অনলাইন
গুম-খুন, বর্বরতা তদন্তে জাতিসংঘ টিম ঢাকায়
মিজানুর রহমান
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ২:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:২৯ অপরাহ্ন
ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে বিদায়ী শেখ হাসিনা সরকারের কঠোর পদক্ষেপ তথা গুম, খুন এবং বর্বরোচিত নির্যাতনের রোমহষর্ক ঘটনাগুলো তদন্তে জাতিসংঘের একটি পূর্ণাঙ্গ টিম ঢাকা আসছে। রাতে ৮ সদস্যের ওই টিমের দু'জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বাংলাদেশে পৌঁছেছেন। বাকিরা পথে আছেন। ঢাকা ও জেনেভার একাধিক কূটনৈতিক সূত্র মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, জাতিসংঘ টিম মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিক তদন্ত কার্য শুরু করবে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী চার সপ্তাহ অর্থাৎ প্রায় ১ মাস তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অকুস্থল সরজমিনে ঘুরে দেখবেন। নির্মমতার শিকার ব্যক্তি, ভুক্তভোগীদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ঘটনার আদ্যোপান্ত বিশ্লেষণ তথা যথাসম্ভব ঘটনার আলামত সংগ্রহ করবেন। কাজের প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের অবস্থানকাল আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।
সূত্র মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধি, ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, দেশীয় অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং আইনজ্ঞদের সঙ্গে সফরকালে জাতিসংঘ টিমের সিরিজ আলোচনা হবে। তদন্ত টিম খতিয়ে দেখবে ছাত্র-জনতার আন্দোলন কতটা নৃশংসভাবে দমনের চেষ্টা করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। গত জুলাই ও আগস্টের শুরুর দিকে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ ১৫ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তের ম্যান্ডেড রয়েছে জাতিসংঘ টিমের। আগামী নভেম্বরের শেষের দিকে বাংলাদেশের আপৎকালীন সরকার এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে তারা তদন্ত রিপোর্ট জমা করবেন। পরবর্তীতে রিপোর্টটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
স্মরণ করা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক তার নিজস্ব এখতিয়ারে তথ্যানুসন্ধান দল পাঠাচ্ছেন। ড. ইউনূস গত ২৫ শে আগস্ট ভলকার তুর্ককে লেখা চিঠিতে দ্রুততম সময়ে তদন্ত শুরুর অনুরোধ করেছিলেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে (১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট) মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার জাতিসংঘের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সরকার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চায়। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে গত মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের প্রাথমিক তথ্যানুন্ধান টিম বাংলাদেশ ঘুরে গেছে। এবার পূর্ণাঙ্গ টিম আসছে। জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের রিপোর্ট মতে, গত ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ ও পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ৬৫০ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও অস্থিরতা বিষয়ে প্রাথমিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক রিপোর্টটি জেনেভা থেকে গত ১৫ই আগষ্ট প্রকাশিত হয়।
হাসিনার গুম,খুন, বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা , গণহত্যা, আয়না ঘরের নিষ্ঠুরতা, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যা, ব্যাংক লুট অর্থ পাচার ইত্যাদি সবগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র তৈরি করে দেশে এবং বিদেশে প্রচার করা দরকার ।
আশা করি জাতিসংঘ তদন্ত টিম সঠিক তদন্ত করে সকলের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন ইনশাআল্লাহ।
হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের এদেশে রাজনীতি করা চিরদিনের জন্য শেষ। এখন জাতিসংঘের এই তদন্ত প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে।
সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং এর তথ্য কোথায়? কারা করল, কাদের নিয়ে গড়ল? আরেকটা বড় থ্রেট হচ্ছে মাদক সম্রাটদের খবর কি? বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে ভারত আর হাসিনা যে সমস্ত যৌথ অর্কেষ্ট্রেশন করেছে এসব কাদের মাধ্যমে কিভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, তথ্য জানতে চাই? এই দুইটা সন্ত্রাসী গ্রুপের খবর চাই।
The investigation by the UN team will help taking Sheikh Hasina to the gallows without any controversy.
ধন্যবাদ / Thanks
অনেকের কাছে হাসিনার পুলিশ আর হেলমেট বাহিনীর গুলিতে ছাত্র হত্যার ভিডিও ফুটেজ আছে। সেগুলো জাতিসংঘের টিমের কাথে কি ভাবে জমা দেয়া যাবে?