প্রথম পাতা
গুজব গুঞ্জনের নেপথ্যে
শুভ্র দেব ও পিয়াস সরকার
১০ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা গুজব-গুঞ্জনের ছড়াছড়ি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভুয়া ও অপ-তথ্য ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিভিন্ন পক্ষ থেকে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দলীয় ফেসবুক পেজ থেকেও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আসছে। যথেষ্ট পরিমাণ সাইবার নজরদারি না থাকায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গুজবকারীরা এটা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে। বিনিময়ে ভিউ ব্যবসা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের নানা কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে এবং তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে ফায়দা নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও কখনো নিজেরা আবার কখনো টাকা খরচ করে বিভিন্ন ইস্যুতে গুজব রটাচ্ছে। আবার এসব গুজব তারা নিজেরাই শেয়ার করে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, গুজব নিয়ে সাইবার ইউনিটগুলো কাজ করছে। সাইবার পেট্রোলিং, নজরদারি করে অনেক পেজ, আইডি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া যেসব প্ল্যাটফরম থেকে গুজব ছড়ানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে।
শুরুটা হয়েছিল সরকার পতনের পর দেশব্যাপী পুলিশের অনুপস্থিতে চুরি ডাকাতি ও মন্দির ভাঙচুর নিয়ে। তখন প্রায়ই ফেসবুকে ভেসে বেড়াতো ডাকাতি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, মন্দির ভাঙচুরের ঘটনাগুলো। বিশেষকরে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কয়েক বছর আগের পুরাতন ছবি ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। গুজব ছড়িয়ে একটি পক্ষ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আন্দোলনে নামাতে বাধ্য করে। যদিও পরে তারা বুঝতে পারেন এটি গুজব। তবে বিচ্ছিন্ন পরিসরে কিছু ঘটনাও ঘটেছিল। সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সোচ্চার হওয়ার পরে গুজব বন্ধ হয়ে যায়। তারপর বন্যার সময়ও বিভিন্ন পেজ থেকে গুজব ছড়ানো হয়। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে প্রতিমা ভাঙচুরের গুজবও ছড়ানো হয়। উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে তাকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়। শেখ হাসিনা পরিবারকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও সোহেল তাজ। এমন গুজবে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৯৪ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনাকে বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন এমন গুজবও কিছুদিন আগে ছড়িয়ে দেয় আওয়ামী লীগ। হাসিনা শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলে এখনো গুজব ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পলায়নের আগে থেকেই গুজবের বাহনে হাঁটছে দলটি। দলটির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে একের পর এক গুজব। নানান সময় গুজব ছড়িয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে অস্থিরতা। এই গুজবগুলো ছড়ানো হয়েছে মূলত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের গ্রুপ ও পেজ থেকে। গুজব ও অসত্য তথ্য যাচাইকারী সংশ্লিষ্ট পেজ ‘রিউমার স্ক্যানার’ বলছে- শুধু আগস্ট মাসেই ৩৭০টি গুজব যাচাই করেছেন তারা, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। গত ৪ঠা আগস্ট ছাত্র-জনতার বিশাল জমায়েত থেকে আওয়ামী সরকারের পতনের একদফা ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার পরই জানানো হয় একদিন এগিয়ে এনে পরদিনই হবে রোডমার্চ টু ঢাকা। এদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়। তারকাদের ছবি ব্যবহার করে ‘কোটা সংস্কারের পক্ষে ছিলাম, কিন্তু একদফার পক্ষে নাই’। আবার এদিন রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে ব্যাপক প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়া হয়। রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শাহবাগ দখলে নিয়েছে ছাত্রলীগ এমন প্রচারণা চালানো হয়। অথচ তেমন কোনো কিছুই ছিল না সে রাতে। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছিল সুনসান নীরবতা।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে ভিডিও ছড়িয়ে বলা হয়- অন্তর্বর্তী সরকারের বিপক্ষে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। পরবর্তীতে জানা যায় এগুলো ছিল পুরনো দিনের ভিডিও। এরপরই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়- সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর, হামলা, হত্যা, ধর্ষণ করা হচ্ছে নির্বিচারে। এসবে ব্যবহৃত ছবি ব্যবহার করা হয় পুরনো। আবার শাহবাগে বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করেন। কিন্তু এরপর ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে কোথায় হামলা হয়েছে এটা বলা হলে তারা ‘নিজ বাড়ির’ ঠিকানা পর্যন্ত বলতে পারেননি। এর পরপরই ফের একটি গুজব ছড়ানো হয় এদেশে পূজা উদ্যাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর শুরু হয় জাতীয় সংগীত নিয়ে গুজব। এরপর ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয় জাতীয় সংগীতের বদলে পাঠ করা হবে সুরা ফাতিহা।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার দুটি আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়। এটি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয় বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে। তবে পরবর্তীতে এটা যে ইডিট ছবি তা জানা যায়। কয়েকটি নকল পদত্যাগপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বলা হয়- পদত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। এরপর মামুনুল হকের ছবি ব্যবহার করে বলা হয়- হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আবার ব্যাপকভাবে প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল- বদলে গেল পুলিশের লোগো। নৌকা বাদ দিয়ে আল্লাহু। আবার ভারতীয় মিডিয়ায় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনের ভিডিও ছড়িয়ে বলা হয়- হিন্দু নারীর কান্না। ভারতীয় মিডিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাসভবন যমুনার সামনে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে রাস্তায় বসে পড়া নারীদের ছবি ব্যবহার করে পরিচয় দেয়া হয়- বাসস্থানে হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন। ভারতীয় মিডিয়ায় এরকম অসংখ্য ঘটনাকে হিন্দুু নির্যাতন বলে চালানো হয়।
এলিটফোর্স র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস মানবজমিনকে বলেন, র্যাবের সাইবার ক্রাইম ইউনিট থেকে সাইবার পেট্রোলিং করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম মানবজমিনকে বলেন, সবসময়ই একটা পক্ষ গুজব ছড়িয়ে অস্থির পরিবেশ তৈরি করতে চায়। আমরা যারা সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করি তারা সাইবার পেট্রোলিং, নজরদারি করে থাকি। যেগুলো প্রপাগান্ডা সেগুলো শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, দুর্গাপূজাকে ঘিরে বিভিন্ন স্থান থেকে গুজব ছড়ানো হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে হয়তো দুয়েকটা ঘটনা ঘটেছে তবে সেটাকে বড় করে গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে একটি পক্ষ। এগুলো নিয়েও আমরা কাজ করেছি এবং এখনো করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও সমাজ এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক মানবজমিনকে বলেন, একটা দেশে গুজব রটনাকারীরা গুজব ছড়ানোর সুযোগ তখনই পায় যখন বিষয়গুলো বিশ্বাস করার মতো লোক থাকে। আমাদের এখানে গুজব বিশ্বাস করার লোক সবসময়ই আছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যারা বিরোধী অবস্থানে থাকে বা যারা সরকারে থাকেন তাদের সমর্থকগোষ্ঠী অথবা নিজেদের অর্থায়নে তৈরি সমর্থকগোষ্ঠী নানাভাবে মানুষকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করে। বিভ্রান্ত করলে লাভ হলো যারা সরকারে থাকে তারা ভুল তথ্য ছড়িয়ে বিরোধীপক্ষে যারা তাকে তাদের সম্পর্কে যদি একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি করা যায় তবে তারা মনে করে এটা রাজনৈতিক সফলতা। একইভাবে বিরোধী অবস্থানে যারা থাকে তারাও এরকম করে
পাঠকের মতামত
গুজব ছড়ানোর জন্য আমীলীগ হাসিনার সময়ে একটা গুজব তৈরির সেল গঠন করেছিল। সেটি এখনও চালু আছে মনে হয়। আর হাসিনার সাংগো পাংগোরা সোস্যাল মিডিয়ায় এখন ভয়ংকর রুপে ফিরে এসেছে। গা ঢাকা দিয়ে গোপনে ফেসবুক সহ নানান মিডিয়ায় তারা শুধু গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। কেউটে সাপ উর্মির পক্ষে তারা মানান সাফাই গাচ্ছে। জনাব নাহিদ সাহেবর উচিৎ ঐ অ্যাকাউনট গুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবসথা নেয়া।
এইসকল গুজব ছড়িয়ে আওয়ামীলিগ নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে - জনগন বলতে শুরু করেছে আওয়ামীলিগ মানেই গুজব পার্টি
সরকার ও সরকারের নান উদ্যোগকে বিকৃতি ও বিভ্রান্তি করে বাধাগ্রস্থ করতে গুজবকারীরা ভয়ংকর মিশনে নেমেছে এদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়া এখন অত্যন্ত জরুরি।
গুজব রটনাকারীদের উপর গজব নাজিল হোক।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দলীয় ফেসবুক পেজ থেকেও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আসছে। যথেষ্ট পরিমাণ সাইবার নজরদারি না থাকায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গুজবকারীরা এটা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে।এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যে হাসিনার পতনের পর গত দুই মাসে তাঁর একজন আত্মীয়ও পুলিশের কাছে ধরা পড়েনি, সবাই যথাসময়ে দেশ থেকে ভেগে যেতে পেরেছেন। তাঁদের সবাই কোটিপতি হয়ে গেছেন, সবারই বিদেশে হয়তো বাড়িঘর রয়েছে কিংবা নাগরিকত্ব রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের যেখানেই তাঁদের বাড়িঘর ও ব্যবসা ছিল, সব হয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নয়তো লুটতরাজ ও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। এ সত্ত্বেও গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশ থেকে বিদেশে যে পরিমাণ অর্থ তাঁরা পাচার করেছেন, তা দিয়ে বাকি জীবন বিদেশে আরাম-আয়েশে কাটিয়ে দেবেন তাঁরা। আফসোস হচ্ছে, তাঁরা যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে ভেগে যেতে পেরেছেন, সে অর্থ দেশের জনগণ হয়তো কখনোই ফেরত পাবেন না।
মারা গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে তাদেত ব্যপারে কঠোর হওয়া উচিত।
গুজব রটনা করা ইসলামে জায়েজ নাই। কাজেই গুজব রটনা থেকে বিরত থাকুন।
বিশ্ব আওয়ামী অনলাইন লীগ, Binodon bangla, এই পেজ সহ বেশ কিছু পেজ হতে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, এদের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না
সেই পুরনো কায়দা। একটানা গুজব, অপপ্রচার, মিথ্যাচার। তারপর সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ও অঙ্গনে নাশকতা। অন্তর্ঘাত। এরপর কোনো একটা জনপ্রিয় ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন। সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে গুপ্ত যোগসাজস। এভাবেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি। ঘোলাজলে মাছ শিকার। রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিতদের অজনপ্রিয় করা। তারপর লাগাতার সন্ত্রাসে সমাজে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতির তুবড়ি ছোটানো। এ করেই ওরা কয়েকবার 'হারানো স্বর্গ' ফিরে পেয়েছে৷ এবারো ভাবছে তাই বুঝি সম্ভব। কিন্তু না, সেটা অসম্ভব হয়ে গেছে। জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদের পতনেরভপর বদলে গেছে পুরো বাংলাদেশ। বদলে গেছে পালাবদলের রসায়ন। কাজেই পুরনো কায়দা আর চলবেনা। বদলাতে হবে, বদলে যেতে হবে। নতুবা সব হবে ধন্য আশা কুহকিনী!
এতদিন এদের ফেসবুক লীগ ডাকা হলেও এরা এখন গুজব লীগে পরিনত হয়েছে।
Indian League should attempt killer Hasina to be PM of India
গুজবে বিশ্বাস করার কারণ তো আছে। তারমধ্য প্রথম কারণ হলো রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ এর মানুষ আবার সেনা বাহিনীর প্রধান ও আওয়ামী লীগ এর নিয়োগ কৃত ব্যাকতি আবার জন প্রসশান এ যাকে নিয়োগ দিয়েছে তিনিও লিগের মানুষ। ডক্টর ইউনুস স্যারের উপর বাংলাদেশের মানুষের৯০% আস্তা আছে কিন্তুু তার চারপাশের মানুষ গুলো ১০০% জাতীয়তাবাদী না। তাই ৯০% মানুষ গুলো সব সময় টেনশনে আছে। তাই অতিদ্রুত ডক্টর ইউনুস কে যে কোনো একজনকে সরাতে হবে নাহয় মানুষ গুজবে কান দিবে।
মিথ্যাচার অসত্য প্রচার আওয়ামীদের জম্মগত স্বভাব। আওয়ামীলীগের ভিত্তিই হলো গোয়েবলসি কায়দায় মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা সত্যকে বিলুপ্ত করা। গত সারে দেড় দশকে তাদের অবৈধ শাসনামলের যত কথা যত বিবৃতি যত আলাপ যত সংলাপ তার ৯৯.৯৯% ছিল মিথ্যাচার দিয়ে পূর্ণ। তাতে জড়িত ছিল স্বয়ং আওয়ামী প্রধান শেখ হাসিনা সহ তার টপ টু বটম সকল নেতা কর্মী সমর্থক শুভানুধ্যাুয়ী সহ প্রতিটা মানুষ। এখন গণ বিপ্লবে ক্ষমতা হারিয়ে আওয়ামী সম্প্রদায় অনেকটা উম্মাদ হয়ে গেছে। সেই উম্মাদনা বিস্তারের আরেক অধ্যায় হলো দেশে নানারূপ বিশৃংখলা অস্বস্তি উত্তেজনা ছড়ানোর মাধ্যমে অন্তরবর্তি সরকার এবং জনগণ কে বিভ্রান্ত করা সহ দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করা। এসব বিষয়ে সরকার এবং জনগণকে তীক্ষ্ন সতর্ক থাকতে হবে যাতে গুজব তার ডালপালা ছড়াতে না পারে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থাও নিতে হবে এসব বিভ্রান্তি ছড়ানোদের বিরুদ্ধে।
গুজবকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা একটা ব্যার্থতা...... এমনটা চলতে থাকাটা খুবই পীড়াদায়ক …...
আমাদের বাংলাদেশে গুজব রটনাকারীরা গুজব ছড়ানোর সুযোগ তখনই পায় যখন গুজব বিশ্বাস করার মতো মানুষ থাকে। আমাদের দেশে গুজব বিশ্বাস করার মত মানুষ অনেক আছে। রাজনৈতিক ভাবে যারা বিরোধী পক্ষে থাকে বা যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের সমর্থকগোষ্ঠী মানুষকে নানাভাবে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে। বিভ্রান্ত করলে লাভ হলো যারা সরকারে থাকে তারা ভুল তথ্য ছড়িয়ে বিরোধীপক্ষে যারা তাকে তাদের সম্পর্কে যদি একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি করা যায় তবে তারা মনে করে এটা রাজনৈতিক সফলতা। একইভাবে সরকার বিরোধী পক্ষও এরকম করে। সরকারকে এ বিষয়ে আরো সাবধান হতে হবে।
স্বৈরাচারীর উচ্ছিষ্টভোগীদের মর্মবেদনার বহিঃপ্রকাশ গোয়েবলীয় প্রোপাগাণ্ডা!
গুজবকারিদের চোখাবাঁশের আগায় রাখতে হবে।