কলকাতা কথকতা
'প্রধানমন্ত্রী দেশের লজ্জা' - মমতা
সেবন্তী ভট্টচার্য্য, কলকাতা থেকে
(১ মাস আগে) ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৫:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪৭ অপরাহ্ন
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পেশ হলো ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)। বিল পাস করার পর ৩ সেপ্টেম্বর দিনটিকে রাজ্যের নারী বাহিনীর জন্য ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “মেয়েদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে ৩ সেপ্টেম্বর একটা ঐতিহাসিক দিন। ১৯৮১ সালে এই দিনে মেয়েদের অধিকার সুরক্ষার জন্য ইউনাইটেড নেশন চালু করেছিল নারী বৈষম্য বিরোধী কমিটি। এই দিনের সঙ্গে মিলে যাওয়ার জন্য আমি ইউএনকে ধন্যবাদ জানাই।” এর পর মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে শোনা যায় নজরুলের কবিতা- “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী/ অর্ধেক তার নর।” অপরাজিতা বিল প্রসঙ্গে মমতা বললেন, ‘‘এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের লজ্জা! উনি মেয়েদের রক্ষা করতে পারেননি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।’’ বিরোধীদের শোরগোল এবং বিক্ষোভের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বলে চলেন- ”কেউ কেউ বলছে, আমরা আইন করতে পারি না। এটা সর্বৈব মিথ্যা। রাজ্য চাইলে আইন আনতেই পারে। সংবিধান সেই অধিকার আমাদের দিয়েছে। অন্ধ্র এনেছে। মহারাষ্ট্রে আনছে। আমাদের এখানে এই আইন রাজ্যপালের কাছে পাঠাচ্ছি। তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাবেন।” অপরাজিতা বিলকে সমর্থন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, আমি রেজাল্ট দেখতে চাই। ওই বিলকে আগে আইনে পরিণত করুন। তারও জবাব দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতাকে বলুন বিলে রাজ্যপালকে বলুন সই করতে। তার পরেই দেখবেন রুলস হয়ে গিয়েছে।’’
এক কান কাটা মোদি আর এক কান কাটা হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ।
লজ্জার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশেও ছিল, জনগন সেই বোঝা দূরে সরিয়ে দিয়েছে অথচ সেই লজ্জার মন্ত্রী আরেক লজ্জায় গ্রহণ করেছে।