অনলাইন
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন বাতিল করতে চিঠি
মরিয়ম চম্পা
(৩ সপ্তাহ আগে) ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ২০২৩ বাতিলের সুপারিশ করে প্রেসিডেন্টের দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে জাতীয় স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের অমূল্য তথ্যভান্ডার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের হাতে ন্যস্ত না করতে অনুরোধ করা হয়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির দপ্তরের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বরাবর এই পত্র পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ২০১০ সালে ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ একটি আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়। এটি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে হাতছাড়া হলে, নাগরিকদের অনেক সকল তথ্য বেহাত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন এর এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনরের কাছে রাখতে ১০ দফা কার্যকারিতা তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার সফল বিপ্লব ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে গত ৫ই আগস্ট বিগত সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। ফলস্বরূপ গঠিত অন্তর্বতী সরকার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবযাত্রা শুরু করেছে। ২০০৭-০৮ সালে দল-মত নির্বিশেষে সকলের আস্থার জায়গা থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় সরকার ও ইউএনডিপিসহ ৯টি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তায় আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রায় ৮.১০ কোটি নাগরিকের ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহপূর্বক জাতীয়ভাবে ভোটার ডাটাবেজ গড়ে তোলা হয়। সর্বশেষ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে এই ডাটাবেজে প্রায় ১২.১৯ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। UNDP এর সমীক্ষা অনুসারে ভোটারদের এই সংগৃহীত ডাটা ৯৯.৭ শতাংশ সঠিক মর্মে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতেই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ব্যতিরেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের একই জনবল দ্বারা বিগত ১৭ বছর যাবৎ নিবন্ধিত নাগরিকগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হচ্ছে। দীর্ঘ এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশব্যাপী নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে।
তৎকালীন সরকার সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত (সংলাগ-১) উপেক্ষা করে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্যসমৃদ্ধ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তরে দ্বিমত জানিয়ে ২০২১ সালের ৭ই জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পত্র প্রেরণ করে বিগত নির্বাচন কমিশন তার অবস্থান সুস্পষ্ট করে বিগত সরকারের আমলে গত বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ বাতিলপূর্বক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়। গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে উক্ত আইনের কার্যকারিতার তারিখ নির্ধারিত না হওয়ায়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বর্তমানে এনআইডি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বর্তমানে একটি হয়রানি মূলক প্রক্রিয়া হল জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন। তারা জন্মনিবন্ধন মানেনা। আবেদন করতে যে প্রতিটি লাইনের জন্য আলাদা টাকা নেওয়া হয় এটা বৈষম্যমূলক। সংশোধন হলে তবেই নামজারীর ডিসিআর এর মত টাকা নেপয়া উচিত। স্বৈরাচারী কায়দায় একটা মেসেজ দিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষের নিকট উপযুক্ত মনে না হওয়ায় বাতিল করা হল। আর নাগরিক এর প্রমান নির্বাচন কমিশন এর কাছে কেন থাকবে? আলাদা করপোরেশন বা অধিদপ্তর করা হোক। পাশাপাশি বিগত সময়ের অর্থনৈতিক লেনদেন এর জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।
এন আইডি সংশোধন ্ও তথ্য হালনাগাদ প্রকৃয়া সহজতর করার দাবি করছি।
সেবা সহজ করা হোক। পাসপোর্ট এর সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের বাধ্যতা করা ঠিক হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্রের চেয়ে পাসপোর্ট অধিক গুরুত্ব।জাজিয়া পরিচয়পত্র কোন কাজে আসে না। এটা একটা বিলাসী প্রজেক্ট। যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এর ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
বিভিন্ন কারণে দেশের নাগরিকগণ বিগত পনেরো বছর যাবত এক জায়গা অন্য জায়গায় বসবাস/স্থান্তরিত হলেও এরিয়া ভিত্তিক ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয় নি। ফলে, ভোটার হয়েও তারা ভোট দিতে পারে না আইনী জটিলতায়। ফলে বিষয়টির গুরুত্ব অনুভবপুর্বক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে তথ্য হালনাগাদ করার দাবি জানাচ্ছি।
এন আই ডি নির্বাচন কমিশনের কাজ।
দেশের জনগন চায় এটা নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাক।
জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার চেষ্টাও একটে চক্রান্ত। এতে পুলিশের টাকা খাওয়ার একটে অমোঘ পথ হবে । দ্বিতীয়ত জনগনের ডাটাবেজ হাতে নিয়ে অত্যাচার নিপীড়ন করার অভিসন্ধি ছিল সাবেক ফ্যাসিবাদি সরকারের।
এক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েই যতরকম দূর্নীতি হচ্ছে। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলাতেই প্রায় ৪০ দিন যাবৎ ছবি উঠাচ্ছে, কিন্তু আপলোড করছে না। কয়েকশন স্থানান্তরে আবেদন পড়ে আছে। কিছু আবেদন অনলাইনে ডাটা করা আছে কিন্তু ইস্যু করা হচ্ছে না। আমাদের দেশের জাতীয় অব্যবস্থাপনার মধ্যে একটি হলো ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন। এমন আরো অনেক দৃষ্টান্ত আছে।