অনলাইন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা
এবার আইনি লড়াইয়ে অ্যাডভোকেট শিশির মনির
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৩:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ অপরাহ্ন
রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় নতুন আইনজীবী হিসেবে মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আলোচিত এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ এখন পর্যন্ত ১১৩ বার পেছানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উন্মোচনে এবার লড়বেন ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
রোববার সাগর-রুনি হত্যা মামলার বাদী নওশের রোমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাগর-রুনি হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনে আইনি লড়াই করবেন।’
আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে পরে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করব। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত মিটিং করব। এই সংবাদিক হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। সে সময় সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।
এই হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্তভার র্যাবের হাতে রয়েছে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১৩ বার পেছানো হয়েছে।
বহুল আলোচিত এই সাংবাদিক দম্পতির নির্মম হত্যার দ্রুত বিচার হওয়া উচিত। আশা করি এবার মামলাটি গতি পাবে।
শিশির মনির অত্যন্ত মেধাবী আইনজীবী, এই মামলায় উনার সাফল্য কামনা করছি।
আওমীলীগ সরকার সাঘর রুনি হত্যাকাণ্ডের সাথে ছিল, আশা করি এবার বিচার কাজ সম্পন্ন হবে।
আমার যতটা মনে পরে ঘটনার দিন কোন এক সময় ঐ সময়কার ডিসি, তেজগাঁও বর্তমান অব্যহতি প্রাপ্ত ডিআইজি জনাব সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাক্ষাৎকার দিলে জানান ঘটনার রহস্যর ক্লু আছে এবং শীঘ্রই উদঘাটন হবে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পরে উনি দৃশ্যপট হতে আড়ালে চলে যান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে রহস্য উন্মোচন হতে পারে।
Justice delayed Justice denied. এত বছর পর বিচার হওয়া না হওয়ার সমতুল্য। এক ভাই লিখেছেন সাবেক সরকারের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ জড়িত, যাদের প্রভাবে রিপোর্ট ১১৩ বার পিছানো হল । কিন্ত এখন তো এরা ক্ষমতাসীন নয়। এই ভাবেই সাগর রুনি, ইলিয়াস আলী, সহ এক একটী বিচ্ছিন্ন খুনের পর গনহত্যার সাহস হয়েছিল সরকারের। এই প্রশ্রয় দেশের জন্য কি পরিণতি ডেকে আনে গণহত্যা তার প্রমাণ।
এই খুনের ঘটনার সাথে পতিত স্বৈরাচারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে, যারা অসম্ভব রকমের প্রভাবশালী। এ কারনেই তদন্ত প্রতিবেদন ১১০ বার পেছানো হয়েছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও তা পেছানো আরও রহস্য সৃষ্টি করেছে। আমরা আশা করি এই মামলার তদন্তের জট অচিরেই খুলে যাবে, শিশির মেধা ও অভিজ্ঞতায়।