প্রথম পাতা
শেষ পর্যন্ত কাকে বেছে নেবেন হাসিনা
মতিউর রহমান চৌধুরী
৮ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন কী করবেন? দলের দায়িত্ব কাকে দেবেন? তিনিই বা যাবেন কোথায়? এ নিয়ে তিনি মনস্থির করতে পারছেন না। গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে ভারতে পালিয়ে যান। এখনো তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। দুবাই চলে যাচ্ছেন- এমনটা চাউর হয়ে আছে ক’দিন থেকে। বিশেষ করে মানবজমিনে রিপোর্ট প্রকাশের পর। মানবজমিন আন্তর্জাতিক চাপের প্রসঙ্গ টেনে খবর দিয়েছিল ভারত সরকার তাকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে পাঠাতে সম্মত হয়েছে। যাই হোক, মাঝেমধ্যে তিনি তার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। অনেকেই এটাকে ‘অডিও বিপ্লব’ বলছেন। পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে অডিও বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে নিমিষেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব কার হাতে দিচ্ছেন। এই প্রশ্ন এখন সর্বত্র। নেতাকর্মীরাও চাচ্ছেন দলকে সংগঠিত করতে।
সর্বশেষ অডিও বার্তা থেকে জানা যায়, হাসিনা বলছেন- কাকে দায়িত্ব দেবো? যাকেই দেবো সেই তো গ্রেপ্তার হয়ে যাবে। রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, হাসিনা দলের কাউকেই বিশ্বাস করেন না। তিনি শেষদিন পর্যন্ত চেষ্টা করবেন পরিবারের মধ্যেই কাউকে বেছে নিতে। দু’মাস হয়ে গেল তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন ছোটবোন রেহানা। কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কাজের সূত্রে দিল্লিতে রয়েছেন। মাঝেমধ্যে তিনিও দেখা করছেন। ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার সঙ্গে দেখা করছেন। করছেন শলা-পরামর্শও। এ নিয়ে নানা গুজব তো রয়েছেই। ওদিকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাসিনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। দলকে সংগঠিত করার তাগিদ দিচ্ছেন। ডাকসাইটে সাবেক এক মন্ত্রীকে দল গোছানোর দায়িত্ব দিয়েছেন, অঘোষিতভাবে।
এই নেতা বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। বলছেন, ধৈর্য ধরো নেত্রী সহসাই নির্দেশ দেবেন। এর আগেও এমন অবস্থা হয়েছিল আওয়ামী লীগের। ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অস্তিত্ব সংকটে পড়েছিল আওয়ামী লীগ। দলের একাংশ ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে অনেক বড় নেতা দেশেই অবস্থান করছিলেন। অনেকে অবশ্য জেলে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই পালিয়ে গেছেন ভারতে। বিদেশে থাকায় ১৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন। পশ্চিম জার্মানি থেকে ভারতে নিয়েছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয়, ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করেছেন দলটির অনেক বড় বড় নেতা। বলাবলি আছে, যাওয়ার আগ মুহূর্তে কাউকে কিছু না বললেও দলের অন্তত দু’জন নেতাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন পরিস্থিতি বিবেচনায় নেতাকর্মীরা যেন ভারতে চলে যায়। এ কারণেই কি সব ‘মাস্টারমাইন্ড’ও ভারতে পৌঁছে গেছেন নিরাপদে!
যারা শেখ হাসিনাকে ডুবিয়েছেন তারাই আবার ঘুর ঘুর করছেন তার চারপাশে। এরাই কিন্তু নিজ দেশের নিরীহ জনগণের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়েছিল। যাই হোক, এটা কোনো সেইফ এক্সিটের অংশ কিনা- এ নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন। ঢাকায় আত্মগোপনরত কোনো নেতাই মুখ খুলছেন না। বরং যারাই রয়েছেন তাদের প্রায় সবাই শেখ হাসিনাকে দায়ী করছেন। বলছেন, তার একগুঁয়েমি ও প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং সীমাহীন দুর্নীতি দলকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এই সংকট এখন সর্বগ্রাসী। শেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরতে পারবেন? অসংখ্য হত্যা মামলা তার বিরুদ্ধে। গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে চলেছেন।
দলের কেউ কেউ বলছেন, অতিমাত্রায় ভারত নির্ভর হওয়ার কারণে শেখ হাসিনার এমন পরিণতি হয়েছে। সঙ্গে ভারতও একপেশে নীতির কারণে দৃশ্যপট থেকে বিদায় নিয়েছে। আত্মগোপনরত একজন আওয়ামী লীগ নেতা বললেন, হাসিনার সমস্যা হাসিনা নিজেই। আমলাদের ওপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন দলকে ব্যবহার করতেন লাঠিয়াল হিসেবে। দল আর সরকার এক হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে হাসিনার পতনের পর ঐতিহ্যবাহী এই দলটি হারিয়ে গেছে রাজনীতির মাঠ থেকে। আওয়ামী লীগ হয়তো আবার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু তা সময়ের ব্যাপার। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যারা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন, এখন তারাই বলছেন- হাসিনার স্বৈরাচারী মনোভাব চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কতিপয় আমলা ও নেতার ওপর ছিলেন হাসিনা অন্ধ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রোবটের মতো আচরণ করতেন। তাকে যা বলা হতো তাই তিনি বলে যেতেন অবলীলায়। এক পর্যায়ে তিনি বনে গেলেন ‘বিএনপি বিষয়ক মন্ত্রী’। প্রতিদিনই বিএনপি, তারেক রহমান আবার কখনো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতেন। ফ্যাশান আর টাকা বানানোর নেশায় তাকে পেয়ে বসেছিল। এখন তিনি কোথায়? সিঙ্গাপুর না ভারত, কেউ বলতে পারছেন না। শুরুতে শোনা গিয়েছিল তিনি নাকি যশোর সেনানিবাসে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের সাধারণ সম্পাদক যখন নিরাপত্তা বাহিনীকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন তখনই প্রশ্ন ওঠে এই কাজটি কার। কারফিউ জারি হলে পুলিশ বা সেনাবাহিনী এই নির্দেশ দিয়ে থাকে। আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট- এই বার্তাও দিয়েছিলেন। এতে করে ছাত্রলীগ পরিণত হয় দানবে। জনমানুষের ঘৃণা সৃষ্টি হয় তাদের বিরুদ্ধে। এ জন্য কাদেরকেই দায়ী করা হচ্ছে। তিনি হয়তো বলবেন, আমাকে যা বলা হয়েছিল- আমি তাই বলেছি। সরকারের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে এসব নির্দেশে। এখন আসলে পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে। হাসিনার সামনে বিকল্প কী? ভারতে কতোদিন থাকতে পারবেন? বেশিদিন নেই এটা তো এখন স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক চাপে ভারত তাকে বলেছে, ভিন্ন গন্তব্য খোঁজার। সর্বশেষ খবর তিনি দুবাই চলে যেতে পারেন।
হাসিনা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রমের নিত্যদিনের হিসাব-নিকাশ পেয়ে যাচ্ছেন মুহূর্তেই। তিনি তার সহকর্মীদের বলছেন, মজা টের পাক। কতোদূর যাবে? দলের গোপালগঞ্জের এক নেতাকে বলেছেন, দেখ এক মাসও টেকে কিনা! শেখ হাসিনা যাই বলেন না কেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো নড়বড়ে, দুর্বল। দিক নির্দেশনাহীন। পেছনে সেনা সমর্থন না থাকলে তাদের অবস্থা কেমন হবে? সরকারের ভেতরে রাজনৈতিক শক্তির উপস্থিতি না থাকায় এমনটা হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। দু’মাস কেটে গেল এভাবেই। সংলাপে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। বিএনপি চাচ্ছে যৌক্তিক সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন। জামায়াত হাঁটছে ভিন্ন স্রোতে। তারা চায় সংস্কার শেষে নির্বাচন। এটা কিন্তু বলা হচ্ছে না সংস্কারের জন্য কতোদিন সময় দরকার। জামায়াত হয়তো জানে না এই কৌশল পরাজিত শক্তিকেই উৎসাহিত করবে। তারা অবশ্য বারবার ভুল পথেই পা বাড়ায়। ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার এক আড্ডায় শোনা গেল, জামায়াতের এই কৌশলকে উৎসাহিত করছে আঞ্চলিক একটি শক্তি। এখানে একটা সত্য কাহিনীর অবতারণা করছি। শেরেবাংলা একে ফজলুল হক যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখনকার ঘটনা। একদিন মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব হাসতে হাসতে এসে বললো, স্যার আজ একটা সুখবর আছে। শেরেবাংলা জানতে চাইলেন কী সেই সুখবর। বলো, বলো! একান্ত সচিব বললেন, স্যার আজ আনন্দবাজার আপনার প্রশংসা করেছে। তখন শেরেবাংলা বললেন, আরে গর্দভ, এটা সুখবর নয়। খোঁজ নিয়ে দেখো আমি কোথাও ভুল করেছি। মনে রেখো, ওরা যখন আমার প্রশংসা করবে তখন বুঝবে আমি ঠিক পথে নেই। আর যখন সমালোচনা করবে তখন বুঝবে আমি সঠিক পথে রয়েছি। ওদিকে ইসলামপন্থিরা সংগঠিত হচ্ছে। তারা নতুন এক কাফেলা তৈরি করতে যাচ্ছে। যেটা এর আগে কখনো হয়নি। এই ভূখণ্ডে নতুন। নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে এই কাফেলা ততো লম্বা হবে। দেখা যাক না শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়!
পাঠকের মতামত
পতীত সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতা নেত্রীরা শিশু,যুবক, বৃদ্ধ, মহিলাসহ জনগণকে হত্যা করেছে। সা জনগণ কোনদিন ভুলতে পারবে না। তদুপুরি এটা যে তাদের অন্যায় হয়েছে তাও স্বীকার করে না। তাই যে দল নিজেদের দোষ দেখেনা বরং প্রতিশোধ নিতে চায় কিভাবে জনগণের কাছে যাবে?
মৃত্যুর পর কেউ ফিরে না। দলের মৃত্যু হলে তার ফেরার প্রশ্ন উঠবে কেন? এ দেশের রাজনীতিতে পলাতকের লিস্টে নাম দাগিয়ে এরা প্রথম থেকেই বিশাল অর্জন ফেলে পলাতকের ভূমিকায় থেকেছে। ঐ পুরানো অপর্মৃত্যু তাদের বার বার জেকে বসেছে। এরা মরে নাই বরং করেছে আত্মহত্যা!
মানবজমিন সবসময়ই সাহসী, লিখনী বাস্তব। উন্নততর চেতনাবোধ এই পত্রিকার বৈশিষ্ট্য। হে সাহসী দৈনিক- কলমযুদ্ধে আপনার আগামীর বিজয় সুনিশ্চিত............
ইসলাম পন্থিরা এগিয়ে যাবেই
খুনীদের এদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।
শেখ হাসিনা এদেশে রাজনীতি করতে হলে সকল গনহত্যার বিচার হওয়ার পরে রাজনীতি করতে হবে। এর আগের রাজনীতি করার সুযোগ নাই। এদেশে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার নূন্যতম সুযোগ নাই। এদেরকে সমর্থন করা মানে সকল গনহত্যাকে বৈধতা দেয়া। যা কোন বিবেকবান মানুষ করতে পারে না। জামায়াত দল হিসেবে আওয়ামী লীগের আমলে জুলুমের শিকার হয়েছে, এখন বিএনপির সাথে বৈরীতা করে নির্বাচন করলে জামায়াত যদি বিরোধীদল হিসেবে সংসদে থাকে তখন আবার জুলুমের শিকার হবে।
পালিয়ে গেলে আর নেতা থাকেনা, তেনা হয়ে যায় ।
এদেশে রাজনীতি করতে হলে বিডিআর হত্যা ২০১৩,২০২১ ও ২০২৪ সালের গণহত্যার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
একেবারে সত্য লিখেছেন প্রিয় ভাই । শুভ কামনা নিরন্তর ।
বেছে নেওয়ার অপশন কোথায় ? সবাই তো জুতা মারছে । নিলজ্জ এই মহিলার আত্মসন্মান বলে কিছু থাকলে এতোদিনে আত্মহত্যা করতো । ওয়াক থু
যারা সহানুভূতিশীল হয়ে এই পতিত আওয়ামী নেতা কর্মীদের ছাড় দিচ্ছেন সুযোগ আসলে আওয়ামী নেতাগন ওদের ঘাড় মঠকাবে সবার আগে। পুলিশ নামক নির্যাতনের আয়না ঘরটি আবার স্বমূর্তিতে ফিরে আসবে। অর্থ কামাই ও সমান্তরাল প্রতিশোধ ছাড়াও সকল কালাকানুন ফিরিয়ে এনে এক ভয়ংকর ত্রাশের রাজ্য কায়েম করবে।
একটি রম্য গল্প। ঢাকার গুলিস্তানে ছিনতাইকারী এক মহিলার ব্যাগ নিয়ে যায়। ধাওয়া দিয়ে ছিনতাইকারীর কাছ থেকে এক যুবক ব্যাগটি উদ্ধার করে মহিলার নিকট পৌঁছে দেয়। ব্যাগ পেয়ে মহিলা যুবকটির অনেক প্রসংশা করে। যুবক জানতে চায় ব্যাগে সবকিছু ঠিক আছে কি না? ব্যাগ ভালো ভাবে দেখে মহিলা বলে তার সব কিছুই ঠিক আছে। ছিনতাইকারী কিছু নিতে পারে নাই। তখন যুবকটি মহিলার কাছে দুই হাজার টাকা দাবি করে। মহিলা যুবক কে প্রশ্ন করে দুই হাজার টাকা কে দিতে হবে। উত্তরে যুবক বলে ব্যাগ উদ্ধার বাবদ তার ফি হচ্ছে দুই হাজার টাকা। কিন্তু মহিলার ব্যাগে আছে তিন শত টাকা। আমাদের অবস্থা এই মহিলার মতো। দেশের দামের চেয়ে দাবি দাওয়ার দাম বেশি। আল্লাহ এ জাতি কে সহি বুজ দান করুন আমিন।।
শেখ হাসিনা যে কত বড় হিংসা ও প্রতিষোধপরায়ন মহিলা তা তার সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া অডিও থেকেই প্রমানিত। উনি এখনো বলেন যে যদি সুযোগ পায় তাহলে নাকি আওমালিগের সাথে এখন যা হচ্ছে তার প্রতিটির হিসাব উনি নাকি করায় গন্ডায় নিবেন। কি ভয়ঙ্কর কথা! এর থেকেই তো প্রমাণিত হয় জুলাই আগষ্ট-২৪ শে যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণই তার হুকুমে হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে সে ক্ষমতায় থাকার জন্য তার ও তার দলের বিরোধিতাকারি সবাইকে খুন করতে উনার একবারের জন্যও হৃদয় কাপবেনা।
আওয়ামী লীগ ঘুরে দাড়াতে অনেক বছর লাগবে। আর গত ১৫ বছর যারা মন্ত্রী এমপি ছিল তাদের মনে হয় মানুষ আর ভালো চোখে দেখবে না।
good news
স্বৈরাচাররা নিজেকে ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করে না কারণ স্বৈরাচারী চেতনা স্বৈরাচারী বিশ্বাস কাউকে বিশ্বস্ত মনে করেনা বলেই নিজে স্বৈরাচারী হয়ে উঠে। এক রোখা মনোভাব আর ঘাড় তেরামীই স্বৈরাচারের ভিত্তি। স্বৈরাচারীরা নিজেদের চারিত্রিক কিংবা নৈতিক শুদ্ধতা দিয়ে কাউকে আকর্ষনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তাই লোভ লালসা উপঢৌকন কিংবা নানারকম অনৈতিকতার প্রলোভনে ফেলে মানুষকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে এবং সেই অনৈতিকতাকে প্রচ্ছন্ন কিংবা প্রকাশ্য সমর্থন দিতে স্বৈরাচার বাধ্য হয়। এভাবেই সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনৈতিক কর্মকান্ড প্রসার আর বিস্তৃতি লাভ করে যা স্বৈরাচার প্রতিরোধের ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। এক সময় সকল অপরাধ দুর্নীতি অত্যাচার অবিচার স্তুপিকৃত হয়ে এমন পাহাড়ি রূপ ধারণ করে যে পাহাড় তার উপরই ধ্বশে পড়ে। সেখান থেকে স্বৈরাচার আর প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারে না। তেমনি অবস্থা হয়েছে পাশবিকতার সীমান্ত অতিক্রমকারী শেখ হাসিনার স্বৈরাচার। তার জীবদ্দশায় আর বাংলাদেশে তার কোন উত্থান বাংলাদেশের জনগন মেনে নিবেনা।তাই তাকে বনবাসি বা পরবাসি হয়েই বাকী জীবন অতিক্রম করতে হবে। অন্যথায় তার করুন পরিনতি আরো ভয়াবহ হবে।
২ মাস বিনোদন পাচ্ছিনা। ওবায়দুল কাদের ও হাসান মাহমুদ কে দায়িত্ব দিয়ে সঠিকভাবে বিনোদনের ব্যবসথা করুন।সৈরাচার এর ফটোকপি এঁরা দূ'জন ভারতের নিবন্ধিত এজেন্ট...
শেখ হাসিনা একটা কুৎসিত ক্ষমতালিপসু লোভী হায়না। এই খুনিকে যারা এখনো সমর্থন করে তাঁরাও খুনি। জুলাইয়ের গণহত্যার দায়ে খুনি হাসিনার অবশ্যই বিচার করতে হবে। জার্মানের নাৎসি বাহিনী গণহত্যার দায়ে যদি নিষিদ্ধ হয় তবে বাংলাদেশে জুলাইয়ের গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ কেন নিষিদ্ধ হবে না?
শেখ হাসিনা ভারতের একটি সেফ হোমে অনেকটা গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। ২০গজ দূরে শপিং মলে প্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্যও তিনি যেতে পারেন না। এ কথা এই পত্রিকাতেই পড়েছি। ভারতের বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকরা শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগের প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যায়। তাঁরা লিখছেন ওনার কাছে কোন ফোন বা কমিউনিকাশন ডিভাইস না থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অনেক নেতা এখনো বাইরে আছে তাঁদের সাথে বা দেশের বাইরে যারা আগেই চলে গিয়েছে তাঁদের কারো সাথে ওনার যোগাযোগ করার কথা বা অডিও শোনা যায় না, অখ্যাত কিছু লোকজন যাদের নামও শেখ হাসিনা জানে কিনা সন্দেহ তাদের সাথে কথোপকথনের অডিও বাজারে আসে। এর মানে কি ! এসব কি এআই জেনারেটেড ?
জার্মান নাৎসিদের মত গণহত্যাকারীদের নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে। একটা সুন্দর উপস্থাপনার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
জার্মানির নাৎসি বাহিনীর মতোই অপরাধ আওয়ামী লীগের!!! সুতরাং নাৎসি বাহিনীর মতোই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত!!!
আমার মতামত টা বাদ দিলেন কেন? সেটাও কি সেন্সর?
হাসিনা ক্ষমতা লিপ্সু, স্বৈরাচার সে কাউকে বিশ্বাস করে না। মনে হয় না সে কারো কাছে ক্ষমতা অর্পণ করবে, এমনকি তার বোন বা সন্তানের কাছেও না! আচ্ছা! যে দল এতগুলো নিরীহ মানুষকে হত্যা করল, যে দলের হাতে মানুষ নিরাপদ নয়, লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে, সে দলকে নিষিদ্ধ করতে বাধা কোথায়? দল নিষিদ্ধ করলে তার কার্যক্রম এমনেই স্তিমিত হয়ে যাবে।
হাসিনা ক্ষমতা লিপ্সু, স্বৈরাচার সে কাউকে বিশ্বাস করে না। মনে হয় না সে কারো কাছে ক্ষমতা অর্পণ করবে, এমনকি তার বোন বা সন্তানের কাছেও না! আচ্ছা! যে দল এতগুলো নিরীহ মানুষকে হত্যা করল, যে দলের হাতে মানুষ নিরাপদ নয়, লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে, সে দলকে নিষিদ্ধ করতে বাধা কোথায়? দল নিষিদ্ধ করলে তার কার্যক্রম এমনেই স্তিমিত হয়ে যাবে।
গোলাম মাওলা রনি কে দিবে। সেই যে ভাবে আ-লীগের জন্য জীবন বাজী রেখে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাতে বুজা যায়?
Be aware of Jamat .
মতামত দেয়া হবে না। কারণ তা এই স্বাধীন সময়ে ও প্রকাশ হয় না। ধন্যবাদ মানব জমিনকে। এ সংবাদ মাধ্যমের সাথে 30 বছর যাবত জড়িত, সময় এসেছে ধীরে ধীরে গুছিয়ে নেয়ার।
দপরাজিত শক্তিকে চেপে রাখতে হলে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন। নচেৎ এই দেশটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জার্মান নাৎসী দলকে নিষিদ্ধ করেছিল গনহত্যার দায়ে । বাংলাদেশ কেন গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবে না । কেন এত দরদ গনহত্যা কারি দলের প্রতি ? মানুষের জীবন যে রাজনৈতিক দলের হাতে অনিরাপদ কেন সেই দলকে রাজনীতি করার অধিকার থাকবে ।
১০০% সত্য। শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী এমপিরা এবং দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অধিকাংশই মনুষত্বহীন মানবে পরিণত হয়েছিল। তারা সবকিছু নিয়ে রাজনৈতিক খেলা শুরু করে ছিল। তারা রক্তের ওপরে বসে দেশ চারাচ্ছিল। ভারেতর প্রেসক্রিপশন মতো তারা চলছিল। তাদের লক্ষঢ ছিল বিএনপিকে অস্তিত্বহীন করে ফেলা।ছাত্রজনতার মহাবিপ্লবকে তারা তাই গুরুত্বহীন ভেবে ভারত তোষনে ব্যস্ত ছিল। মোদি তোষনে মত্ত হাসিনা তাই তার রোবট কাদররকে দিয়ে ছাত্রজনতার ওপর দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিতেও কার্পণ করেননি। পরিনতিতে হাজার হাজার আন্দোরনকারীর রক্তে রঞ্জিত হলো রাপথ। আর শেষ পর্যন্ত সেই রক্তে নিজের হাত ও শাড়ির আচল রাঙিয়ে দেশ থেকে পালিয় প্রভু ভারতে আশ্রয় নিলেন হাসিনা ও তার ফ্যাসিবাদের দোসররা। মতব ভাইকে নির্মম সত্যটা তুলে ধরার জন্য শত সহস্রবার সালাম জানাচ্ছি। সময় এসেছে হাত মন খুলে সত্য লেখার। যা পড়ে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।