দেশ বিদেশ
‘দ্বীনের বিজয়ের জন্য ওলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই’
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৩ অক্টোবর ২০২৪, রবিবারবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, দ্বীনের বিজয়ের জন্য ওলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই। তাদেরকে জাতির মিনার হিসেবে দাঁড়াতে হবে। আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য আল্লাহর নবী ও সাহাবায়ে কেরামদের পাগলপারা হয়ে কাজ করতে হবে। রাসুলের সাহাবীরা দ্বীন কায়েমের জন্য জান ও মালের ত্যাগ কোরবানিতে কোনো পরোয়া করেননি। শনিবার সকাল ৮টায় নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর ওলামা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। মাওলানা শামসুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর এদেশে আলেম ওলামাদের ওপর চরম জুলুম নির্যাতন চালানো হয়েছে। দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার কারণে অতীতে অনেক নবীদের বিনা অপরাধে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ অসংখ্য আলেম ওলামাদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করার অপরাধে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ওলামা কমিটির সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আলেম-ওলামার মাঝে কোনো ভেদাভেদ থাকা যাবে না। কওমি আলিয়ার মাঝে যে প্রাচীর রয়েছে তা উঠিয়ে দিতে হবে। ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়োত্তর আমাদের এই প্রিয় দেশকে সকল ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করে দ্বীন কায়েমে সচেষ্ট হতে হবে। তিনি আরও বলেন, এবার জামায়াতে ইসলামীকে বাংলার মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায়। নেতৃত্বের জন্য ওলামায়ে কেরামদের প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ইসলাম এই জমিনে পরাজিত হওয়ার জন্য আসেনি। ইসলামী আন্দোলনকে কখনই পরাজিত করা যাবে না। যতই চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হোক না কেন, কোনো শক্তিই ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নগর জামায়াতের আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, গত ১৭ বছর ইসলামের পক্ষে কথা বলার সুযোগ ছিল না। আলেম-ওলামারা কথা বলতে গেলেই কারাবরণ করতে হয়েছে। বৃটিশরাও ১৮৩ বছর ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, টিকে থাকতে পারেনি। ইসলামী শক্তিকে যতবেশি জুলুম-নির্যাতন করা হয়েছে ইসলাম ততটা শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে। কেন্দ্রীয় ওলামা কমিটির সেক্রেটারি মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে আলেম-ওলামারা জীবনবাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আলেম-ওলামারা মাঠে নেমেছিল। জালেম সরকার দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা মমতাজুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর শায়খুল হাদিস আল্লামা আলী উসমান, খুলশী সেগুনবাগান তালীমুল কোরআন কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন ইসলামী ব্যাংক শরিয়াহ কাউন্সিলের সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় ওলামা কমিটির সদস্য মাওলানা আব্দুস সামাদ। ওলামা-মাশায়েখদের উদ্দেশ্যে পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের প্রফেসর ড. মাওলানা হাফেজ শাফি উদ্দিন আল মাদানী, প্রফেসর ড. বি এম মফিজুর রহমান আল আজহারী, প্রফেসর ড. মাওলানা শফিউল আলম ভুঁইয়া ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, বাইতুশ শরফ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু সালেহ মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ, ওয়াজেদিয়া আলীয়া মাদ্রাসা চট্টগ্রামের মুহাদ্দিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান, জাকেরুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু হানিফা মো. নোমান।