ঢাকা, ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

বাংলারজমিন

শেকৃবি ক্যাম্পাসের ২০ একর জুড়েই গড়ে উঠেছিল অবৈধ বস্তি

শেকৃবি প্রতিনিধি
১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার
mzamin

প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের আশ্রয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ একর জমির ২০ একর জুড়ে গড়ে উঠেছিল অবৈধ বস্তি যা উচ্ছেদে দীর্ঘ ১৫ বছরে উদ্যোগ নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসন। তবে দেশের সামগ্রিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে অবৈধ বস্তি উচ্ছেদের কার্যকরী দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ৮৭ একর ক্যাম্পাসের ২০ একরের অধিক জায়গা জুড়ে বিদ্যমান থাকা এসব বস্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ভবনে ২৬০টি পরিবারকে অবৈধভাবে ভাড়া দেয়া হতো। অবৈধ এসব ভাড়া থেকে আসা অর্থের বড় একটি অংশ আওয়ামী সরকারের আমলে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের পকেটে যেতো বলে অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র থেকে জানা যায়, বাসা ভাড়ার একটি অংশ থেকে মাসিক ১ লাখের অধিক পরিমাণ টাকা নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে দেয়া হতো যা সামগ্রিকভাবে আরও বেশি। পরবর্তীতে আওয়ামী সরকারের পতনের পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ৯ই সেপ্টেম্বর বস্তি উচ্ছেদের উদ্যোগ গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রশাসন এবং ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ এবং অবৈধভাবে দখলকৃত সকল স্থাপনা ও জমি ছেড়ে দেয়ার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩০শে সেপ্টেম্বরের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে ভাড়া থাকা ২৬০টি পরিবারের মধ্যে ১৯০টি পরিবার ইতিমধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি অবহিত করেন, বস্তি সমস্যা সমাধানে আমরা শক্ত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে অধিকাংশ ভাড়ায় থাকা পরিবার ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছে। বাকিরাও দ্রুতই ত্যাগ করবে। তবে অবৈধ এই বস্তি স্থাপন এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। আমরা দ্রুতই এ বিষয়েও পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং নিয়মের বাইরে গড়ে ওঠা সকল বস্তি ভেঙে ফেলা হবে। অবৈধ বস্তি সমস্যা সমাধানে প্রশাসন অনড় অবস্থানে থাকবে বলেও জানান তিনি। মূলত অবৈধ এই বস্তিতে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের মানুষ বসবাস করতো যা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামগ্রিক পরিবেশ ও নিরাপত্তা বিঘ্নের কারণ ছিল। বহিরাগত এসব ভাড়াটিয়াদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি মাদক সেবন ও বিক্রির কাজে সম্পৃক্ত ছিল। বিভিন্ন সময়ে এদের অনেকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ইভটিজিং করার অভিযোগও পাওয়া যায়। তবে আওয়ামী সরকারের সময়ে রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রভাব ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে অবৈধ এই বস্তি ক্যাম্পাস থেকে দীর্ঘ ১৫ বছরেও উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্তি সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘদিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এই সমস্যার ভুক্তভোগী ছিল। আমরা প্রশাসন থেকে ইতিমধ্যে এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ক্যাম্পাস সংস্কার এবং শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রমের দিকে আমাদের সর্বাধিক অগ্রাধিকার থাকবে।

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

দেনমোহর কমাতে অভিনব কৌশল/ তালাকের পর আবার বিয়ে, কিছুই জানে না গৃহবধূ

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status