ভারত
জাতিদাঙ্গায় জর্জরিত মণিপুরে আরও ৬ মাস বাড়লো আফস্পার মেয়াদ
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ সপ্তাহ আগে) ১ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
২০২৩ সালের মে মাস থেকেই খ্রিস্টান সম্প্রদায় ভুক্ত কুকিদের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত মেইতে জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল ভারতের মণিপুর রাজ্য। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত দুই শতাধিক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ৬০,০০০ জনেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইদানিং বেশ কয়েকটি জেলায় নতুন করে জাতি দাঙ্গা ছড়ানোয় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের পাশাপাশি বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। উত্তেজনাময় পরিস্থিতির মধ্যে বিবৃতি জারি করে ভারত সরকারের তরফে বলা হয়, মণিপুরে জঙ্গি এবং উগ্রপন্থীরা সমানেই হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে মণিপুরের রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রাখার প্রয়োজন রয়েছে সে রাজ্যে। তাই আগামী ৬ মাসের জন্য মণিপুরে আফস্পার মেয়াদ বাড়ানো হলো। সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন ‘আফস্পা’ তোলার দাবিতে মণিপুরে ইরম শর্মিলা চানু-র অনশনের কথা সবার জানা। কিন্তু সেই আইনের বলেই মণিপুরে শান্তি ফেরাতে মরিয়া কেন্দ্র। যদিও কুকি-মেতেই সংঘাতের আগুন এখন অনেকটাই স্তিমিত। তা সত্ত্বেও আফস্পার মতো বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার করতে নারাজ কেন্দ্র। মণিপুরে আফস্পার উপস্থিতি একটি বিতর্কিত বিষয় হিসাবে রয়ে গেছে, কারণ এটি সশস্ত্র বাহিনীকে এই অঞ্চলের মধ্যে তাদের কার্যক্রমে আইনি সুরক্ষার অনুমতি দেয়, সরকারী দায়িত্বের সময় অভিযুক্ত অসদাচরণের সাথে জড়িত কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আফস্পা লাগু হয়েছিল মণিপুরে। এপ্রিল মাসে ফের বাড়ানো হয় বিশেষ অধিকার আইনের মেয়াদ। তবে গোটা মণিপুর আফস্পার আওতায় থাকলেও বিশেষ ছাড় রয়েছে ১৯টি থানার। রাজধানী ইম্ফল ছাড়াও বিষ্ণুপুর, জিরিবাম এবং লামপেলের কিছু এলাকায় থাকবে না আফস্পা।নাগাল্যান্ডের আট জেলা ডিমাপুর, নিউল্যান্ড, চুমুউকেডিমা, মন, খিপিরে, নোকলাক, ফেক এবং পেরেনে বলবৎ এই আইন। এরইমধ্যে, শনিবার সশস্ত্র কুকি গোষ্ঠীর দ্বারা অপহৃত হওয়া দুই যুবককে উদ্ধার করতে মণিপুরের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের অনুসন্ধান ও চিরুনি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন যে সন্দেহভাজন কুকিরা মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন যুবককে অপহরণ করে। সেনাবাহিনী বন্দীদের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করেছে এবং বাকি দু'জন এখনও চরমপন্থীদের হাতে আটক রয়েছে৷
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে