অনলাইন
গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন
বাবা-মায়ের পর না ফেরার দেশে দগ্ধ শিশু বায়জিদ
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ মাস আগে) ৪ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ বাবা-মায়ের পর ছেলে মো. বায়জিদও (৩) চলে গেলো না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে মৃত্যুবরণ করে বায়জিদ।
এই নিয়ে পরিবারটির তিনজনেরই প্রাণ গেল। এর আগে গত শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গ্যাস লিকেজ থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে দগ্ধ অবস্থায় বাবা টোটন, মা নিপা ও তাদের শিশু সন্তান বায়জিদকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলীর ছাতিরচর গ্রামে। শুক্রাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে আইসিইউতে বায়জিদের মারা যায়। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে তার বাবা টোটন ও মা নিপার মৃত্যু হয়।
পাঠকের মতামত
Very sad. We are praying for the departed souls.
আল্লাহ তাদেরকে মাফ করুন। গ্যাস লিকেজ নিয়ে প্রায়ই মানুষের মৃত্যুর খবর আসে। কে কখন আর কোথায় মারা গেলো এতটুই! বিস্তারিত রিপোর্ট তেমন একটা আসেনা। নতুন নতুন ঘটনাচক্রের করুনদশায় আটকে থাকা এই সমাজে আরো বড় বড় কত ঘটনা আছে! সাধারণ জনতার জীবননাশ হয়েছে - এই বিষয়টাই সম্ভবত আমাদের কাছে সাধারণ হয়ে উঠেছে। অথচ উচিত ছিলো- প্রতিটা ঘটনার তদন্ত করা। আবশ্যই কোন কোন না মারাত্মক অনিয়ম আছে এর পিছনে। উচিত ছিলো মানুষ কে সচেতন করতে কাজ করা। একটা পরিবারের ৩ বছরের বাচ্চা সহ তিনজনই মারা গেলো- এই বিষয়টা আমাদের কর্তৃপক্ষের উপর কোনই চাপ সৃষ্টি করলো না-এতেই বুঝা যায় সাধারণ একটি সভ্য সমাজ ব্যবস্থা থেকে আমরা কতটা দূরে আছি। লজ্জাজনক।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ।