ঢাকা, ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

শেষের পাতা

উচ্চমূল্যেই বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্য

স্টাফ রিপোর্টার
১২ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার
mzamin

বাজারে অস্থিরতা কাটছেই না। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজির দামই বেড়েছে। অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার আশেপাশে। এ ছাড়া নতুন করে চালের দামও বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরবরাহ সংকটের কথা উল্লেখ করছেন বিক্রেতারা। সবজি, চাল, মাছ ও মুরগিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। 

তালতলা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা। প্রতিটিই বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির মধ্যে টমেটো ২৬০ টাকা, গাজর ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, মানভেদে বেগুন ১০০ থেকে ১৮০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটোল ৮০ থেকে ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৯০ টাকা, ধুন্দল ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বরবটি ১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ও চাল কুমড়া ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির এই অতিরিক্ত দাম প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের বন্যার কথা উল্লেখ করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, সবজি মূলত উত্তরবঙ্গেই বেশি উৎপাদন হয়। ওইদিকে বন্যা হওয়ায় বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। ওইদিকে সবজি চাষে সমস্যা হলে বাজারে স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়ে। বন্যা-বৃষ্টি কমলে সবজির দাম কমে আসবে বলে ধারণা করছেন তারা।

এদিকে বাজারে আকার ও মানভেদে ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আর দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এ ছাড়া আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২১০ থেকে ২২০ টাকা, চায়না আদা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মুরগির দামও বেড়েছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, কক মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে নতুন করে চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মাছের বাজারও চড়া। অন্যান্য মাছের সঙ্গে বেড়েছে গরিবের মাংস খ্যাত পাঙাশের দামও। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়, যা সাধারণত ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়া বাজারে রুই মাছের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় এবং তেলাপিয়া মাছের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। অন্যদিকে চাষের কৈ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কার্প জাতীয় মাছ ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, চাষের শিং ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের ইলিশ মাছ ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে। বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭ টাকায় এবং খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৩ টাকায়। 

পাঠকের মতামত

নিত্যপণ্য উৎপাদন করে কিছু মানুষ আর খাই আমরা সবাই। মূল্যতো অবশ্যই বাড়বে। নিত্যপণ্য বাজারে আগুন আগুন জিকির না করে মোবাইলে ফেসবুক/ইউটিউব এ সময় নষ্ট না করে সবাই বাসাবাড়ির ছাদে বা ফাঁকা জায়গায় টবে শাকসবজি চাষ করার চেষ্টা করুন ইনশাআল্লাহ সফল হবেন এবং বাজারে মূল্য বাড়বে না।

মাজহারুল ইসলাম
১২ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ৮:১১ পূর্বাহ্ন

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status