খেলা
বিসিবি’র সভাপতি ও পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ আগস্ট ২০২৪, বুধবারসরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডে (বিসিবি) পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি’র প্রধান কার্যালয়ের সামনে প্রায় প্রতিদিনই চলছে মিছিল-মিটিং। গতকাল সাবেক ফুটবলার বিএনপি’র ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটির সদস্য সচিব আমিনুল হকের নেতৃত্বে সেখানে উপস্থিত হন ক্রীড়া সংগঠকরা। তারা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সহ বর্তমান বোর্ড পরিচালকদের পদত্যাগ দাবি করেন। গতকাল স্টেডিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করেন বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে থাকা ক্রীড়া সংগঠকরা। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘বিসিবিকে দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে মুক্ত করার এটাই সময়। বাংলাদেশ ক্রিকেট আজ কোথায়? জবাব চাই।’ কোনও কোনও ব্যানারে লেখা, ‘বিসিবির সকল অযোগ্য পরিচালকদের পদত্যাগ করতে হবে।’ সেই সময় বিসিবির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু ও কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালও উপস্থিতি ছিলেন। এই তিনজনের সঙ্গে প্রতিবাদ সভায় আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন। তাদের একটাই দাবি- বিসিবির সব পরিচালকদের পদত্যাগ করতে হবে।
তবে বিসিবি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। যে গুলো সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত হলেও তাদের নিজেদের আইন তৈরি করার অধিকার আছে এবং নিজেদের মতো করে নিজেদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে পাপনের অনুপস্থিতিতে কীভাবে চলবে বিসিবি! পরিচালকদের শূন্যস্থান কীভাবে পূরণ করা যাবে তা নিয়েও। গুরুতর পদে থাকা এসব কর্তাব্যক্তিকে এ মুহূর্তে চাইলেও সরিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তেমন কিছু ঘটলে আইসিসির তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞায় পড়বে বাংলাদেশের ক্রিকেট। তবে বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১৫(২)-এর ধারা অনুযায়ী, শারীরিক অসুস্থতা, বিদেশ গমন বা যথাযথ কারণ ছাড়া পরপর তিনটি বোর্ডসভায় অনুপস্থিত থাকলে পরিচালকের সদস্যপদ বাতিল হবে। তবে সেটি থেকে বাঁচতেও আছে নানা অজুহাতের সুযোগ। যে কারণে এখনই পাপনের পদত্যাগের বিষয়টি সমাধাণ হওয়ার নয় যদি না তারা স্বেচ্ছায় সেটি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সংগঠক জানিয়েছেন, ‘আমরা দাবি রাখছি ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তনের। তবে এখন যদি সেটি জোর করে করার চেষ্টা হয় তাহলে হীতে বিপরীত হতে পারে। বিপদে পড়তে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট। তাই সবদিক বিবেচনা করে গঠনতন্ত্র মেনে ও আইসিসির সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।’