প্রথম পাতা
৪ঠা আগস্ট রাতেই হাসিনা বুঝতে পারেন সময় শেষ
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৪ আগস্ট ২০২৪, শনিবার
শেখ হাসিনা কখন, কীভাবে পদত্যাগ করেন তা নিয়ে অন্তহীন জল্পনা-কল্পনা। সরকারের তরফে এখনো কিছু বলা হয়নি। শেখ হাসিনাও নিশ্চুপ। তবে নানা সূত্রে জানা যায়, ৪ঠা আগস্ট রাতেই শেখ হাসিনা জানতে পারেন- ছাত্র আন্দোলন এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। কিন্তু শেখ হাসিনা কোনো অবস্থাতেই পদত্যাগে রাজি হচ্ছিলেন না। বরং তিনি আরও কড়া অ্যাকশনের পক্ষে অনড় ছিলেন। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছিল। কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকায় ফেরা ছোটবোন শেখ রেহানাও তাকে বোঝাতে ব্যর্থ তখন। একপর্যায়ে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে। শুরুতে জয় ছিলেন ক্ষিপ্ত, উত্তেজিত। তার জবাব ছিল ‘আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। আপনাদেরকে কীভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তা ভুলে গেছেন।’ নিরাপত্তাবাহিনীর অনড় ভূমিকায় শেষ পর্যন্ত জয় তার মা শেখ হাসিনার পদত্যাগের পক্ষে সায় দেন। উপায়ান্তর না দেখে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় চিন্তা বাদ দিয়ে অবশেষে পদত্যাগে রাজি হন।
সূত্র বলছে, ৪ঠা আগস্ট রাতেই শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। কিন্তু তিনি তা মানতে রাজি ছিলেন না। দফায় দফায় বৈঠক, আলোচনা, পদত্যাগে সম্মতি আদায় এবং সর্বশেষ পদত্যাগপত্র প্রস্তুতিতে দ্রুত সময় ফুরিয়ে যায়। পরিস্থিতির বিষয়ে শেখ হাসিনাকে বাস্তব অবস্থা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এর জন্য বিভিন্ন মাধ্যম নানাজনের প্রতি অভিযোগের আঙ্গুল তুলছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন ও দেশত্যাগের পেছনে ৪ জনের একটি চক্র বা ‘গ্যাং অব ফোর’- দায়ী বলে আওয়ামী লীগের এক নেতার বরাতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম রিপোর্ট করেছে। যা নিয়ে ঢাকায় রীতিমতো তোলপাড় চলছে। তাছাড়া বার্তা সংস্থা এএফপি’র বরাতে তাৎক্ষণিক দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে খবর রটে ৫ই আগস্ট আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ভারতের আগরতলা গেছেন, পরে দিল্লি। দেশ ছাড়ার আগে হাসিনা একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ পাননি। ওইদিন সকালে ছোটবোনকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনা গণভবন ছেড়ে বঙ্গভবনে গিয়ে পদত্যাগ করেন বলেও খবর রটে। এসব খবরের সত্যতা নিশ্চিতে অবিরাম চেষ্টা চলছে। যদিও এখনো ধোঁয়াশা কাটছে না। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চলেছে। মানবজমিনের অনুসন্ধান বলছে, শেখ হাসিনাকে ধারাবাহিকভাবে দেশের অবস্থা সম্পর্কে নানাভাবে জানানো হচ্ছিল। তিনি কারও কথাই কানে তুলছিলেন না।
একটি সূত্র বলছে, পদত্যাগ করতে শেখ হাসিনার সময়ক্ষেপণই জাতির জন্য কাল হয়। অন্যথায় গণভবনসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে মানুষের ক্ষোভের থাবা কিছুটা কম হতো। ৫ই আগস্টের পরিস্থিতি শেখ হাসিনার বঙ্গভবনে যাওয়ার জন্য মোটেই অনুকূল ছিল না। সূত্র বলছে, জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিরাপত্তাবাহিনীর পরামর্শে সেদিন দুপুরে তিনি গণভবনে বসেই তার পদত্যাগপত্রে সই করেন। যা দায়িত্বশীল ব্যক্তির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পৌঁছানো হয়। অন্য একটি সূূত্র বলছে, হেলিকপ্টারে চড়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়েননি। এমনকি আগরতলায়ও যাননি। সম্প্রতি বিমান বাহিনীর ফ্লিটে যুক্ত হওয়া সি-১৩০-জে সুপার হারকিউলেস এয়ারক্রাফ্ট-এ চড়ে শেখ হাসিনা সরাসরি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তার আগে গণভবন থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তায় তাকে তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে নেয়া হয়। সেখানে প্রস্তুত ছিল বৃটিশ এয়ারফোর্সে ব্যবহৃত হওয়া আমেরিকান কোম্পানি ম্যাকডোনাল্ড ডগলাসের তৈরি সি-১৩০ জে উড়োজাহাজ।
২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বৃটিশ কোম্পানি মার্শাল এয়ারস্পেসের মাধ্যমে ৫টি সি-১৩০ জে এয়ারক্রাফ্ট কিনেছে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স। দায়িত্বশীলরা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো অপারেশনে ওই এয়ারক্রাফটের উপর নির্ভর করা যায়। কারণ দীর্ঘপথে বিরতিহীন যাত্রায় সক্ষম বৃটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্সের অপারেশনে ব্যবহৃত ওই উড়োজাহাজ। সূত্র বলছে, আগে থেকে প্রস্তুত রাখা ওই উড়োজাহাজে ফ্লাই করেন শেখ হাসিনা। উড়োজাহাজ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বাইরে ফ্লাইটে শেখ হাসিনার একমাত্র সফরসঙ্গী ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা। হাসিনা ও রেহানাকে বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ননস্টপ ফ্লাই করে ৫ই আগস্ট সন্ধ্যায় দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। সেখানে অপেক্ষমাণ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে রিসিভ করেন। দ্রুত ফ্লাইট ক্লিয়ারেন্স পাওয়াসহ শেখ হাসিনাকে গ্রহণের অন্যান্য প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রশাসন প্রধানতঃ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দপ্তরের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছিল।
পাঠকের মতামত
খুনি হাসিনা এবং তার সহযোগী আওয়ামী লীগ ও পুলিশ লীগের সন্ত্রাসীদের কে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত।
আপনাদের কি ধারনা? স্বাধীনতা কি জিনিস? কি ভাবে এটা আসে? কি ভাবে এটা যায়?
হাসিনা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা
উনি ভারতে বসে এখনও চক্রান্ত করছে না হয় এত ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হতোনা। জুলুমকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।।। জুলুমকারী নির্যাতনকারী চিরকাল বেচে ও থাকে না সারাটিজীবন মানুষের অভিশাপ নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয় !
শেখ হাসিনার হিসাব একটি, যত দিন বেচে থাকবো তত দিন ক্ষমতায় থেকে আরাম আয়েশ করে যাবো। উনার ছেলে মেয়ে বিদেশে আরাম আয়েশে আছে। দেশের মানুষের কোন চিন্তা ভাবনা ছিলো না। নেতা কর্মীদের সুযোগ করে দিয়েছে লুটেপুটে খাও।
শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা বাটপার ছিল। বাংলাদেশ টাকে লুটে পুটে খেয়েছে। এদেশের কিছু বাটপার সমর্থনকারী আওয়ামীলীগ এর এখনো চোরাদের জন্য কান্না করছে। আরে বাটপার তোদের বলি ভারত হাসিনার ব্যক্তিগত উপকার দেখে -বাংলাদেশের নয়। একথা বাংলাদেশের মানুষ সবসময় বলতো। এখন তা প্রমাণিত। আরে বাটপারের লীগ দেশ বড়ো না হাসিনা বড়?
খুনি হাসিনা ও তার দালালদের ফাঁসি চাই.
Sheikh Hasina was a fascist, corrupted, dictator and killer. She must be punished for all her crimes.
Abdul Rabib, দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আপনাদের মত সঘোষিত দালালদের চিন্তা করার দরকার নেই, দেশ ভালই চলবে, ইনশাআল্লাহ।
আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলে দেশটা তার বাবা স্বাধীন করেছে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ যে ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছে শেখ হাসিনা আমলে শেখ মুজিবের আমলে যে পরিমাণ মানুষ ধ্বংস করেছে এবং ২০২৪ সালে ছাত্র জনতা কে যেভাবে গুলি করে মারা হয়েছে তার জন্য হাসিনার সরকার ফাঁসি হওয়া উচিত
দেশের বর্তমান অবস্থা : স্বাধীনতা আগেও পাইনি , এখন তো কথাই বলা যাচ্ছে না। কিছু বললেই আওয়ামীলীগের দালাল। জানিনা এদেশের ভবিষ্যত কি '
শতশত স্যুটকেস ভরে লুটের বাকী টাকা সাথে নিয়ে গেছে।
উনি ভারতে বসে এখনও চক্রান্ত করছে না হয় এত ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হতোনা।
আওয়ামিলীগ যত টাকা পাচার করেছে।এদের পূর্বপরিকল্পনা ছিলো এদের পালাতে হবে একদিন। সুতরাং এই দল নিষিদ্ধ করা হোক।
শেখ হাসিনা অনেকবার বলেছেন আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছে এদেশ আমার। শেখ হাসিনা বিশ্বাস করতেন এই দেশ একান্তই তার পরিবারের। নিজের ব্যক্তিগত জিনিষকে যেরকম ইচ্ছা ব্যবহার। ১৫ বছরে শেখ হাসিনা রাজনীতি দিয়ে দেশ চালানি, নিজের যেমনটি ইচ্ছা করেছেন। তিনি তার চার পাশ পরিবেষ্টিত চাটুকারদের চাটুকারীতা ভীষণ পছন্দ করতেন।
চাঁদাবাজি যেই করুক না কেন, হাতটা ভেংগে বগলে ধরিয়ে দিবেন
এখন যে বিএনপি সারা বাংলাদেশে চাদা বাজি শুরু করে দিয়েছে তার শাস্থি কি হবে? প্রকৃত স্বাধীনতা এখনও আসে নাই। এক জুলুম কারী বিদায় নিছে অন্য জুলুমকারী অলিখিত ক্ষমাতা নিয়ে চাদা বাজি শুরু করে দিয়েছে।
জুলুমকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।।। জুলুমকারী নির্যাতনকারী চিরকাল বেচে ও থাকে না সারাটিজীবন মানুষের অভিশাপ নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয় !!! বিচারক হিশাবে আল্লাহই যথেষ্ট।।।
জুলুমকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না...........................................?
জুলুমকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।।। জুলুমকারী নির্যাতনকারী চিরকাল বেচে ও থাকে না সারাটিজীবন মানুষের অভিশাপ নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়
২০১৪ থেকে ২০১৮,২০২৪ জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতা ভোগ হাসিনাকে ফ্র্যাঙ্কেসটাইনে পরিণত করেছিল। ক্ষমতাকে সে তার পৈতৃক সম্পত্তির মতই ব্যবহার করে এসেছে! সর্বশেষ আমি-ডামী নির্বাচনের পর স্বৈরাচার হাসিনা নিজেকে অপরাজেয় ভাবতে শুরু করে। নিশ্চিহ্ন করতে এহেন অত্যাচার নির্যাতন নেই যা হাসিনা বিরোধীদের উপর করেনি। এতে বিরোধীরা বিপর্যস্ত হলেও দমেনি। হাসিনার সীমা লঙ্ঘনে আল্লাহর আরশ ও কেঁপে উঠেছে। পরিশেষে অপ্রস্তুত অবস্থায় অকল্পনীয় পতন!
সি-১৩০ জে is designed and manufactured by Lockheed Martin.
উনার আগ্রাসী মনোভাব এর জন্য আজ বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে পড়েছে। উনি বাংলাদেশ কে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে
জুলুমকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।।। জুলুমকারী নির্যাতনকারী চিরকাল বেচে ও থাকে না সারাটিজীবন মানুষের অভিশাপ নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয় !!! বিচারক হিশাবে আল্লাহই যথেষ্ট।।।
যে যাহাই বলুক, হাসিনাকে যে জনসমুদ্র গণভবনে ঢুকেছিল, সেখানে ছেড়ে দেয়া উচিৎ ছিল।
All serial killers are always in denial. Allah SWT saved the motherland. Alhamdullilah.
The higher the wall, the harder you fall!
আপদ বিদায় এটাই আসল কথা ।
যাওয়ার সময় সুটকেস কতো গুলো নিয়ে ছিল ?