ঢাকা, ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

ডিসি নিয়োগে লেনদেন ও প্রতিবেশী দেশের সম্পৃক্ততার কথোপকথন ফাঁস

অনলাইন ডেস্ক

(৭ মাস আগে) ৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম ‘ডিসি নিয়োগে লেনদেন ও প্রতিবেশী দেশের সম্পৃক্ততার কথোপকথন ফাঁস’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের মাঠ প্রশাসনে ডিসি নিয়োগে লেনদেন ও প্রতিবেশী দেশের সম্পৃক্ততার কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। এই কথোপকথনে দেখা যায়, এই নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোখলেছুর রহমান ও দুইজন যুগ্ম সচিব দেশে-বিদেশে ডলার ও টাকায় বিপুল অর্থ গ্রহণ করেছেন।

বেসামরিক প্রশাসন নিয়ে ফাঁস হওয়া এই কেলেঙ্কারিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নিয়োগেও লেনদেন ও বোঝাপড়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। আর এর পেছনে সরাসরি নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা প্রতিবেশী দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা পালন করেছে মর্মে সিনিয়র সচিব ও যুগ্ম সচিবের কথোপকথনে জানা যায়।

জানা গেছে, মাঠ প্রশাসনে প্রতিবেশী দেশের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের নিয়োগের মূল উদ্দেশ্য হলো এ বছরের শেষ নাগাদ গণহত্যার দায়ে দেশত্যাগে বাধ্য হওয়া পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে যাতে ক্ষমতায় আবার ফিরিয়ে আনা যায়। এ মিশন সফল করতে তারা মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে এবং এ জন্য তারা কয়েকজন ছাত্র সমন্বয়ককে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এসব ভয়াবহ তথ্য ফুটে ওঠে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেছুর রহমান ও বিতর্কিত যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদের গোপন হোয়াসআ্যপ চ্যাটিংয়ে।

তাদের উভয়ের এ কথোপকথনের অতি সংবেদনশীল কিছু অংশের স্ক্রিনশট এ প্রতিবেদকের হাতে চলে আসে। মূলত রাষ্ট্রের অতি উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র থেকে এবং শীর্ষ কয়েকজন ছাত্র সমন্বয়কের মাধ্যমে আমাদের এ প্রতিবেদকের হাতে এ কথোপকথনগুলো হস্তগত হয়েছে। ১০টি স্ক্রিনশটের ছবিতে কথোপকথন হয় এ দুইজনের।

সূত্র মতে, ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইংয়ের যুগ্ম সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিব মোখলেছুর রহমানের পাশাপাশি জেলায় বাড়ি হওয়ার সুবাধে তারা আগে থেকেই ঘনিষ্ঠ। আরেক বিতর্কিত যুগ্ম সচিব আলী আযম ও ড. জিয়াউদ্দিন উভয়ে বেশ ঘনিষ্ঠ। মূলত শেষোক্ত দুইজনের পরামর্শে দুইজন ছাত্র সমন্বয়কের তদবিরে ও কথিত সমন্বয়ক তানভীরের চাপে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় মোখলেছুর রহমানকে জনপ্রশাসনে সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়। তার নিয়োগের সামারি প্রস্তুত থেকে শুরু করে সামারি অনুমোদন এবং হাতে করে অনুমোদিত সামারি-সহ মোখলেছুর রহমানের যোগদানের (২৮ আগস্ট) দিনও তানভীর সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৮ আগস্ট থেকেই তাদের (জিয়া-মোখলেছ) কথোপকথন হস্তগত করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। যেটার শুরু হয় অভিনন্দন বার্তা দিয়ে। জনপ্রশাসন সচিব জিয়াকে ফোনে কথা না বলে সরাসরি কথা বলতে বলেন। মোখলেছ উল্লেøখ করেন, এখন তিনি সংবেদনশীল চেয়ারে আছেন এবং তাকে গোয়েন্দারাসহ সবাই ফলো করছে। এ ফাঁকে তাদের হোয়াটসআ্যপ কলেও কথা হয়। জনপ্রশাসন সচিব জিয়াকে মেসেজ দিয়ে বলেন, ‘যা করবা সাবধানে করবা। হোয়াটসআ্যাপ ছাড়া টেকস্ট দিবা না।’ জিয়া প্রতি উত্তরে বলেন- ‘ঠিক আছে স্যার, আমি সব গুছাই আসছি এখন কেউ কিছু করতে পারবে না’।

একটি মেসেজে সিনিয়র সচিব নিজেকে নির্লোভ দাবি করে মাত্র পাঁচ কোটি টাকার একটি আবদার করলে জিয়া তাকে সুখবর দিয়ে বলেন, ১০ কোটি রেখেছি আপনার জন্য। তিনি সন্তুষ্ট হয়ে বলেন, আচ্ছা ঠিক আছে তোমরা যেটা ভালো হয় করো। টাকা পয়সার প্রতি তেমন লোভ নাই আমার। 

গিরগিটিগুলোর (গোয়েন্দা) দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন সচিব মোখলেছ। জিয়া অভয় দিয়ে বলেন, ‘আমি সতর্ক আছি, আপনি টেনশন নিয়েন না।’ সচিব তার কাছে অর্ধেক ডলারে আর বাকিটা তার লোকের কাছে নগদে দেয়ার জন্য বলেন। আশঙ্কিত সচিব জানতে চান হোয়াটসআ্যাপে কোনো প্রবলেম আছে কি না। জিয়া পূর্ণ অভয় দিয়ে বলেন- ‘হাসিনাই পারে নাই, আর এখন তো গোয়েন্দাগুলো দুর্বল।’

চতুর্থ স্ক্রিনশটে একটি টেক্সটে ড. জিয়া প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তারা ৫০/৫২ জন জেলা প্রশাসক তাদের চয়েজে দেয়ার জন্য দাবি করেছে, অন্যথায় তারা ঝামেলা পাকাবে। বিনিময়ে তারা ২০০ কোটি দিচ্ছে এবং এ পেমেন্ট কিভাবে হবে- সিঙ্গাপুরে নাকি থাইল্যান্ডে দিবে সে জন্য তার মতামত চেয়েছে। সচিব এ বিষয়ে জিয়া ও আযমকে ঠিক করতে বলেন। তারপর ওই দিন রাতে তারা অনেকবার কথা বলেছেন মর্মে রেকর্ডে দেখা যায়।

কথোপকথনে জিয়া সচিবকে নিশ্চয়তা দেন । সচিব অগ্রিম পাঁচ কোটি দাবি করার পাশাপাশি ডিসি লিস্ট গোপনে টাইপ করে নিয়ে আসতে বলেন। আর তাতে বিদ্রোহ এড়াতে ফরিদা (চট্টগ্রাম), সাইফুল (খুলনা), আফরোজা (বগুড়া) ও তানভীরকে (ঢাকা) রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়। এভাবে চলে তাদের দীর্ঘ আলাপ। তাতে বলা হয় গোপনে ভোরে যোগাযোগ করার কথা এবং ৯ ও ১০ তারিখে জিও করার গ্যারান্টির বিষয়টি, তবে এর আগে পেমেন্ট ক্লিয়ার করার কথা বলেন সিনিয়র সচিব। জিয়া বলেন, সব তিনি ও আযম ঠিক করে ফেলেছেন।

বাকি আলাপে সচিব বলেন, ‘ওদিকে কী অবস্থা, আপডেট দাও’। জবাবে জিয়া লিখেন, ‘আমি আর আজম মিলে সব ঠিক করে ফেলেছি স্যার, আপনি টেনশন নিয়েন না। সিস্টেমে এপিডিকে কাজ দিয়ে বাইরে রাইখেন। উনি যেনো ঝামেলা করতে না পারে।’ সচিব বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক করো আর তুমি ওরে নিয়ে টেনশন কইরো না, ওরে সিস্টেমে ফেলে দিবো আর কেউ কিছু বললে আমার নাম বলবা না, আলী ইমাম স্যার আর আহসান কিবরিয়ার নাম বলবা। বলবা যে উনারা সবকিছু ঠিকঠাক করেছেন। ডিসিও উনারা বানাবেন। কারণ পোলাপাইন ওনাদের কাছে পৌঁছাইতে পারবে না।

জিয়া বলেন, ‘জি স্যার, এখন আকমল স্যারকে হাতে রাখবেন একটু সাপোর্ট দরকার। উনি তো প্রথম দিন অফিসারদের আদমজী বলে গালি দিছিলো। এই কারণে অফিসাররা উনার উপর বিরক্ত। একটু উসকাইয়া দিলে উনি চাপে থাকবে। তাহলে তার উপর কিছু চালাইয়া দেয়া যাবে। অফিসাররা মনে করবে যে, উনি আগে থেকে ওদের উপর অসন্তুষ্ট, এ জন্য ওদের দেয় নাই।’ সচিব বলেন, ‘ঠিক আছে তুমি এগুলো নিয়ে ভেবো না। আমি মিয়া পুরাতন খেলোয়াড়, তোমরা তোমাদের কাজ করো।’

জিয়া বলেন, ‘জি স্যার। জি স্যার। আপনি স্যার আমার আর আযমের ওপর আস্থা রাখেন। ধন্যবাদ স্যার।’ সচিব বলেন, ‘দেখলাম তোমরা আহসান কিবরিয়াকে কিভাবে বিতর্কিত করে ফেলছ। এটা অবশ্য সুবিধা হইছে আমাদের জন্য।’

এই চ্যাটিং-এর বিষয়ে জানতে জনপ্রশাসন সচিব মোখলেছুর রহমানের সাথে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি। যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সচিবের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে তার কোনো চ্যাট হয়নি। এমনকি, ফোনেও তেমন কথা হয় না। প্রয়োজন হলে তিনি ডেকে পাঠান। এই চ্যাটিংএর স্ক্রিনশট আর্টিফিসিয়ালভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করে বলেন, প্রয়োজনে পুলিশকে দিয়ে ভেরিফাই করা যেতে পারে।

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘ভারতে ইলিশ রপ্তানিতে মাফিয়ার গুপ্তজাল’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, থরে থরে সাজানো ‘লোভনীয়’ ইলিশ। সূর্যকিরণে চিকচিক করছে রুপালি মাছের গা। তাতে আরও বেড়েছে ইলিশের সৌন্দর্য। বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডের মোকাম ক্রেতা-বিক্রেতায় গমগম। মোকামজুড়ে তুমুল হাঁকডাক, ধুন্ধুমার বেচাকেনা।

মঙ্গলবার এক দিনেই এই মোকামে পাইকারি কেনাবেচা হয়েছে ৬০০ মণ ইলিশ। ১ কেজি ২০০ গ্রামের বেশি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়েছে ১ হাজার ৯৫৮ টাকা। এক কেজির বেশি ওজনের দাম ১ হাজার ৮৫৮ টাকা। আর ‘এলসি সাইজ’ হিসেবে পরিচিত ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের দাম ১ হাজার ৬৮৩ টাকা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাছের মোকাম বরগুনার পাথরঘাটায়ও দামের গতি-প্রকৃতি অভিন্ন। ভারতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এসব মোকাম থেকে এ দামেই ইলিশ কিনেছেন। তবে তারা রপ্তানি দর পাবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত প্রতি কেজি ১০ ডলার (১২০০ টাকা)। পরিবহন, প্যাকেজিং ও শ্রমিক খরচ ১০ ডলারের মধ্যেই।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রপ্তানিকারকরা তিন আকারের ইলিশ কেনেন। এলসি সাইজের চেয়ে ছোট ইলিশ তারা নেন না। সব আকারের ইলিশ কেনার পর অন্যান্য খরচসহ প্রতি কেজির দাম আরও বেড়ে যায়। তবে ভারতে রপ্তানি হয় নির্ধারিত ১২০০ টাকা দরেই। এ নিয়ে রয়েছে কৌতূহল। কেনা দামের চেয়ে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কমে ইলিশ পাঠিয়ে কীভাবে ব্যবসা করছেন রপ্তানিকারকরা?

প্রশ্ন উঠেছে, ব্যবসায়ীরা সত্যিই কি লোকসানে ইলিশ রপ্তানি করছেন, নাকি ভিন্ন কোনো কৌশলে ‘লাভের গুড়’ খাচ্ছেন। বিভিন্ন মোকাম ঘুরে জেলে, নৌকার মাঝি, ট্রলার মালিক, দাদনদাতা, আড়তদার, ইলিশ রপ্তানিকারক, মৎস্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে ক্রয় ও রপ্তানিমূল্যের মধ্যে বড় ফারাক। সমকাল জানতে পেরেছে, সাগরে ইলিশ ধরা থেকে শুরু করে বাজারে বিক্রি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ নিয়ন্ত্রণ করে সুবিধাভোগীরা। রপ্তানির আড়ালে ইলিশ পাচার ও হুন্ডিতে লেনদেন নিয়েও মিলেছে নানা তথ্য।

যুগান্তর

‘জামিন-খালাস বাণিজ্যে ধনকুবের আনিস’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনি হলফনামায় তিনটি পুকুর, কৃষিজমির ফসল ও মাছ চাষাবাদের তথ্য দিয়েছিলেন। এই আয়ের উৎস থেকে তিনি গত কয়েক বছরেই শত শত কোটি টাকার মালিক। এরপর অল্প সময়েই সিটিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে ধনকুবেরের তালিকায় নাম লেখান সাবেক এই মন্ত্রী। মুখে বিচার বিভাগকে স্বাধীন বলা হলেও তার কথা ছাড়া জামিন দিতে পারতেন না বিচারকরাও। আলোচিত মামলার আসামিদের জামিন করিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আর ডলার নিতে বিশ্বস্ত ডালপালা তৈরি করেছিলেন। এসব ডালপালা ফুলেফেঁপে গাছে পরিণত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর তারাও পলাতক। জামিন করাতে ব্যর্থ হলে টাকা ফেরতও দিতেন না। বলতেন, বিচারের সময় ‘খালাস’ করে দেবেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ তথ্যানুসন্ধানে উঠে এসেছে আনিসুল হকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কিন্তু এসব অভিযোগ আমলে নিতেন না শেখ হাসিনা। সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করতেন বিগত পতিত সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারকারী সালমান এফ রহমান। দুজনের সম্পর্কও ছিল মধুর। এ কারণে তারা গ্রেফতারও হয়েছেন একসঙ্গে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মুখে নীতিবাক্য বললেও ঘুসের হাট বসিয়েছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী। বিগত বছরগুলোতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে সাবরেজিস্ট্রার নিয়োগ, পদায়ন এবং আলোচিত মামলার আসামিদের জামিন করাতে। বিশেষ করে অযাচিত হস্তক্ষেপে ক্ষিপ্ত ছিলেন নিু আদালত থেকে শুরু করে উচ্চ আদালতের বিচারকরাও। এ বিষয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গোপনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়। বিশেষ করে রাজনৈতিক মামলায় বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের দমনপীড়নে বিচারকদের ব্যবহার করায় ক্ষিপ্ত ছিলেন তারা। রাজনৈতিক মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের ইশারার অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে বিচারকদের। বিবেকের তাড়নায় বিষয়টি মানতে পারতেন না বিচারকরা। জানা গেছে, আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তার এক সময়ের এপিএস, পরে বাক্সবোঝাই অবৈধ ব্যালটে নির্বাচিত বিলুপ্ত কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার জীবন বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক বনে যান। ৫ আগস্টের পর তিনি পলাতক।

সাবেক এই মন্ত্রীর আরেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। মন্ত্রীর নির্বাচনি হলফনামার তথ্যমতে তিনটি পুকুর, কৃষিজমির ফসল ও মাছের চাষাবাদ ছিল আয়ের প্রধান উৎস। এর পর মন্ত্রী হওয়ার তার সম্পদের হিসাব বাড়তে থাকে। ঘুসের টাকা গুনতে বাসায় বসিয়েছিলেন টাকা গোনার মেশিন। সিটিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় ৪শ কোটি টাকা জামানত এবং ২০০ কোটি টাকা চলতি মূলধন দিয়ে ব্যাংকের যাত্রা শুরু করেছিলেন আনিসুল হক। তার মা প্রথমে এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। মায়ের মৃত্যুর পর বহুল আলোচিত তৌফিকা করিমকে চেয়ারম্যান করা হয়। এই তৌফিকা করিমই ছিলেন আনিসুল হকের চালিকাশক্তি। তিনি যা বলতেন তাই করতেন আনিসুল হক। এই তৌফিকা করিমের ছেলে ও মেয়েকে কানাডায় বাড়ি করে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, ‘প্রাইভেট একটি টেলিভিশনে ৪০ ভাগ শেয়ার আছে তার।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা’। খবরে বলা হচ্ছে, ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি। পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। তেহরানও বলেছে, ইসরায়েল আবার হামলা করলে পরিণতি হবে ধ্বংসাত্মক। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করেছে ইরান–সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের সেনাদের মধ্যে সম্মুখ লড়াই চলছে। গতকাল বুধবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন ইসরায়েলি আট সেনা। ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গতকালও গাজায় অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারালেন।

গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে এক বছর ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়ছে হিজবুল্লাহ ও হুতি। তাদের সমরাস্ত্র ও আর্থিকভাবে সমর্থন দিচ্ছে ইরান। পাশাপাশি গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকেও সহযোগিতা করে আসছিল তেহরান। ইরান সরাসরি জড়িত না থাকলেও ইসরায়েলের সঙ্গে চলছিল ছায়াযুদ্ধ। মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্য দিয়ে যুদ্ধে ইরান সরাসরি জড়িয়ে পড়ল।

গত শুক্রবার লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এরপর সোমবার রাতে লেবাননে সেনা পাঠায় ইসরায়েল। এরপর ইরান প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা করে। এতে ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্য। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ইরানের হামলার মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধ পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘কঠোর হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন’। খবরে বলা হচ্ছে, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের উদ্দেশকে সামনে রেখে সংশোধন হতে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০। যত্রতত্র মানহীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ঠেকাতে এ আইনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের শর্তগুলো আরো কঠোর করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। চলতি বছরের মধ্যেই এ আইন বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সংশোধনীর খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (মাউশি) শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা ইত্তেফাককে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মাউশি সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর সংশোধনীর জন্য খসড়া প্রস্তুত করতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিয়ে একাধিক কর্মশালা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে গত মঙ্গলবার একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কর্মশালায় মাউশির সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, অর্থ বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ, কৃষি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন সদস্য যিনি দৈনিক ইত্তেফাককে জানান, আইনের সংশোধনীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনা, সাময়িক অনুমতির মেয়াদ, পাঠক্রম কমিটি, শিক্ষা কার্যক্রম ও মান নিশ্চিতকরণ, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের কোর্স পরিচালনা বা ক্যাম্পাস স্থাপন, শিক্ষার্থী ফি, বেতন কাঠামো ও চাকরি প্রবিধানমালাসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এতে করে আইনের মূল বিষয়গুলো ঠিক থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেতে হলে আগের চেয়ে কঠোর শর্তের আওতায় আসতে হবে।

নিউ এইজ

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম ‘Bangladesh's interim govt to hold dialogue with political parties on Saturday’ অর্থাৎ ‘শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার’।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হচ্ছে, ছয়টি সংস্কার কমিশন এবং দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে অন্তর্বর্তী সরকার।

সংলাপে অংশ নিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। ছয়টি কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হবে।

তবে জুলাই ও অগাস্টে গণহত্যা চালানোর নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় আওয়ামী লীগ ও তার জোটের শরিকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের।

বণিক বার্তা

‘বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কমেছে খাদ্য ও সাধারণ মূল্যস্ফীতি’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সরকারি হিসাব অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত মাসে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। অন্যদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দশমিক ৯৬ শতাংশীয় পয়েন্ট কমলেও দুই অংকের ঘরেই রয়ে গেছে। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দশমিক ২৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে।

গতকাল মাসিক হালনাগাদ ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেপ্টেম্বরের সিপিআইয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে সব ধরনের মূল্যস্ফীতি হ্রাসের চিত্র উঠে এসেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির বাস্কেটে খাদ্যপণ্যের ওয়েট বা ভার এখনো কম। এখানে পদ্ধতিগত কোনো ইস্যু থাকতে পারে। তাই খাদ্যপণ্যের দাম না কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে যাচ্ছে। এসব পরিসংখ্যান মনিটরিং করার জন্য একটি স্বাধীন কমিটি থাকা উচিত, যেন স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বিবিএস আগের মতোই আছে, কোনো পরিবর্তন হয়নি। আবার বাজারে সিন্ডিকেটও সক্রিয় রয়েছে।

আজকের পত্রিকা

‘মবে’ মরছে মানুষ মামলা গ্রেপ্তার নেই-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘মব জাস্টিসের’ নামে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা থামছেই না। এই ‘বিচারের’ নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা, নির্যাতন, মারধর, লাঞ্ছনা, অপমান, অপদস্থ ও হামলা করার ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ঘটল খাগড়াছড়িতে। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পিটিয়ে হত্যা করেন একদল যুবক।

পুলিশের তথ্য বলছে, গত দুই মাসে সারা দেশে ২৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে মব জাস্টিসের নামে। নির্যাতন, মারধর, লাঞ্ছনা, হামলার ঘটনা অসংখ্য। একের পর এক ঘটনায় দেশে নতুন আতঙ্ক ও উদ্বেগ তৈরি করেছে মব জাস্টিস। অন্তর্বর্তী সরকারের হুঁশিয়ারিও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া রোধ করতে পারছে না।

জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু উচ্ছৃঙ্খল ঘটনা ঘটছে। তবে আমরা খবর পেলেই ছুটে যাচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা এসব বিষয়ে তৎপর রয়েছি।’

অবশ্য পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, এমন উচ্ছৃঙ্খল ঘটনার বিরুদ্ধে তাঁরা তৎপর রয়েছেন। তবে এসব ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে দু-একটি। গ্রেপ্তারও হাতে গোনা।

দেশে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে গণপিটুনিতে হত্যা আগেও ছিল। তবে আগে পিটুনির শিকার হয়েছে মূলত চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী ও শিশু অপহরণকারী সন্দেহে জনতার হাতে ধরা পড়া ব্যক্তি। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তা নতুন রূপ নিয়েছে। মব জাস্টিস বা জনতার বিচার নামে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যেকোনো ক্ষেত্রে। পুলিশ সদস্যও রেহাই পাচ্ছেন না।

পুলিশ সূত্র বলছে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনায় ৫ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনসহ সারা দেশে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। মারধর, নির্যাতন, লাঞ্ছনার ঘটনার সঠিক সংখ্যা নেই। দেশের কোথাও না কোথাও এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে।

পাঠকের মতামত

অত্যন্ত ভয়াবহ খবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। পিলে চমকে উঠার মতো।

Kala
৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫:৩২ অপরাহ্ন

এই মৌসুমে ইলিশ কিনতে পারি নাই।

আবদুল নাইম
৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:৩২ অপরাহ্ন

৬৪ জেলার মধ্যে ৫০/৫২ টি জেলায় প্রতিবেশি দেশের পছন্দের জেলা প্রশাসক!!

তপু
৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

যেভাবে চক্রান্ত কারীরা এখনো চক্রান্ত করিতেছে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া শৃঙ্খলা বা ভালো পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। তাই দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়াটা খুবই উত্তম হবে।

মোঃ এমাম হোসেন
৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

দুর্নীতি ও ঘোষ বাণিজ্যে যাদেরই নাম আসতেছে অপেক্ষায় থাকুন ,তোদের ও বিচার একদিন এই দেশেই হবে ।

N Alom
৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

“ডিসি নিয়োগে লেনদেন ও প্রতিবেশী দেশের সম্পৃক্ততার কথোপকথন ফাঁস’- যা পড়লাম তা ভয়ংকর। এই সরকার ভুল লোকদের উচ্চপদে নিয়োগ দিয়েছে। যার মাসুল এই সরকারসহ দেশের সাধারণ মানুষকে গুনতে হতে পারে। অনতিবিলম্বে এদের সবাইকে অপসারণ করুন।

সোহেল
৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তে থরে থরে সাজানো রূপালি ইলিশ দেখি আর দাম শুনে মুচকি হেঁসে চলে আসি।

Mushfiq
৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status