শেষের পাতা
দক্ষিণ সিটির সেই প্রধান প্রকৌশলীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি
স্টাফ রিপোর্টার
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবারবিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ ঢাকা দক্ষিণ সিটির সেই প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তোপের মুখে পড়েন আশিক। পরে তিনি প্রধান প্রকৌশলীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই নানা দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এমনকি ওয়ান-ইলেভেনের সময়কালে গঠিত টাস্কফোর্স আশিককে দক্ষিণ সিটির ১ নম্বর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা করে। এরপরও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুকৌশলে সরকারি দলের নেতাদের ম্যানেজ করে বাগিয়ে নেন একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদ। দায়িত্ব পালন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালকের পদেও।
সূত্রগুলো বলছে, ফ্লাইওভার প্রকল্পে দুর্নীতির আশ্রয় নেন তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক আশিক। ওই সময় নির্মাণ প্রকল্প ব্যয় ৮শ’ কোটি টাকা ছিল। প্রকল্প পরিচালক সে ব্যয় প্রায় ২২শ’ কোটি টাকা করেন। এ ছাড়া মতিঝিল সিটি সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পে অসম চুক্তি করেন। এই প্রকল্পে ৭৮ ভাগ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এবং মাত্র ২২ ভাগ পায় সিটি করপোরেশন। এমন অসম চুক্তি করলেও আশিকুরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। একই ধরনের আরেকটি প্রকল্প সানমুন টাওয়ার নির্মাণ। এই প্রকল্পে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পায় ৭৫ ভাগ এবং করপোরেশন পায় ২৫ ভাগ। পরবর্তী সময়ে এ ঘটনায় মামলা হয় তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা এবং প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শিহাবউল্লাহর বিরুদ্ধে। ওই মামলায় দীর্ঘদিন জেল খাটেন প্রকল্প পরিচালক। একই ধরনের দুর্নীতি করেও রেহাই পেয়ে যান সিটি সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আশিকুর রহমান। কেবল সিটি করপোরেশনই নয়, এর আগে তিনি বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনে পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে চাকরি করেছেন। সেখানেও জড়িয়েছেন দুর্নীতিতে। সেই দুর্নীতির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। সেই তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালক পদে থাকার সময়েও জড়িয়েছেন এ প্রকৌশলী। দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের পাশাপাশি আশিক রাজধানীর অভিজাত এলাকায় গড়ে তুলেছেন একাধিক বাড়ি এবং ফ্ল্যাট। রয়েছে বেশ কয়েকটি আলিশান গাড়িও।
এদের শুধু বরখাস্ত করলেই হবে না গত তিরিশ বৎসরে যা অবৈধ অর্থ বাড়ি গাড়ি সম্পদ কামিয়েছে তা রাস্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপত করতে হবে এবং গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে কঠিন সাজা দিতে হবে ।না হলে এত ছাত্র জনতার রকতে পাওয়া নতুন স্বাধীনতার স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যাবে।
এর কী কোন বিচার হবে না ? নাকী গ্রেপ্তারের আগেই পালিয়ে যাবে?