খেলা
ভালো কিছুর আশা শরিফুলের
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ আগস্ট ২০২৪, বুধবারকানাডা লীগে ব্যস্ত থাকায় দলের সঙ্গে পাকিস্তান যেতে পারেননি বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আজই তার পাকিস্তান যাওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল তিনি এসেছিলেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টাকে নিয়ে প্রত্যাশার পাশাপাশি পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানান তিনি। ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে অবশ্য শরিফুলের খুব বেশি কিছু চাওয়ার নেই। তিনি বলেন, ‘আসলে সবাই তো চায় ভালো কিছু, আমরাও ভালো কিছু চাইবো ইনশাআল্লাহ।’
সপ্তাহখানেক পরই পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু। ২১শে আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। সে ম্যাচ নিয়ে শরিফুল বলেন, ‘অবশ্যই রাওয়ালপিন্ডিতে আমরা আগে খেলা দেখেছি যে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট। আমাদেরও ভালো ব্যাটার আছে খেলাটা ফাইটিং হবে ইনশাআল্লাহ। ভালো একটা ফাইট দেয়ার চেষ্টা করবো।’ দলের সদস্যরা এখন পাকিস্তানে।
দেশের এই ক্রান্তিকালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেতে সবটা উজার করে দেওয়ার প্রত্যয় শরিফুলের কণ্ঠে। তিনি ‘আপনারা সবাই দেখতে পাচ্ছেন যে দেশের অবস্থা কেমন। আমরাও যাচ্ছি পাকিস্তানে খেলতে। ইনশাআল্লাহ আমরা চেষ্টা করবো যাতে ভালো কিছু করে জয় ছিনিয়ে আনতে পারি দেশের জন্য।’
‘সাকিবের ওই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল’
কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লীগে এলিমিনেটর ম্যাচে দেখা মিলেছিল এক বিরল দৃশ্যের। বৃষ্টিতে ম্যাচ মাঠে না গড়ানোয় সিদ্ধান্ত হয় সুপার ওভারের। তবে, খেলতে অস্বীকৃতি জানান বাংলা টাইগার্সের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যার ফলে সেখান থেকেই বিদায় নিতে হয় দলটিকে। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সাকিবের সতীর্থ খেলোয়াড় শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ভালোই লাগছে। পরপর দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে খেললাম। এটা রুলসে ছিল না, এক ওভারের একটি ম্যাচ। এ কারণে আমরা টসে যাইনি। আমার মনে হয় না কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি বা টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ ছাড়া সরাসরি সুপার ওভারে যাওয়া হয়। তারপর কী হয়েছে তা আমি নিজেও জানি না। খেলতে চান নাই বলতে যেটা রুলসে ছিল না। ম্যাচ না হয়ে কোনো জায়গায় তো কোনোদিন এক ওভারের সুপার ওভার হয়নি। এ কারণে তো উনি (সাকিব) ওনার জায়গায় ঠিকই ছিলেন। এটা যদি রুলসে থাকতো তাহলে তো উনি অবশ্যই খেলতেন।’
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের ফলাফল আনতে হলে অন্তত ম্যাচ হতে হবে প্রতি ইনিংস ৫ ওভারের। অন্তত পাঁচ ওভার করে না হলে কোনোভাবেই ম্যাচটি সুপার ওভারে নেয়া যাবে না। যদিও আম্পায়াররা তখন প্রস্তাব রাখেন সুপার ওভারের। আর তাই ক্ষুব্ধ হয়ে সুপার ওভারে না খেলার সিদ্ধান্ত জানান সাকিব। কানাডা থেকে দেশে ফিরে সাকিবের এই সিদ্ধান্তের পক্ষেই যুক্তি দেন শরিফুল।