব ও সময় কমিয়ে আনতে একমাত্র সমাধান ঢাকা-কুমিল্লা সরাসরি রেললাইন স্থাপন। যা ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরো রেল রুটের দূরত্ব কমিয়ে দেবে। এতে যাত্রীদের মূল্যবান সময় বাঁচবে। এই রুটে ট্রেনের উপর যাত্রীদের নির্ভরশীলতাও বেড়ে যাবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য আনা-নেয়ার খরচও অনেক কমে যাবে। ঢাকা থেকে সরাসরি কুমিল্লা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের প্রস্তাব অনেক পুরনো। এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলেও এর চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে বিগত সময়ে। রাজনৈতিক বিবেচনায় এসব প্রকল্প নেয়া হয় বেশি। এ কারণে প্রকল্পের খরচের তুলনায় সুবিধা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কিন্তু অতি জরুরি ঢাকা-কুমিল্লা সরাসরি রেললাইন স্থাপন প্রকল্প বরাবরই উপেক্ষিত থেকেছে। 

প্রতিবেশী ভারতে ট্রেন ভ্রমণ যারা করেছেন তারা অবশ্যই উপলব্ধি করেন; দেশটির বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্কটি কতো সহজ, আরামদায়ক, নিরাপদ, অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী। তবে বাংলাদেশে তার উল্টো চিত্র। মুখরোচক কথা বলা ছাড়া বিগত ১৫-১৬ বছর রেলের বাস্তবধর্মী উন্নয়ন হয়নি। বরং অকাজে অর্থ খরচ হয়েছে বেশি। সময়োপযোগী, আধুনিক প্রকল্পের নামে একের পর এক নিত্যনতুন প্রকল্প সৃষ্টি করে লুটপাটের প্রতিযোগিতা হয়েছে রীতিমতো। 

অনেক দিন থেকেই আমি ঢাকা-কুমিল্লা সরাসরি রেললাইনের কথা বলে আসছি, এখনো বলছি।  নেহায়েত অকারণে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ঢাকা-কুমিল্লা কর্ডলাইনের মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। বিপরীতে দেশের কয়েকটি জায়গায় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ঠিকাদারতাড়িত প্রকল্প নেয়া হয়েছে সমানে। কিছু রাজনীতিক ও ঠিকাদারকে লাভবান করাই ছিল ওইসব প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু মানুষকে শোনানো হয়েছে উন্নয়নের মিষ্টি কথা। রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ ও পুরনো লাইন সংস্কারে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করার সময় বলা হয়েছিল, এই রেললাইন দিয়ে দিনে ১৪টি ট্রেন চলাচল করবে। কী ঘটা করেই না ২০১৮ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই রেলপথ উদ্বোধন করেন। এখন এই পথে ট্রেন চলছে মাত্র দু’টি। রাষ্ট্রীয় সম্পদের কী নিদারুণ অপচয়! রাজবাড়ী-গোপালগঞ্জের মতো ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্মিত রেললাইন এবং নিত্যনতুন প্রকল্প নিয়ে এ ব্যবসাই চলেছে দেদারছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওই সব প্রকল্পের কোনোটি নেয়া হয়েছিল রাজনৈতিক বিবেচনায়, কোনোটি অর্থায়নকারী দেশের পরামর্শে, কোনোটি ঠিকাদারদের অপতৎপরতায়। প্রকল্পগুলো দেশের মানুষের জন্য আজ বোঝায় পরিণত হয়েছে। জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছে সিন্দাবাদের ভূতের মতো। রাজবাড়ী থেকে টুঙ্গিপাড়া, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর, পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ (ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার), চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, খুলনা-মোংলা ও আখাউড়া-আগরতলা-সবখানে প্রায় একই নাটক মঞ্চায়ন হয়েছে।

সাতচল্লিশে বৃটিশ শাসনের অবসানের ৭৬-৭৭ বছর এবং একাত্তরে স্বাধীনতা অর্জনের ৫২-৫৩ বছর পর দেশজ চিন্তায় আমাদের রেলওয়েতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। স্থাপিত হয়েছে অনেক রুট। প্রয়োজনীয় রুটের ভিড়ে অপ্রয়োজনীয় রুটের সংখ্যাও কম নয়। পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হওয়ায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। তবে সেই রেলপথে ঢাকা থেকে কুমিল্লা যেতে ঘুরতে হয় অন্তত ৬টি জেলা। সড়ক পথের চেয়ে সময় বেশি লাগে ৪-৫ ঘণ্টা। এই ডিজিটাল যুগে এসে তা কেবল অবিশ্বাস্য নয়, বিস্ময়করও। নিদারুণ এই বাস্তবতার প্রেক্ষিত অনেকের অজানা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আখাউড়া হয়ে ২১৩ মাইলের অস্বাভাবিক ঘুরপথের ঐতিহাসিক কারণ ছিল। বৃটিশ আমলে ঔপনিবেশিক ভারতে রেলপথ তৈরি হয়েছিল মূলত বৃটিশদের অর্থনৈতিক স্বার্থে। আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের হেডকোয়ার্টার স্থাপিত হয় সিলেট ও আসামের শত শত চা-বাগানের উৎপাদিত চা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে।

ঢাকা-কুমিল্লা কর্ডলাইন হলে দেশের রেল নেটওয়ার্ক সত্যিকার অর্থেই আধুনিকায়ন হবে। একইসঙ্গে পথের বিশাল দূরত্বই শুধু কমবে না, সময়ও বাঁচবে। তখন ঢাকা-কুমিল্লা যাতায়াতে লাগবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। রেল ছুটবে কুমিল্লা হয়ে ফেনী, সেখান থেকে লক্ষ্মীপুর হয়ে নোয়াখালী। অবশ্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা রেলকে লাভজনক করতে ‘কর্ডলাইন’ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা অনুভব করে আমাদের আশ্বাসও দেন। কিন্তু পরে আটকে যায় নানা বাহানা ও অন্য ব্যস্ততায়। সাবেকদের মতো সদ্য প্রাক্তন রেলমন্ত্রীও সেদিন বলেছেন, ১৯৬৮ সাল থেকে এই রেলপথ নির্মাণের চেষ্টা চলছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিদ্যমান রেলপথকে এবার ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনে রূপান্তর করা হবে। এই পথে ট্রেন চলবে বিদ্যুতে। এর আগে বাস্তবায়ন করা কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ উন্নয়ন প্রস্তুতির অধীনে কর্ডলাইনের বিশদ নকশা ও সমীক্ষা করার পরিকল্পনা ছিল। পরে তা আরসিআইপিএফ প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়। বিদ্যমান রেলপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ট্রেন যায় টঙ্গী-ভৈরব-আখাউড়া ঘুরে। এ দূরত্ব কমাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লার লাকসাম কর্ডলাইন নির্মাণের চিন্তা শুরু ১৯৬৮ সালে। এ পথে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার। লাইনটি নির্মিত হলে যাতায়াতে সময় লাগবে মাত্র ২ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট। ২০২৬ সাল নাগাদ নারায়ণগঞ্জ-লাকসাম কর্ডলাইন নির্মাণকাজ শুরুর কথা প্রকাশিত হয়েছিল। এ প্রকল্পে এডিবি’র ঋণ পাওয়ার আশায় ছিল রেলওয়ে।

সূত্র মতে, ঢাকা-লাকসাম কর্ডলাইন কমলাপুর থেকে কুমিল্লা-জাঙ্গালিয়া ও লাকসামের মাঝামাঝি ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের লালমাই স্টেশনের উত্তরে সুবিধাজনক কোথাও সংযুক্ত হবে। এবং এ উদ্দেশ্যে তৎকালীন পাকিস্তানের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় জমিও হুকুম দখল করে। যা বর্তমানে চার লেন সড়কের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, এই প্রসঙ্গটি জনসম্মুখে কখনো আলোচনায় আসেনি। এমনকি এ প্রসঙ্গটি আমি নিজেও অবগত ছিলাম না। বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য থাকার সময়ই নোয়াখালী রেলযাত্রী কল্যাণ সমিতি বিষয়টি আমার নজরে আনে। এরপর তৎকালীন রেল সচিব শফিকুল ইসলামসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নজরে আনার পর তিনি এক বাক্যেই এই প্রকল্পের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। এবং তার আসন্ন চীন সফরকালে চীন সরকারের সঙ্গে প্রকল্পের সর্বশেষ পরিস্থিতিতে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য চীন সরকারের সঙ্গে আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। যথারীতি প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হয়। এবং বিএনপি সরকারের সময়ই চীন সরকার নিজ খরচে পাকিস্তান আমলে নির্ধারিত সংক্ষিপ্ত পথে তথা- ঢাকা-দাউদকান্দি-চান্দিনা-কুমিল্লা-জাঙ্গালিয়া এবং লালমাইয়ের মাঝামাঝি বর্তমান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বরাবর সংযোগ স্থাপনের প্রস্তাব করে। পাকিস্তান আমলে প্রাথমিক ভাবে কুমিল্লা রেলস্টেশন বরাবর সংযোগের একটি চিন্তা ক্যান্টনমেন্ট ও তার উত্তর- পূর্বে ঘনবসতির কারণে নাকচ হয়ে যায়।

কিন্তু চীন সরকারের সমীক্ষাটিকে ধামাচাপা দিয়ে বিগত সরকার কাল্পনিকভাবে সমীক্ষার নামে বারবার বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিয়ে রেল মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণ করে। এ ধরনের কাল্পনিক প্রস্তাবের কারণ ছিল-প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা-চট্টগ্রাম আলাদা বৈদ্যুতিক রেল চালুর প্রস্তাব ও আকাঙ্ক্ষা। তাও লক্ষাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে। এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর চেয়েও বেশি খরচে। যা ছিল লোক দেখানো এবং বেকার কনসালটেন্টের আয়ের পথ করে দেয়া মাত্র। আরও একটি অবান্তর প্রস্তাব ২০০৯-২০১৪ সালে আওয়ামী সরকারের কাছে দেয়া হয়েছিল- যাতে ঢাকা-দাউদকান্দি-মনোহরগঞ্জ-লাকসাম। এক কথায় কুমিল্লাকে বাইপাস করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক এ প্রস্তাবটি তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর প্রচুর কৃষিজমি নষ্ট হবে বলে দাবি করায় বাতিল হয়ে যায়। আরও এরকম গোপন স্টাডি আছে কিনা জানি না। ঢাকা-কুমিল্লা সরাসরি রেললাইনের সমীক্ষা বাবদ মোট কতোটি স্টাডি হয়েছে এবং কতো টাকা খরচ হয়েছে, পাকিস্তান আমলে দরপত্রকৃত ঢাকা-কুমিল্লা সরাসরি রেললাইনের দরপত্রের মূল্য কতো ছিল জাতীয় স্বার্থে তা জানা দরকার।

বাংলাদেশের যেকোনো মানুষ স্বীকার করেন স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রেললাইন হলে প্রথম হওয়া উচিত ছিল রাজধানী-বন্দরনগরী সংযোগকারী রেললাইনকে সংক্ষিপ্ত করে সহজ করা ঢাকা-মদনপুর, অথবা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মদনপুর-দাউদকান্দি-চান্দিনা-ক্যান্টনমেন্ট-জাঙ্গালিয়ার দক্ষিণে রেল ওভারপাসের দক্ষিণে কুমিল্লা বাইপাস বরাবর সংযোগ। এতে দূরত্ব, খরচ কমবে, জমি অধিগ্রহণ লাগবে সামান্যতম। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কুমিল্লা, ঢাকা-নোয়াখালী যাত্রীদেরও এটাই দাবি। এই দাবি পূরণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উদ্যোগ নিয়ে বিদায়ী সরকার এ অঞ্চলের মানুষের জন্য যে পাহাড় সমান বৈষম্য রেখে গেছে তা দূর করবে- এটাই আমি প্রত্যাশা করি। 
লেখক: প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য
 

পাঠকের মতামত

তিনি সত্যিই একজন উন্নয়নের সপ্নদ্রষ্টা ।কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ,কুমিল্লা সদর দ: মডেল থানা ও গ্রামীন জনগোষ্ঠীর জন্য পাকা রাস্তা তৈরী , পাবলিক চিকিৎসার জন্য ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলায় হাসপাতাল স্থাপন , ঢাকা - কুমিল্লা সরাসরি রেল লাইন হলে দক্ষিন কুমিল্লার মানুষের ভাগ্য এমনিতেই আমুল পরিবর্তন হবে। তাছাড়া কুমিল্লা বিমানবন্দর পুনরায় ডমোষ্টিক রুটে ফ্লাইট শুরু করা , শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আবাসিক গ্যাস নতুন সংযোগ চালু করা হলে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

কাউসার হাসান
৩১ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫:১৫ পূর্বাহ্ন

ঢাকা টু নোয়াখালী একটা ট্রেন চলে, নাম : নোয়াখালী এক্সপ্রেস, এটার যে কি দুর্দশা, এটা সন্ধ্যা ৭ টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে পরের দিন সকাল ৯টায় ও নোয়াখালীর পৌঁছুতে পারে না। অথচ ট্রেনটির টাইম সিডিউল একটু মোডিফাই করলেই অনেক অল্প সময়ে এটা ঢাকা থেকে নোয়াখালী বুঝতে পারবে। ট্রেন টি যদি ঢাকা থাকে বিকাল ৫ টার কিছু আগে পরে ছাড়ে তাহলে এটি রাত এগারোটা বারোটার মধ্যে নোয়াখালী পৌঁছে যাবে। যার ফলে এই ট্রেনে অনেক যাত্রী হবে, এর ফলে সরকারের আয়ও বৃদ্ধি পাবে। আমি জানিনা আমারে এ লেখা উদ্ধতন কতৃপক্ষের নজরে আসবে কিনা।

Abdul Momin
৩০ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

বর্তমান লাইনেই ৩ ঘন্টায় কুমিল্লা ও ৫ ঘন্টায় চট্টগ্রাম যায়। বাস দিয়ে বিমানবন্দর থেকে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে এর কমে যাওয়া সম্ভব নয়। দেশের টাকা অপচয় না করে বর্তমান লাইনেই বেশী গাড়ী ও কম সটপেজ দিয়ে চালান।

Anamul Haque Azad
৩০ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

সর্ব প্রথমে র্দূনীতি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।

রোহন
৩০ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১২:০০ পূর্বাহ্ন

প্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মনিরুল হক চৌধুরী এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সভা-সমাবেশ করে আসছেন। অবশ্যই ঢাকা- কুমিল্লা রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন চাই।

লোকমান হোসেন, নাঙ্গক
২৯ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪:৫৩ অপরাহ্ন

অবশ্যই ঢাকা-কুমিল্লা রেললাইন হলে সময় অনেকটা বেঁচে যাবে এবং ভাড়াও অনেক কমবে

Rijon
২৯ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

প্রস্তাবিত ঢাকা-কুমিল্লা রেল লিংক প্রকল্প গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ The Daily Observer এ প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে রেলপথের দুরত্ব কমানোর লক্ষ্যে বহুল আলোচিত ঢাকা-কুমিল্লা রেল লিংক প্রকল্পটির ব্যাপারে আবারও তৎপর হয়েছে। তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক জনাব মাহবুবুর রহমান পত্রিকাটির সঙ্গে আলাপ কালে আশা প্রকাশ করেন, পরামর্শকের সঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে! তিনি নিশ্চিত করেন যে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী পরিষদ কমিটি (CCGP), Japan এর Oriental Consltant Global, France এর EGIS এবং মালয়েশিয়ার HSS এর সমন্বয়ে গঠিত একটি কনসোর্টিয়ামকে সম্ভাব্যতা যাচাই ও বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য অনুমোদন দিয়েছে! উক্ত কনসোর্টিয়াম আগামী ত্রিশ মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন তৈরি করবে। উল্লেখ্য, এই উদ্যোগটি ২০১০ সালে গৃহীত হলেও অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়! বর্তমানে রেলপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দুরত্ব ৩৪৬ কিমি যা পাড়ি দিতে হলে ৮টি জেলা অতিক্রম করতে হয়! নারায়ণগঞ্জ থেকে মাত্র ৮২ কিমি দীর্ঘ এই রেলপথটি নির্মিত হলে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুরত্ব কমবে প্রায় ৯০ কিমি এবং সময় বাঁচবে প্রায় ২ থেকে ২:৩০ ঘন্টা! নুতন এই রেলপথটি নির্মিত হলে এই পথে শুধু উচ্চগতির এক্সপ্রেস ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে বলে একটি সুত্র জানিয়েছে এবং বিদ্যমান লাইনটি তখন শুধু Freight train বা মালবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে! তবে চট্টগ্রাম থেকে সিলেট ও ময়মনসিংহ যেতে বিদ্যমান লাইনটি সব ধরণের ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে! কিন্তু বিগত সরকারের অনীহার কারণে এই প্রকল্প বারবার ব্যহত হয়েছে। জনাব, মনিরুল হক চৌধুরী দীর্ঘদিন যাবত এ বিষয়ে সোচ্চার এবং ক্রমাগত এ নিয়ে কথা বলে আসছেন। একটি প্রস্তবনাঃ নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত এলাকাটি Meghna-Ganges Basin এ অবস্থিত একটি নিচু ও প্লাবন-ভূমি এলাকা! এছাড়া কুমিল্লা একটি উর্বর ও কৃষি প্রধান জেলা। ফলে জেলাটি বেশ ঘন বসতি পূর্ণ। এই দিকটি বিবেচনায় রেখে এবং পদ্মালিংক রেল পথের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রস্তাবিত এই রেললাইনটির বেশিরভাগ অংশ যদি উড়াল রেলপথ হিসেবে ভায়াডাক্টের উপর নির্মাণ করা হয়, তাহলে এর থেকে বেশ কিছু সুফল পাওয়া যাবেঃ ১) সাধারণ রেলপথের তুলনায় ৭০% কম জমি অধিগ্রহণ করতে হবে; ২) বন্যার সময় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হবে না! ৩) রেলপথে কোনো লেভেলক্রসিং রাখার প্রয়োজন হবে না; ৪) কালভার্ট এবং আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য আলাদা কোনো কাঠামো তৈরি করতে হবে না; ৪) রেলপথটি পাথর বিহীন হওয়ায় উচ্চগতির ট্রেন চলতে পারবে; ৫) লেভেলক্রসিং না থাকায় এবং মানুষ ও গবাদিপশু পারাপারের সুযোগ না থাকায়, এ জাতীয় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে; ৬) সামগ্রিকভাবে এর নির্মাণ ব্যয় এবং নির্মাণ সময় অনেক কম লাগবে। ৭) কুমিল্লাকে বাদ দিয়ে এই রেললাইন কোনোভাবেই করা যাবে না। সমীক্ষার প্রথম অপশনে এই লাইনটিকে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনের ৩ কিমি আগে মূল লাইনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছিল এবং কুমিল্লাকে জংশনে উন্নীত করার কথা ছিল। এটিই সবচেয়ে উত্তম বিকল্প কারণ নারায়ণগঞ্জ থেকে মাত্র ৮২ কিমি লাইন তৈরি করলেই হবে।

আবদুল মুকতাদির মামুন
২৯ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন

এই মুহূর্তে অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকী।অনেক মানুষ এখনও নিয়মিত দু'বেলা দুমুঠো খেতে পারছে না।

ওবায়দুল হক
২৯ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৭:১০ পূর্বাহ্ন

আরিচা থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত ভায়া ঢাকা হয়ে রেললাইন একান্তই দরকার। নর্থ বেঙ্গল এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ হোক। অনেক বিলম্ব হয়েছে। আর কত। তবে অবশ্যই বৈদ্যুতিক ট্রেন। ডিজেল ট্রেন নয়।

Anwarul Azam
২৯ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:৩০ পূর্বাহ্ন

বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু করুন। ডিজেল ট্রেন উঠিয়ে দেন। পাশের দেশ ভারতে সবই বৈদ্যুতিক ট্রেন। বাংলাদেশে নয় কেন। এখন প্রকল্প নিন। এসবে বিশ্ব ব্যাংক অর্থ দিতে রাজি থাকতে পারে। স্বল্প খরচে দ্রুত সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়ার আর কি বিকল্প হতে পারে। ডিজেল ট্রেন আস্তে আস্তে উঠিয়ে দেয়া হোক। রেলওয়ে এটা চিন্তা করতে পারেন।

Anwarul Azam
২৯ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:২৭ পূর্বাহ্ন

এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সভা সমাবেশ করে আসছেন কুমিল্লার গণমানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মনিরুল হক চৌধুরী। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনতিবিলম্বে এটি হওয়া উচিত।

A B M Zahirul Alam C
২৯ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ২:৫১ পূর্বাহ্ন

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা বাস্তবায়ন হলে মানুষ ভীষণ উপকৃত হবে। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সভা, সমাবেশ করে আসছেন কুমিল্লার গণমানুষের নেতা,বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মনিরুল হক চৌধুরী। এজন্য ওনাকে কুমিল্লা বাসির পক্ষ থেকে অভিনন্দন।

A B M Zahirul Alam C
২৯ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ২:৪১ পূর্বাহ্ন

এই রেল লাইন টি হলে ঢাকা হতে কুমিল্লা যেতে এবং চাকুরি বেবসা করা সহজ হতো.

হাবিব
২৯ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন

রেলপথ শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক নয়,ঢাকা হয়ে বা ঢাকা বাদে প্রত্যেক জেলার সাথে পারস্পারিক রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা দরকার।যেমন পঞ্চগড়-রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি -বান্দরবান,সিলেট -পঞ্চগড়,বরিশাল-পঞ্চগড়,কক্সবাজার -পঞ্চগড়, ঢাকা -রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি -বান্দরবান,বরিশাল -পটুয়াখালি-খুলনা। ঢাকা -কুয়াকাটা,বগুড়া -বরিশাল ইত্যাদি ইত্যাদি।

এম্রান
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ১১:১২ অপরাহ্ন

নিঃসন্দেহে ইহা অতিব গুরুত্বপূর্ন একটি কাজ যাহা রাজধানী ঢাকার সাথে কুমিল্লাকে সহজে একীভূত করা যাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ।

শামীম
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ১০:০০ অপরাহ্ন

ঢাকা-কুমিল্লা রেল লাইন বাস্তবায়ন জরুরী। এতে করে জনগন কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে অফিস করে ফেরত যেতে পারবে এবং ঢাকার উপর চাপ কমবে।

এম,এইচ, বারী
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৯:২৭ অপরাহ্ন

আমার বাড়ী নোয়াখালী, রেলে চড়ার অনেক শখ,ছোট থাকতে ঢাকা, চট্টগ্রাম রেলে করে অনেক গিয়েছি,তবে বর্তমানে ঢাকা যেতে হলে আগে নোয়াখালী থেকে কুমিল্লা যাই ট্রেনে করে তারপর শাসন গাছা থেকে বাসে করে ঢাকা যাই, ঢাকা- কুমিল্লা রেল সংযোগটি হলে আমার চেয়ে খুশি মনে হয় আর কেউ হবেনা।

Masud
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৯:২১ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ এর লাইফলাইন ঢাকা কুমিল্লা চট্টগ্রাম রেলওয়ে লাইন কে বাদ যারা দিচ্ছে তাদের দেশ এর প্রতি কোন টান নেই।এরা সুবিধাভোগী স্বার্থপর শ্রেণীর লোক।

Sajid
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৫:৪৪ অপরাহ্ন

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন চাই।

রেজাউল করিম
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ১:০৪ অপরাহ্ন

অবশ্য ই ঢাকা কুমিল্লা রেললাইন বাস্তবায়ন ছাই!

MD AHSAN ULLAH
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ১২:৩৮ অপরাহ্ন

অবশ্যই ঢাকা-কুমিল্লা রেললাইন হলে সময় অনেকটা বেঁচে যাবে এবং ভাড়াও অনেক কমবে।

ছামিউল্লাহ
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ১২:৩৮ অপরাহ্ন

এটা সময়ের দাবি।আধুনিক বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে চলতে, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রস্তাবিত রেলপথ নির্মাণের বিকল্প নেই।

মো:খাইরুল ইসলাম সরকা
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

এটা শুধু স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু না।

ইমরান ইরশাদ
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

অবশ্য ই ঢাকা কুমিল্লা রেললাইন বাস্তবায়ন ছাই!

Jan-e-Alam
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

রাজবাড়ী থেকে ভাটিয়া পাড়া পর্যন্ত সেই ১৯৩০ থেকে রেললাইন ছিল‌ এবং দিনে আট জোড়া ট্রেন চলাচল করত।

বাবু
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন

অবশ্য ই ঢাকা কুমিল্লা রেললাইন বাস্তবায়ন ছাই!

তোফায়েল হোসেন
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন

গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি আলোচনায় আনার জন্য জননেতা মনিরুল হক চৌধুরীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এ দাবীর পক্ষে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

মোঃআবদুল কাদির
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন

চিটাগং-কক্সবাজারের মত বাজে সিদ্ধান্ত হবে। কুমিল্লায় আরও ট্রেন বাড়ানো যেতে পারে, নতুন লাইন নয়।

আনোয়ার
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৭:৫৬ পূর্বাহ্ন

ঢাকা-নারায়নগঞ্জ-দাউদকান্দিকান্দি-হাজীগঞ্জ(চাঁদপুর) -চৌমুহনী-মিরসরাই -চট্টগ্রাম রুটে নতুন এলাইনমেন্টে রেললাইন নির্মাণ করা হোক।

আবদুল্লাহ আল মামুন
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৭:৫৫ পূর্বাহ্ন

সময় ও খরচ দুইটাই সাশ্রয় হবে।

Taohidul Alam
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৭:১১ পূর্বাহ্ন

সিরাজগঞ্জ -বগুরা রেল লাইন দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।

স্বাধীন বাংলাদেশী
২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৬:০২ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status