অনলাইন
আন্দোলনকারীদের দখলে ধানমন্ডির সড়ক
স্টাফ রিপোর্টার
(৯ মাস আগে) ১৫ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১১ পূর্বাহ্ন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নিয়েছে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ চিত্র দেখা গেছে। আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়েছে।
আজ ১৫ই আগস্ট। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদতবার্ষিকী। এটা ঘিরে এই কর্মসূচি ঠেকাতে গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্য রাত থেকে ৩২ নম্বর ঘিরে চারপাশ দখল করে রেখেছে ছাত্র-জনতা। অন্যদিকে আজ সকাল থেকে সকাল থেকে আওয়ামী লীগের কোনও কেন্দ্রীয় নেতাকে ৩২ নম্বরে দেখা যায়নি।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দুই পাশে কাটা তারের বেড়া দেওয়া আছে। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত চলে যান। এরপর থেকে দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন। এছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা গ্রেফতার হয়েছেন।
পাঠকের মতামত
Are you still under some compulsion to say স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু whenever you mention the name of Sheikh Mujibur Rahman who, among other things, had established dictatorship (one party/one leader rule) in our country?
এই ছেলে/মেয়ে গুলো অনেক সাহসী আর বুদ্ধিমান, আওয়ামী-বিএনপি বুড়া খাটাশ দের কোন চান্সই নাই এদের সাথে পেরে উঠার
আন্দোলন কারিরা খুবই সতর্ক । এমনকি প্রবীণদের চাইতে তাদের সিদ্ধান্ত চমত্কার ।
People are very much concerned about recent changeing.So be care ...
গোপালগঞ্জের কী অবস্থা? গোপালী পুলিশরা গেলি কই ?
গোপালগঞ্জ বা টুঙ্গীপড়ার কী অবস্থা?
দুর্বৃত্তায়ণ গণতন্ত্র হত্যা বিচারহীনতা বাকশালের জনক ৭৪এর মনন্তরের কুশিলব শেখ মুজিব ছিলেন এক নেতার এক দেশ খ্যাত বিশ্বস্বৈরাচার। তার জম্ম মৃত্যুর স্মরন এদেশে হবে কুখ্যাতির জন্য সুখ্যাতির নয়।
আন্দোলন কারিরা খুবই সতর্ক । এমনকি প্রবীণদের চাইতে তাদের সিদ্ধান্ত চমত্কার ।
শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মধ্যে একজন, আমি বিশ্বাস করি এবং সচেতন মানুষও তা বিশ্বাস করে। কিন্তু জিয়া উর রহমানকেও ত হত্যা করা হয়েছে, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, পিলখানায় দেশ প্রেমিক অফিসারদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আবার ২৪শে এসে শতশত ছাত্র জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। এসব আড়ালে রেখে জাতির উপর শেখ পরিবারের শোক চাপিয়ে দেওয়া এই সচেতন প্রজন্ম আর মেনে নিবে না।। আওয়ামী লীগের ভণ্ডামি, ভারত প্রেমি শেখ হাসিনার শাসনকাল, স্বৈরাচারীতার জন্য তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে এদের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলেই এ দেশ ও জাতি শঙ্কামুক্ত হবে।
ফেরাউন থেকে শুরু করে অদ্যাবদি কোনো জালিমকে পৃথিবীর মানুষ গ্রহণ করেনি।
ইলেকট্রনিক্স এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় এখনো ফ্যাসিবাদের দালাল ভরপুর। বাকশাল কায়েম করে শেখ মুজিবুর রহমানও স্বৈরাচার হিসাবে গণ্য। তিনি গনতন্ত্রের সাথে আওয়ামী লীগকেও কফিনে ঢুকিয়ে পেরেক ঠুকে দিয়েছিলেন। ২০১৮ সনের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় মৃত্যু হয়। এখন আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ফ্যাসিবাদের উত্তরাধিকার হিসেবে আওয়ামী লীগ নামক একটি গলিত দুর্গন্ধময় লাশ বহন করছেন। অথচ গনতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ দুটি দলই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গত ১৫ বছরের গুম, খুন, অপহরণ, আয়না ঘর কাহিনী ও প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার ইত্যাদি সামলে আবার দাঁড়ানো কঠিন হবে।
এটাই কি গনতন্ত্র
আমাদের শোক এখনো ভোরের শিশিরের মত তাজা। আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, কবরে গজায়নি ঘাস। আমাদের হাহাকার এখনো বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। আর খু নি রা এসেছে আমাদের তাজা শোক মাড়িয়ে তাদের লালসালুর মাজারে পূজা নিয়ে। হবে না। এত সহজ না। এটা নতুন বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে রোকেয়া প্রাচীদের নটাংকি মেনে নেওয়া হবেনা।
একটি বাংলাদেশ, তুমি জাগ্রত জনতার। সারা বিশ্বের বিশ্ময়, তুমি আমার অহংকার!!