অনলাইন
যমুনা থেকে বেরিয়ে যা বললেন ৩৫ প্রত্যাশীরা
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৮:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৩৪ অপরাহ্ন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় বৈঠক করেছেন সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে তারা যমুনায় প্রবেশ করেন। রাত আটটার পর বের হন।
বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীদের পক্ষে রাসেল আল মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ সফরের কারণে প্রধান উপদেষ্টা ক্লান্ত থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আগামীকাল আমাদের একটি প্রতিনিধি দল দাবি বাস্তবায়নে জন প্রশাসনের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবে। কালকের বৈঠকের একটি প্রতিবেদন সাতদিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। উপদেষ্টারা আমাদের দাবিটি যৌক্তিক বলেছেন এবং দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আজ বেলা ১২টার পর থেকেই প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশেপাশে জড়ো হতে থাকেন ‘সরকারি চাকরিতে ৩৫ প্রত্যাশী’ আন্দোলনকারীরা। এসয়ম এই সড়কটি যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। পুলিশ তাদের ছাত্রভঙ্গ করতে দুপুর দেড়টার দিকে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। দুপুর ২টার দিকে যমুনার সামনে তারা আবার অবস্থান নেন। এসময় চারজনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা সরকারি কর্ম কমিশনের একজন কমিশনারের পিএসের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন। বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলনে করেন আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের আবেদন জানান। প্রধান উপদেষ্টা ছাড়া কারও সঙ্গে তারা আলোচনা করতে চান না। এসময় সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর বিকেল পাঁচটার দিকে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রবেশ করেন। দীর্ঘ আলোচনার পর রাত আটটার দিকে তারা যমুনা থেকে বের হন।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা ভালো, তবে অবসরসীমা 60 এর বেশি নয়।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ এবং মোট চাকরিকাল ৩৫ করা হোক
আমার মতে চাকুরীর বয়সসীমা থাকা উচিত নয়। অবসর বয়সের আগ পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হোক।
আমার জন্ম তারিখ 10/05/1986. চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা 40 করেন, যাতে করে আমার চাকুরীটাও হয়।
চাকরিতে প্রবেশকালীন বয়স ৩৫ এবং চাকরি ২৫ বছর পূর্ণ হলে অবসর প্রদান করা হোক। দীর্ঘদিন চাকরি করলে বয়সের সাথে সাথে কাজে যেমন গতি কমে যায় তেমনি বেকারের হারও বৃদ্ধি পায়।
৩৫ অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করলে বিদ্যমান বেকারত্ব বাড়বে।
গত ১৭ বছর নাকি চাকরি পান নাই। তখন আন্দোলন কেন করেন নাই? রোজ হাশরে এরজন্য ফ্যাসিস্ট হাসিনা আর তার দোসররা দায়ী থাকবে, তাইনা?
সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা তুলে দেয়া উচিত।
চাকরির বয়স সীমা ৩৫ করা একটি যুক্তিক দাবী - মানবিক ও বিভিন্ন বিবেচনায় এটা করা উচিত বলে আমরা সাধারন নাগরিক মনে করি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্যান্য সংস্কারের সাথে এটিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
যারা ৩৫ এ ডুকবে তাদের ৬৫ করা উচিত। অন্যদের বেলায় ঠিক৩০-৬০ থাকাটা উচিত।
এটি এখন সময়ের দাবী।
রাজনীতিতে বয়সের সীমা না থাকলে চাকুরীতে বয়সের সীমা কেন থাকবে? সর্বোচ্চ আপনি যেটা করতে পারেন চাকরি থেকে মুক্তি পাওয়ার বা অবসরের বয়সসীমা রাখতে পারেন। এর বাইরে পুরাটাই অন্যায়, অন্যায় এবং অন্যায়। কারণ যারা বিগত ১৭ বছরে শুধুমাত্র মতপার্থক্যের জন্য চাকরি পায় নাই, তাদের জবাব কিভাবে দিবেন? হাশরের ময়দানে এক চুল পরিমাণও তারা ছাড়বে না? মনে রাখবেন। আল্লাহ হাফেজ।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে সমস্যা কোথায়? আমেরিকায় প্রবেশের বয়সসীমা নেই।