বাংলারজমিন
পাবনায় শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবারপাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতার গুলিতে দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নাছির ভাণ্ডারী (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২ ও ৩ এর একটি যৌথ দল। এ নিয়ে মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তারকৃত নাছির পাবনা সদর উপজেলার নলদহ গ্রামের মুক্তার ভাণ্ডারীর ছেলে। তিনি দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খানের অন্যতম সহযোগী এবং হত্যা মামলার আট নম্বর আসামি। মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব পাবনা ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় সোমবার র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্প ও র্যাব-৩ এর একটি যৌথ দল ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাছিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে পাবনায় এনে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোরে একটি রিভলবার ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। কোম্পানি কমান্ডার এহতেশামুল হক খান আরও জানান, র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত নাছির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং ভিডিও ফুটেজে নিজেকে শনাক্ত করেছেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৪ঠা আগস্ট পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতাদের গুলিতে দুই শিক্ষার্থী মাহবুব হাসান নিলয় (১৪) ও জাহিদুল ইসলাম (১৯) নিহত হয়। এ ঘটনায় ১১ই আগস্ট নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের পিতা দুলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানকে প্রধান আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাবনা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সাবেক পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, সাবেক মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিকসহ ১০৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।