শেষের পাতা
যেসব পুুলিশ সদস্য কাজে ফেরেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
স্টাফ রিপোর্টার
২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবারগণঅভ্যুত্থানের পর যেসব পুলিশ সদস্য এখনো কাজে যোগ দেননি তাদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। উপদেষ্টা বলেন, ১৮৭ জনের মতো পুলিশ সদস্য অনুপস্থিত ছিল। এরপর মনে হয় আর কেউ যোগদান করেন নি। যারা যোগ দেননি, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদের আমরা পুলিশ বলবো না, তারা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে। পুলিশ বাহিনী সংস্কার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশ সংস্কারের কাজ ১লা অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। সংস্কারের কাজটা আমি করছি না। এ জন্য আলাদা কমিটি করে দেয়া হয়েছে। ওই কমিটি কাজটি করবে। তারা আমাদের কাছে প্রতিবেদন দেবেন। সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংস্কার হবে।
সমপ্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের সহিংসতা নিয়ে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি হওয়ার পরে ইউপিডিএফ হাতিয়ার সমর্পণ করেনি। জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কেবল হাতিয়ার সমর্পণ করেছিল। ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা আছে। অন্যান্য যারা আছে তাদের মধ্যেও ঝামেলা আছে। তারা সবাই মিলেমিশে কীভাবে থাকতে পারে সেটার ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক সময় তারা বাইরে থেকেও কিছু অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। ওটা যাতে না পায় সেটার ব্যবস্থা করতে হবে। আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আশা করছি-এবারের পূজা সবচেয়ে নির্বিঘ্ন ও ভালো হবে। পূজার ছুটি তিনদিন করার দাবি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি পূজার তিন দিন ছুটি নিয়ে আমি কোনোদিন কিছু বলিনি। এটা আমার আওতার মধ্যে পড়ে না।
আমাদের নীতি নির্ধারকদের বুঝা উচিৎ এ-সব পুলিশ সদস্য পুলিশ লীগেরই সদস্য সমর্থক হিসাবেই পতিত সরকারের অধিনে চাকরি করেছিল, মানুষের রক্তে এদের হাত রণজিৎ, এরা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের স্বপ্নে বিভোর, অন্য কোনো সরকারের অধিনে চাকরি করবেনা। এদের সঙ্গে এখনো লুট হয়ে যাওয়া অশ্র আছে, এ-সব দিয়েই তো তারা গার্মেন্টস শ্রমিকদের আনদোলনের সময় গুলি করে খুন করেছিল গত সপ্তাহে, ভবিষ্যতে আরও অনেক ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে তারা। এদেরকে অবিলম্বে ডেসার্টার এবং বিদ্রোহি ঘোষণা করে ছবি সহ হুলিয়া জারি করা হউক, ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা হউক অনতিবিলম্বে, নচেৎ অনেক দেরি হওয়ার জন্য আফসোস করতে হবে।
পুলিশরা অপরাধী বলে এ আচরণ করছে, এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। সব স্থান থেকে নষ্ট চেতনাবাজদের সরানো এখন বড় কাজ। বন্ধুর নাম নিয়ে যারা কলিজাটা খাবলে খাচ্ছিল তাদের সম্মন্ধে জাতিকে সাবধান থাকতে হবে।
এত কথা বলার দরকার নাই দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্হা নিন।