ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

রাষ্ট্রপতি অপসারণে রাজি নয় বিএনপি, ছাত্র নেতৃত্ব অনড়

অনলাইন ডেস্ক

(১ মাস আগে) ২৭ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

mzamin

সমকাল

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ নিয়ে দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘রাষ্ট্রপতি অপসারণে রাজি নয় বিএনপি, ছাত্র নেতৃত্ব অনড়’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবিধানিক শূন্যতার 'আশঙ্কায়' আওয়ামী লীগের মনোনীত রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে রাজি হয়নি বিএনপি। দলটি সময় নেওয়ার কৌশল নিলেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতারা রাষ্ট্রপতিকে সরাতে অনড় অবস্থানেই রয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার এবং ছাত্র নেতৃত্বের সূত্র সমকালকে আরও জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের সব শক্তির ঐক্যের স্বার্থে বিএনপিকে রাজি করাতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চলবে। তা সফল না হলেও সাহাবুদ্দিনকে বঙ্গভবন ছাড়া করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রপতির অপসারণে রাজনৈতিক ঐক্যের জন্য ছাত্রনেতারা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আখতার হোসেন, হাসনাত আবদুল্লাহ, আরিফ সোহেলসহ জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা।

বৈঠকের পর বিএনপি আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানায়নি। ছাত্রনেতারা জানান, দলীয় ফোরামে আলোচনার পর রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে বিএনপি। তবে বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের চেয়ে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন নিশ্চিতেই আগ্রহ তাদের।

রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে সরকারের অনড় অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বক্তব্যেও। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হলেও মোঃ সাহাবুদ্দিনকে সরানো হবে বলে আভাস দিয়ে তিনি নিজের ফেসবুকের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, '৮ দিবস বাতিল কিংবা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের মতো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও উপদেষ্টা পরিষদ অকপটে নিয়েছে, যাদেরকে অনেকেই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে না বলে অপবাদ দিচ্ছেন। অন্যদিকে প্রমিনেন্ট রাজনৈতিক দলকেও আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেসি করতে দেখা গেছে, ফ্যাসিবাদের সর্বশেষ আইকনকে সরানোর ক্ষেত্রেও অনীহা দেখা গেছে।'

বিএনপির সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যার ব্যর্থ বৈঠকের দিকে ইঙ্গিত করে আসিফ লিখেছেন, 'ব্যক্তিগত, সামষ্টিক ক্ষোভ থাকতে পারে। সেটা নিয়ে আলোচনা হোক, পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কাউকে বিব্রত করা কিংবা তা করতে গিয়ে নিজেকে খেলো করা দুঃখজনক।'

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘৬ লাখ চালকের লাইসেন্স আটকা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, টাকা জমা দেওয়া আছে। পরীক্ষাও শেষ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাজ বাকি শুধু একটি, ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করে গ্রাহককে দেওয়া। এই সাধারণ কাজটিই করতে পারছে না সরকারি এই সংস্থা। ফলে সোয়া ছয় লাখের বেশি মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছেন। কারও কারও অপেক্ষা তিন বছরের।

মানুষের এই ভোগান্তি তৈরি হয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আমলে। অভিযোগ রয়েছে, তখন পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার চেষ্টার কারণে জটিলতা তৈরি হয়। সেই থেকে ভুগছেন মানুষ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকার ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড ব্যবস্থাই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার বদলে দেওয়া হবে সাধারণ মানের প্লাস্টিকের পলিভিনাইল ক্লোরাইড (পিভিসি) কার্ড।

বিআরটিএ সূত্র জানিয়েছে, পিভিসি কার্ড দেওয়া হবে নতুন আবেদনকারীদের। পুরোনো আবেদনকারীদের আগের কার্ডই দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে কবে তাঁরা কার্ড পাবেন, সেই নিশ্চয়তা নেই।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহসানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, পুরোনো ঠিকাদার কার্ড এনেছেন বলে জানিয়েছেন। ধীরে ধীরে জটিলতা কেটে যাবে। তিনি বলেন, পিভিসি কার্ড চালুর মূল লক্ষ্য দ্রুত প্রিন্ট করা যায়। এতে মানুষের ভোগান্তি কমবে। তবে এই কার্ডেও কিউআর কোড থাকবে, যা দিয়ে পথে লাইসেন্সের সঠিকতা যাচাই করা যাবে।

যুগান্তর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসন নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘এখনো গতিহীন কেন্দ্র থেকে মাঠ প্রশাসন’। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পৌনে তিন মাস চলে গেলেও এখনো গতিহীন গোটা প্রশাসন। প্রশাসনযন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসনে সামগ্রিকভাবে চলছে এক ধরনের দায়সারা গোছের কার্যক্রম। ঘন ঘন বদলি, নিয়োগ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা পর তা বাতিল, আটটি করে সচিব ও জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ দিনের পর দিন শূন্য থাকার কারণেই মূলত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া আগের সরকারের যারা কর্মরত তাদের ওপর নীতিনির্ধরকদের এক ধরনের আস্থাহীনতা আছে। আর কখন চাকরি চলে যায়-এমন আশঙ্কা থেকেও ওইসব কর্মকর্তা (আগের সরকারের সময় পদায়ন) কাজকর্মে পুরোদমে মনোসংযোগ করতে পারছেন না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের যাবতীয় কাজের স্বাভাবিক গতি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর খোদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু শাখার কর্মকর্তা পদে একাধিকবার রদবদল করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব (পিএস) নিয়োগ দিয়ে একদিনের মাথায় তা বাতিল করা হয়েছে। এর আগে খাদ্য ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দিয়েও যথাক্রমে এক ও তিন দিনের মধ্যে তা বাতিল করা হয়েছে। একটি মন্ত্রণালয়ে সচিব নেই, এর অধীনস্থ অধিদপ্তর ও সংস্থায় নেই মহাপরিচালক (ডিজি) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।

এসব বিষয়ে মন্তব্য নিতে শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস-উর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। একই নম্বরে বিষয়বস্তু লিখে প্রতিবেদকের পরিচয় দিয়ে এসএমএস করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে তিনি এসএমএসের জবাব দেন। সেখানে লেখেন-‘অশেষ ধন্যবাদ পরে কথা বলি।’

জানতে চাইলে সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান যুগান্তরকে বলেন, প্রশাসনে উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। সচিবের পদ শূন্য থাকার কোনো কারণ নেই। জরুরি ভিত্তিতে সচিব নিয়োগ হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। পোস্টিং দিয়ে আবার সরিয়ে দেওয়া এটা এক ধরনের সিদ্ধান্তহীনতা। এসব বিষয় দায়িত্বশীলদের বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

কালের কণ্ঠ

‘বাতিল হচ্ছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের জন্য যুদ্ধ না করেও জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে নিজের বাবা জসমতুল্লাহর নাম বদলে মশমতুল্লাহ করেন। ক্ষমতার দাপটে ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইকালে আদমদীঘির প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মজিবরকে বাদ দিয়ে তাঁর লাল মুক্তিবার্তা নম্বর (৩০৬০৯০১২১) ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা বনে যান মজনু। কিন্তু বিধিবাম, ধরা খান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) শুনানিকালে।

পরে তাঁর ১৮৬৩ নম্বর বেসামরিক গেজেট ও সনদ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। শুধু মজিবর নন, শেখ হাসিনার টানা তিন মেয়াদে কমবেশি ১৮ হাজার ব্যক্তির নামে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট জারি করেছে মন্ত্রণালয়। তাঁদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এর মধ্যে আছেন হাসিনা সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের সাবেক  মেয়রও।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালীদের তদবির ও চাপে শত শত ব্যক্তির নামে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট জারি হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকারের আমলে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংস্কার করা হবে।’ গত ১৪ আগস্ট উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি আরো বলেন, ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের ত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হলে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় সংস্কার প্রয়োজন।’ কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব ইসরাত চৌধুরী। নিজ দপ্তরে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদে মোট ১৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাঁদের বিষয়টি তদন্ত করা হবে।’

ইত্তেফাক

‘রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে ঐকমত্য গড়তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দৌড়ঝাঁপ-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সরানোর পক্ষে ঐকমত্য তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। গতকাল শনিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে।

এর আগে শুক্রবার তারা আলোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে। আজ রবিবার তারা ১২ দল এবং গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বসবেন।

গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে দলের সিদ্ধান্ত কী হবে তা জানাবেন তারা। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, তার অতিদ্রুত রাষ্ট্রপতি পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর অপসারণ চান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা জানান, সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে যেতেই হবে। অধিকাংশ দলই রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে কালক্ষেপণ চায় না।

এদিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈষম্য ও নাগরিক কমিটির সাত নেতা আলোচনা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ২৩ অক্টোবর আমরা জাতীয় ছাত্র ঐক্যের ডাক দিয়েছিলাম। যেসব গণতান্ত্রিক দল আমাদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ বিলোপের প্রাথমিক ধাপে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছি। ফ্যাসিবাদ বিলোপের আরেকটি বাধা হিসেবে আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ। আমাদের নতুন যে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি।

সেখানে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রথমটি হচ্ছে—সেকেন্ড রিপাবলিক কীভাবে গঠন করা যায় এবং ঘোষণা দেব—তা নিয়ে আলোচনা করেছি। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে কীভাবে দ্রুততম সময়ে অপসারণ করা যায় এবং কীভাবে রাজনৈতিক সংকট দূর করা যায়—তা নিয়ে কথা বলেছি। তৃতীয়ত, জাতীয় ঐক্যকে ধরে রেখে কীভাবে সরকার পরিচালনা করা যায় তা নিয়ে কথা বলেছি।’

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘কার্যকর করা যাচ্ছে না সরকারের নীতি কৌশল’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচন, ২০১৮ সালের আগের রাতের নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের একতরফা নির্বাচনে সম্পৃক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরেও পুলিশ সদর দফতর, ডিএমপি, এসবি, সিআইডিসহ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে বহাল তবিয়তে কাজ করছে। ফলে কার্যকর করা যাচ্ছে না অন্তর্বর্র্তী সরকারের নীতি কৌশল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবকালীন সময়কালে যেসব কর্মকর্তা পুলিশ সদর দফতরের বিশেষ মনিটরিং সেলে সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও নিপীড়নের আদেশ সমন্বয়ের কাজসহ ২৪ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ মনিটরিং করে তৎকালীন পুলিশের নিয়ন্ত্রক সিন্ডিকেট সদস্যদের রিপোর্টিং-এর কাজ করতেন- সেসব কর্মকর্তা ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপার পদে পদায়ন পেয়েছেন। তারা ডিএমপিতে ডিসি- এডিসি- এসি হিসেবে, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের বিভিন্ন শাখায় পদায়ন পেয়ে ডেস্কে কর্মরত থাকায় বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তারা এখনো বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছেন।

অন্য দিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসনের সময়কালে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অধিকাংশই ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কাক্সিক্ষত পদোন্নতি পেয়েছে। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে তারা মূল পুলিশ কার্যক্রমের বাইরে থাকায় এবং ২০০৬ সাল পরবর্তী সময়ে যোগদানকৃত জাতীয়তাবাদী মনোভাবসম্পন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ পুরোপুরি না থাকায় তারা ফ্যাসিবাদকে সহায়তাকারীদের ঠিক মতো চিহ্নিত করতে পারছেন না। 

আর আওয়ামী দুঃশাসনের সময়কালীন জাতীয় নির্বাচন, উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার নির্বাচনে তৎকালীন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের আস্থাভাজন হিসেবে কর্মরত কর্মকর্তারা বর্তমানে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তাদের একটা অংশের সাথে অবৈধ লিয়াজোঁ রক্ষা করে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করতে পারছেন। এতে আওয়ামীবিরোধী মনোভাবাপন্ন পুলিশ কর্মকর্তারা যথাযথ পদায়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আর অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নানাভাবে বাধার মুখে পড়ছে।

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘A good example of a bad plan’ অর্থাৎ ‘কর্ণফুলী টানেল: বাজে পরিকল্পনার সর্বোত্তম উদাহরণ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুল আলোচিত টানেলটি এক বছর আগে চালু হয়েছে। এই টানেল দিয়ে প্রতিদিন যে পরিমাণ যানবাহন চলাচল করবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছিল, বাস্তবে তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ চলছে। ফলে, এই টানেল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে পরিমাণ টাকা দরকার তার চেয়েও কম হচ্ছে আয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

২০ অক্টোবর পর্যন্ত এই টানেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার ৯১০টি যানবাহন চলাচল করেছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, যান চলাচল থেকে টানেলের দৈনিক গড় আয় ১০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

কিন্তু টানেলের দৈনিক পরিচালন ব্যয় ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে প্রকল্পের প্রাক্কলন প্রতিবেদন অনুসারে, এ বছর দৈনিক গড়ে ১৮ হাজার ৪৮৫টি যানবাহন এই টানেল ব্যবহার করবে।

৯৮৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে টানেলটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চায়না কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার।

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সবার ওপরে ছিল কক্সবাজার’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে গত এক দশকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের আলোচনায় এসেছে বারবার। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে সমুদ্র-তীরবর্তী সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে। এ সময় শুধু এখানেই বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু হয় ২০৬ জনের। কক্সবাজার ছাড়াও এ তালিকায় ওপরের দিকে থাকা অন্য জেলাগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, খুলনা ও যশোর। সারা দেশে বন্দুকযুদ্ধে মোট নিহতের ৬০ শতাংশেরই প্রাণহানি হয়েছে এ কয়েকটি জেলায়।

যদিও প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তাদের ভাষ্যমতে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা পুলিশের পরিসংখ্যানে উঠে আসা তথ্যের তুলনায় কয়েক গুণ বেশিও হতে পারে। এসব জেলার স্থানীয় বাসিন্দা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলো যেখানে মাদক, চোরাচালান বা এ ধরনের অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বিস্তার ঘটেছে বেশি, সেখানেই এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে বেশি।

আজকের পত্রিকা

দেশের সোয়া পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের দু’টি করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে উল্লেখ করে দৈনিক আজকের পত্রিকার শিরোনাম ‘৫ লাখের একাধিক এনআইডি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সোয়া পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের দুটি করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। একাধিক এনআইডি করা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তাঁরা তা করেছেন। ফাঁকি দিতে অনেকে হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপও দিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা বলেছেন, এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নেওয়া সম্ভব হয়েছে ইসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে।

ইসির সচিব শফিউল আজিমও বিষয়টির সত্যতা মেনে নিয়ে বলেছেন, বাঁ হাত, ডান হাতের বিষয় তো পরে, পায়ের আঙুলের ছাপ দিয়েও ভোটার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির তথ্যভান্ডারে (ডেটাবেইস) ৫ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ জন দ্বৈত ভোটার রয়েছেন। অর্থাৎ তাঁরা প্রত্যেকে দুটি করে এনআইডি নিয়েছেন। অথচ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিক একটি এনআইডি পাবেন। আইন লঙ্ঘনে দণ্ডও আছে। তারপরও একাধিক এনআইডি নিয়েছেন সোয়া পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। যাঁদের মধ্যে ডা. সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ রয়েছেন। এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইসি। আরও অনেকের বিরুদ্ধে এমন মামলা করা হয়েছে। হারিছ ও জোসেফের নামে করা চারটি এনআইডি বাতিল (লক) করেছে ইসি। আরও অনেক এনআইডির বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দেশ রূপান্তর

‘ক্ষমতার ভারসাম্যে দ্বিকক্ষ সংসদ!’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, কোন পদ্ধতিতে হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। অন্তর্র্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি। তবে এর মধ্যেই রাজনীতিতে নতুন নির্বাচনী বন্দোবস্ত নিয়ে আলোচনা চলছে। দেশের মধ্যমসারির ও ছোট দলগুলো সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থার জন্য দেশ এখন প্রস্তুত নয়। বরং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ তৈরি হলে সংসদে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। সংসদে ভারসাম্য আসবে।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক মহলে এখন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালু নিয়ে আলোচনা চলছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে। এ সরকার রাষ্ট্রকাঠামো, নির্বাচনব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের ছয়টি খাত সংস্কারে আলাদা কমিশন করেছে।

পাঠকের মতামত

Bangladesh will definitely overcome all the conspiracy......

Md Hafizul Bari
২৭ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ৯:২০ অপরাহ্ন

বিএনপির সব সিদ্ধান্তের পিছনে একটাই চিন্তা কাজ করছে এবং তা হল অতিদ্রুত একটা নির্বাচন । দেশের স্বার্থ তাদের কাছে মুখ্য নয়। তাদের কাছে যে কোন ব্যাপারে পরামর্শ চাইলে তারা সবসময় একই কথা বলবে এবং তা হল অতিদ্রুত একটা নির্বাচন।

naz
২৭ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ৪:০৭ অপরাহ্ন

এমুহূর্তে বিএনপি একটি নির্বাচন লুভি দল।এরা কোন প্রকার ঝামেলা এড়িয়ে রাতারাতি ক্ষমতা বসতে চাই। এরা যদি ক্ষমতার গ্যারান্টি পায় হাসিনা কে ভারত থেকে এনে বিরুদি দলের প্রধান করতেও তাদের কাছে কোন সমস্যা হইবে না।

Ar
২৭ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ৪:০৩ অপরাহ্ন

Fesist also uphold constitution as per their boyan but we got result.we need to write new constitution.

Md.Mostafa Kamal
২৭ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

সেনাপ্রধানের সম্মতি ছাড়া পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না ।

Kazi
২৭ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status