খেলা
শান্তর কাঠগড়ায় ব্যাটাররা
স্পোর্টস রিপোর্টার
২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবারদুইদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার ম্যাচটা কার্যত তিনদিনের হয়ে গিয়েছিল। এরপরও বাংলাদেশ খেলাটা শেষ দিনের শেষ সেশন পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয়েছে। এরপর ভারত ৯৫ রানের লক্ষ্য দ্রুতই তাড়া করে ফেলেছে ৭ উইকেট হাতে রেখে। শেষ ম্যাচের হারে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে দায়টা কার! দলগত ব্যর্থতা নাকি ব্যাটিং আর বোলিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলা? অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এই হারের দায় অবশ্য দিলেন ব্যাটারদের ওপরই। কারণটাও জানালেন ক্রিজে বেশ খানিকটা সময় টিকে থেকেও উইকেট খুঁইয়েই এমন বিপর্যয়ে। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘দুই টেস্টেই আমরা ব্যাটিং ভালো করিনি। যদি আপনি আমাদের ব্যাটারদের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন আমাদের সবাই ৩০-৪০ বল খেলে আউট হয়ে এসেছি। টেস্ট ম্যাচে এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি যখন থিতু হবেন, তখন আপনাকে বড় রান করতে হবে।’ ভারতও প্রথম ম্যাচে বিপদে পড়েছিল। ১৪৪ রানে ৬ উইকেট খুঁইয়ে বসেছিল। তবে এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রবীন্দ্র জাদেজার ১৯৯ রানের জুটিতে ভর করে ভারত ম্যাচে ফেরে। বাংলাদেশ এটা দেখেছে খুব কাছে থেকে, তবু শিখতে পারেনি কিছুই। এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘যেভাবে অশ্বিন আর জাদেজা তখন ব্যাট করেছে, তা বেশ ভালো ছিল। আমাদের বোলিং ইউনিট হিসেবে ওসব মুহূর্তের দিকে মনোযোগ দিতে, কীভাবে আমরা ওই উইকেটগুলো নিতে পারি। ওই জুটির কাছেই আমরা হেরে গিয়েছিলাম।’ তবে ম্যাচের ইতিবাচক দিকগুলোর দিকেও তাকাতে ভুলেননি শান্ত। বলেছেন, ‘যেভাবে মুমিনুল প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছে, তা আমাদের সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। যেভাবে দুই ইনিংসে মিরাজ দুই ইনিংস ধরেই বল করেছে, তা সত্যিই বেশ ভালো ছিল।’ পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইট ওয়াশ করার সুখস্মৃতি নিয়ে ভারত যায় বাংলাদেশ দল। প্রত্যাশা ছিল ভালো কিছুর। তবে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে রোহিত-বুমরাদের বিপক্ষে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করতে পারেনি টাইগাররা। দৃষ্টিকটূভাবে হেরে হোয়াইট ওয়াশ হয় চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। এমন ভরাডুবির পর ব্যাটারদের কাঠগড়ায় তুললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে ভারতের কাছে ২৮০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। কানপুরে বৃষ্টিভেজা আউটফিল্ডের কারণে দু’দিন বল গড়ায়নি মাঠে। মাত্র আড়াই দিনের খেলায় অসহায় আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশ দল। খেলা হয়েছে মাত্র ১৪ ঘণ্টা আর ১৭৩.২ ওভার। প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। কানপুর টেস্টে মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি ও সাদমান ইসলামের হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া বলার মতো তেমন কিছুই নেই। দুই টেস্টে সেট হওয়ার পরও আউট হন ব্যাটাররা। এই কারণেই ব্যাটারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অধিনায়ক।