অনলাইন
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারের পদত্যাগ দাবি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৯:০৫ অপরাহ্ন
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার এস এম এহসান কবীরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তারা পূর্ব কর্মসূচির ঘোষণা অনুযায়ী রোববার সকালে স্মারকলিপি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। অবিলম্বে সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান প্রো-ভিসি নিয়োগের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ও শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে তারা বলেন, দুর্নীতিবাজ, কুখ্যাত ইলেকশন মনিটরিং কমিটির পরিচালক ও মূর্তির ব্যাপারে ফতোয়া দিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের আকিদা ধ্বংসকারী প্রো-ভিসি ড. আবুল কালাম আজাদকে দ্রুত পদত্যাগ-অপসারণ ও স্বৈরাচারী সরকারের দোসর আওয়ামী আমলা, ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের সকল কাজে প্রতিবন্ধকতাকারী, বিভিন্ন কাজের দুর্নীতির সাথে জড়িত ও একই সাথে দুইটি চাকরি করে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ লাখ টাকার এফডিআরের দুর্নীতির দোসর ট্রেজারার পদত্যাগ করতে হবে।
১২ দফা দাবিতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে ছাত্রবান্ধব, সৎ, যোগ্য ও দক্ষ ভিসি নিয়োগ, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারকে অপসারণ করে ছাত্রবান্ধব, সৎ, যোগ্য প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগ, অনার্স-২০২২-এর স্থগিত পরীক্ষা গ্রহণ করে ১ মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ, মাস্টার্স-২০২২ এর পরীক্ষা গ্রহণ ও যথাসম্ভব দ্রুত ফল প্রকাশ, আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কামিল-২০২২ এর ফলাফল প্রকাশ, ২০২৩ সালের ফাজিল-কামিল পরীক্ষা এ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা, ২০২৩ সালের অনার্স-মাস্টার্স পরীক্ষা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে গ্রহণ ও ৪৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ, সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে পরবর্তী পরীক্ষাসমূহ সিলেবাস কমিয়ে ক্রাশ প্রোগ্রাম গ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা, ফল প্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে সনদ হস্তান্তর, অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) এর সনদপত্র দিয়ে প্রভাষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার প্রক্রিয়া অতিদ্রুত বাস্তবায়ন, দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয়, নির্জীব প্রশাসনিক কাঠামোকে সক্রিয় করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র ক্যাম্পাসের কাজ অতিদ্রুত সম্পন্ন করে পাঠদান শুরুর দাবি জানানো হয়। দাবি আদায় না হলে আবারো ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।