ড. ইউনূসকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ফোন: তবে কি মালয়েশিয়ার কলিং জটিলতা কাটছে?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ফোন করায় মালয়েশিয়ার কলিং ভিসার জটিলতা নিরসনের আলোর মুখ দেখার প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশিরা।

গত ১৩ আগস্ট ২০২৪, ডক্টর ইউনূসকে তার নিয়োগের জন্য ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

আলাপকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়ার সাথে ড. ইউনূসের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক গভীর সন্তুষ্টির সাথে স্মরণ করেন। মালয়েশিয়া অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা দিতে প্রস্তুত মর্মে তিনি ড. ইউনূসকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়া বাংলাদেশের অংশীদার হতে প্রস্তুত।

অধ্যাপক ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে তার ফোনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় কাজের আরও সুযোগ পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সাথে কথোপকথনের সময়, ড. ইউনুস সংখ্যালঘুসহ সকল বাংলাদেশীর অধিকার রক্ষায় তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। ড. ইউনূস তাকে দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এর আগে, গত ১০ আগস্ট ২০২৪, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রফেসর ইউনূসের জন্য একটি উষ্ণ অভিনন্দন বার্তা পোস্ট করেন। যেখানে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর কবিতা "চিত্ত যেথা ভয়শূন্য" এর উদ্ধৃতি দিয়ে দেশের তরুণদের ভিশন এবং অদম্য শক্তির প্রশংসা করেন।

উল্লেখ্য, প্রফেসর ইউনূস মালয়েশিয়ার আলবুখারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল শান্তি পদক বিজয়ী (২০০৬) ড. ইউনূস এর দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং বাংলাদেশের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী।

তবে মালয়েশিয়ার কলিং জটিলতা সহসাই কাটছে কি না তা, জানতে আরো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে হচ্ছে।