দেশ বিদেশ
পুরান ঢাকার গীতা রানীর আকুতি
স্টাফ রিপোর্টার
৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবারপুরান ঢাকার সূত্রাপুরে সংখ্যালঘু এক পরিবারের এক বৃদ্ধার বাড়ি দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক চন্দ্র রায়, শিল্পী রায় ও গোবিন্দের বিরুদ্ধে। জমির বৈধ দলিলপত্র থাকা সত্ত্বেও নিজ বাড়িতে থাকতে পারছেন না তিনি। প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়েছে তাকে। বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গীতা রানী জানান, হৃষিকেষ দাস রোডের ৯৫ নম্বরের শত বছরের পুরনো বাড়িটিতে থাকতেন গীতা রানী ও তার দুই ভাই। তার পিতা প্রয়াত ব্রজ বল্লভ দাস। কিন্তু দুই ভাই নিতাই চন্দ্র দাস ও গোবিন্দ চন্দ্র দাস অবিবাহিত অবস্থায় মারা গেলে একমাত্র বোন হিসেবে গীতা রানী দাস হিন্দু আইনের বিধানমতে ওয়ারিশমূলে মালিক হন। গীতা রানী চিরকুমারী হওয়ায় তার পরিবারে আর কোনো ওয়ারিশদার নেই। ফলে জোরপূর্বক পৈতৃক ভিটা থেকে তাকে উচ্ছেদ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী। এখন তিনি এক মুসলিম পরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন। গীতা রানী জানায়, বাড়ি ফিরে পেতে চাইলে কার্তিক চন্দ্র রায়সহ দখলদারিরা বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি হুমকি দিচ্ছে। এতে প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন গীতা রানী। বাড়ি ফিরে পেতে প্রশাসনের সাহায্য দাবি করেন তিনি। গীতা রানী দাস বলেন, আমার স্বত্ব দখলীয় ঢাকা জেলার সূত্রাপুর থানাধীন ৯৫নং ঋষিকেশ দাস রোডস্থিত বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া কার্তিক চন্দ্র রায়ের, পিতা- মৃত অনন্ত চন্দ্র রায়, পরিবারসহ দীর্ঘদিন ধরে আমার অধীনে উচ্ছেদযোগ্য ভাড়াটিয়া হিসেবে উক্ত কার্তিক চন্দ্র রায় বাসা বাড়ি ও দোকানের ভাড়াটিয়া হিসেবে ১৪২০ বাংলা সন হইতে ১৪২৯ বাংলা সন পর্যন্ত আছে বটে।
কিন্তু তাদের অসৎ উদ্দেশ্যে ও পরস্পর যোগসাজশভাবে উক্ত কার্তিক চন্দ্র রায় তার স্ত্রী শিল্পী রানী ও তার দুই মেয়েসহ তার পরিবার উক্ত দোকানটি জায়গাসহ আত্মসাৎ করার জন্য শ্রী শ্রী যুত মদন গোপাল জিউ বিগ্রহ ঠাকুর মন্দির এর কমিটির সভাপতি সেক্রেটারির যোগসাজশে দখল করেছে। রেঃ জিঃ নং ৯৫-৯৬, হৃষিকেশ দাস রোড, ঢাকা-১১৭০ এর নামে একটি ভুয়া সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। বর্তমানে দোকানটিতে মূর্তি স্থাপন করেছে। ভূমিদস্যুরা বলে এটা দেবোত্তর সম্পত্তি। মূলত এই সম্পত্তি দেবোত্তর সম্পত্তি নয় এটা আমার ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি। ভূমিদস্যুরা দোকানটির টাকা পরিশোধ না করে বেআইনিভাবে অবস্থান নিয়ে থাকায় আমি উল্লিখিত বকেয়া মাসিক ভাড়ার টাকাসহ হালনাগাদ ভাড়া পরিশোধ করার জন্য তাদেরকে বিভিন্নভাবে অনুরোধ করা সত্ত্বেও আমার বকেয়া পাওনা ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করে বরং আমাকে আর ভাড়ার টাকা প্রদান করবে না ও ভাড়াকৃত দোকান বাড়ির ৯টি রুম বিল্ডিং দোতলা দখল ছাড়বে না এবং ভাড়ার টাকা চাইলে আমাকে খুন, জখম করে লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছে। আমি একজন চিরকুমারী বয়োবৃদ্ধ মানুষ। বিচার দাবি করে গীতা রানী বলেন, ড. ইউনূসের সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে সন্ত্রাসী কার্তিক গংদের হাত থেকে জমি উদ্ধার করে সম্প্রীতি বজায় রাখার দাবি জানাই।