শেষের পাতা
নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সমাবেশে হাতাহাতি-মঞ্চ ভাঙচুর
নাটোর প্রতিনিধি
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারহট্টগোল, হাতাহাতি, চেয়ার ও মঞ্চ ভাঙচুরের মধ্যদিয়ে নাটোরে শেষ হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা। গতকাল দুপুর ২টার দিকে নাটোর নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ মাঠ তৈরি মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। পরে বিকালে ওই মঞ্চেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা থেকে আসা কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা সেখানে বক্তব্য রাখেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অনেক রক্ত ত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি তা সবার জন্য কাজে লাগাতে হবে। দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের স্বৈরাচারের পতন হয়েছে আর কোনো স্বৈরাচারী শক্তিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়া হবে না। ছাত্ররা আর কোনো বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত হবে না। এখন আমাদের দেশ গঠনের সময়। যে সমস্ত শহীদ ও আহত পরিবার রয়েছেন তাদের পাশে সরকারের সঙ্গে ছাত্রসমাজ তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়াবে। সামান্য বিশৃঙ্খলার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন নেতৃবৃন্দ।
এর আগে দুপুর একটার দিকে শহরের অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে নাটোরের ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের মতবিনিময় সভায় ছাত্রদের দু’পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সভা চলা অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা এনএস কলেজ মাঠের সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর করে। আয়োজকদের দাবি, অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়াম ছাত্রদের যে পক্ষ হট্টগোল বাধায় তারাই সেখান থেকে বের হয়ে সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর করে। সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তফা কামাল বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই দুর্বৃত্তরা চলে যায়।
দুপুরে নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মতবিনিময়কালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দুপুর ১টার দিকে দিকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. মাহিন সরকার, কুররাতুল আইন কানিজ, ইফতেখার আলম, ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ছাত্র আন্দোলনে নাটোরে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আলোচনা শুরু হলে অন্য গ্রুপের শিক্ষার্থীরা সেখানে ঢুকে পড়ে। এরপর সবাইকে চেয়ারে বসতে বলা হলে উল্টো আয়োজকদের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঢাকার সমন্বয়করা সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে শিক্ষার্থীদের অন্য একটি পক্ষের দাবি, যারা প্রকৃতপক্ষে নাটোরের আন্দোলনে আহত হয়েছেন তাদের এড়িয়ে আজকের আয়োজনে না রাখায় ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তারা ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে নাটোরের কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অনৈতিক সুবিধা নেয়ার প্রতিবাদও করেন। তবে অনুষ্ঠান চলা আয়োজকদের দাবি, বহিরাগতরা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী। অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতেই এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অনুষ্ঠান শেষ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছাত্রদের কাছে অনুরোধ ঐক্যবদ্ধ থাক। নতুবা অর্জন নস্যাৎ হবে । বাইরের কোনরাজনৈতিক দলের কেউ ভাঙ্গন ধরাতে চাইলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাড়াও ।
"দেশের স্বৈরাচারের পতন হয়েছে আর কোনো স্বৈরাচারী শক্তিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়া হবে না"। সদ্য বিদায়ী সৈরাচারকেই পরিপূর্ণ বিদায় কি এখনো করা হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে তো এখনো পূর্বের দোসররাই বহালতবিয়ত আছে। নূতন করেও স্থান পাচ্ছে। এর মধ্যেই নিজেদের মধ্যে মারামারি। লক্ষণ বেশী সুবিধা মনে হচ্ছে না। এই দেশ ও জাতীর ভাগ্যে কি আছে। নূতন সৈরাচারে নয় পূর্বেকার সৈরাচার আরো শক্তিধর হয়েও আবির্ভাব হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
এখন চুপ থাকার সময় নেই, যেখানে ছাত্রলীগ সেখানে প্রথমে আদর করে পরে পুলিশ কে দেয়া হোক।
আর প্রথম আলো নিউজ করলো ছাত্রদল হামলা করেছে বলে! এদের উদ্দেশ্য কি? বিএনপিকে বিতর্কিত করা?