প্রথম পাতা
৭৪ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থী ও নাগরিক হত্যার তদন্ত দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবারছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ, বিভিন্ন বাহিনী এবং সরকারের মদতপুষ্ট বেসরকারি অস্ত্রধারীদের হাতে শিক্ষার্থীসহ নাগরিক নিহত ও নির্যাতিত হওয়ার ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৭৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে এই তদন্ত করার স্বার্থে এটি জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে হওয়া জরুরি। আমরা তাই জাতিসংঘকে এলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রকৃত দোষী যেই হোক, যত উচ্চ পদাধিকারী কিংবা যেকোনো দলমতের হোক তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গভীরতম বেদনা ও ক্ষোভের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গত ১৬ই জুলাই থেকে পুলিশসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী এবং তাদের পাশাপাশি সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল মন্ত্রীর প্ররোচণায় তাদের আশীর্বাদপুষ্ট ছাত্র সংগঠনের সহিংসকর্মীরা নজীরবিহীন দমন-পীড়নের তাণ্ডব চালিয়েছে। শুরু থেকেই সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও অরাজনৈতিক ছাত্র আন্দোলনকে সরকার দল যেমন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করতে চেয়েছে, তাদের বিরোধী পক্ষও তেমনি ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতির নামে একে নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য ব্যবহার করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা ছাত্র-জনতা হত্যা ও জনগণের সম্পত্তি বিনষ্টের নাশকতার পেছনে যেকোনো ধরনের অপরাজনীতির নিন্দা করছি। সরকারের বল প্রয়োগে কমপক্ষে দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, হাজার হাজার মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় হতাহতের মধ্যে কয়েকজন আইনশৃঙ্ঘলা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। হতাহতের তালিকায় সংবাদকর্মীরাও আছেন।
আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন এ কারণে যে, আমাদের আশঙ্কা, সরকারি বাহিনী ও সরকারি দলের সংগঠনগুলোর আক্রমণে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক ব্যাপক, অনেক ভয়াবহ- যা ইন্টারনেট ও গণমাধ্যমের উপর সরকারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের কারণে আমরা জানতে পারছি না। এত অল্পসময়ে কোনো একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এমন বিপুলসংখ্যক হতাহতের নজির গত একশ’ বছরের ইতিহাসে (মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ বাদ দিলে) আমাদের দেশে তো বটেই এই উপমহাদেশেও মিলবে না।
এমন হত্যাকাণ্ডের নিন্দা বা ধিক্কার ও প্রতিবাদের উপযুক্ত ভাষা আমাদের জানা নেই। এই বিপুল প্রাণহানির দায় প্রধানত সরকারের। সাংবিধানিক শপথ এবং আইন উপেক্ষা করে একাধিক মন্ত্রী যেভাবে চরম দায়িত্বহীন ভাষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের উপর তাদের সমর্থক ছাত্রদের ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তাতে সারা দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশের জনগণ ও দেশের শুভকাঙ্ক্ষীরা স্তম্ভিত, গভীরভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়েছেন।
আমরা গভীর মর্মবেদনার সঙ্গে এও লক্ষ্য করেছি যে, দেশের বেসামরিক নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনের জন্য জাতিসংঘের লোগো সম্বলিত সাঁজোয়া যান রাস্তায় নামানো হয়েছিল, সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়োজিত করা হয়েছিল, কারফিউ জারি করে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও অভিযোগ মতে গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজীরবিহীন।
এই আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক তৎপরতার কারণে বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সুুষ্ঠুু, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এইসব নাশকতার জন্য যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তির দাবি আমরা জানাচ্ছি। তবে এই অজুহাতে ভিন্নমতের কাউকে দমন-পীড়ন বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি কোনোভাবেই সমর্থনীয় না। নাশকতার ঘটনার সময় তা প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা সরকার নেয়নি এবং সরকারি বাহিনীগুলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে গণমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের এই ভূমিকার রহস্য উদ্ঘাটন এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা জরুরি।
আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ যে, প্রাণহানি, ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলিবর্ষণের কোনো তদন্ত না করে পুলিশ শুধুমাত্র নাশকতার মামলা করে হাজার হাজার অজ্ঞাতনামা লোককে আসামি করেছে, কয়েক হাজার লোককে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে অসংখ্য নিরীহ নাগরিক, শিক্ষার্থী কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক, কর্মীদের কয়েকজনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও নিপীড়নমূলক। গণমাধ্যম থেকে এও জানা গেছে যে, এলাকা ভাগ করে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য বাহিনী ‘ব্লক রেইড’ ও নির্বিচার গ্রেপ্তার করে জনমনে, পরিবারসমূহে এবং তরুণ সমাজের মনে সীমাহীন ভীতি ও ত্রাসের সঞ্চার করেছে। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠার বদলে আরও জটিল ও অশান্ত করে তোলার ইন্ধন যোগাবে বলে আমাদের আশঙ্কা।
এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে, আমরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ ও শিক্ষামুখী রাখতে নিম্নোক্ত দাবিগুলি সরকারের কাছে তুলে ধরছি। একইসঙ্গে দেশবাসীকেও কঠিন আত্মপ্রত্যয়ে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে পুলিশ, র্যাব, অন্যান্য বাহিনী কিংবা সরকারের মদদপুষ্ট বেসরকারি অস্ত্রধারীদের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থী, শান্তিপ্রিয় নাগরিক, কিশোর-কিশোরী এমনকি শিশু নিহত, নির্যাতিত ও আহত হওয়ার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হতে হবে। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে এই তদন্ত করার স্বার্থে এটি জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে হওয়া জরুরি, আমরা তাই জাতিসংঘকে এলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। প্রকৃত দোষী যেই হোক, যত উচ্চ পদাধিকারী কিংবা যেকোনো দলমতের হোক তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ফলে যারা নিহত, গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের প্রতি জাতির সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদায় শোক পালনের ঘোষণা দিতে হবে। এই ঘটনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত কতো লোক, শিক্ষার্থী, কিশোর-কিশোরী নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার প্রকৃত সংখ্যা, নাম পরিচয় সরকারকে অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে।
মানুষের জীবন অমূল্য, কোনোকিছুতে এর ক্ষতিপূরণ হয় না। তারপরও এই সরকারের দায় মেনে নিয়ে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের সুচিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। যারা চোখ, হাত, পা হারিয়েছে তাদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক, সংগঠক, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সকল সাধারণ নাগরিকদের পুলিশ সাজানো অভিযোগে আটক ও গ্রেপ্তার করার যে বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে আমরা তাতে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ কাউকে কাউকে আটক করে যে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে তা সংবিধানের লংঘন ও ফৌজদারি অপরাধ সমতুল্য। এসব অশুভ তৎপরতা বন্ধ করে, গণরুম ও টর্চার সেলকেন্দ্রিক নির্যাতনের অবসান ঘটানোর সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে এবং শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। নির্বিচার গ্রেপ্তার, আটক ও আটক রেখে বিবৃতি আদায়, দমন-পীড়ন, শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের স্বজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, পুলিশ ও র্যাবের লাগামহীন হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কারফিউ তুলে নিতে হবে, দেশের ছাত্র-জনতাকে দমন-পীড়ন কিংবা ভয়-ভীতি প্রদর্শনের জন্য যে সকল সাঁজোয়া যান, হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম রাস্তায় নামানো হয়েছে, অবিলম্বে তা স্ব স্ব স্থানে ফেরত নিয়ে যেতে হবে, অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে ইন্টারনেটের উপর সকল সরকারি নিয়ন্ত্রণের অবসান করতে হবে এবং ভিন্নমতের মানুষকে হয়রানি ও তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে।
পরিশেষে, বিগত দিনগুলিতে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সহিংস আক্রমণে যে শত শত ছাত্র-জনতা নিহত, আহত ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের স্মরণে, তাদের প্রতি সহমর্মিতা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য একটি জাতীয় নাগরিক শোকসভা আয়োজনের জন্য আমরা দেশের সকল বিশিষ্ট ও দায়িত্বশীল নাগরিকদের প্রতি বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন-
১) সুলতানা কামাল, মানবাধিকারকর্মী; ২) ড. হামিদা হোসেন, মানবাধিকারকর্মী; ৩) খুশী কবির, মানবাধিকারকর্মী; ৪) ড. শাহদীন মালিক, আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ; ৫) রাশেদা কে. চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী; ৬) ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অর্থনীতিবিদ; ৭) ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অর্থনীতিবিদ; ৮) অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অর্থনীতিবিদ; ৯) ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অর্থনীতিবিদ; ১০) ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, মানবাধিকারকর্মী ও গবেষক; ১১) এডভোকেট জেড আই খান পান্না; ১২) ড. ইফতেখারুজ্জামান, মানবাধিকারকর্মী; ১৩) ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক; ১৪) শিরিন হক, নারী অধিকারকর্মী; ১৫) এডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; ১৬) শামসুল হুদা, মানবাধিকার ও ভূমি অধিকারকর্মী; ১৭) ড. বদিউল আলম মজুমদার, গবেষক ও পর্যবেক্ষক; ১৮) ব্যারিস্টার সারা হোসেন; ১৯) অধ্যাপক পারভীন হাসান; ২০) অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন; ২১) অধ্যাপক মো. তানজিমউদ্দিন খান; ২২) অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের; ২৩) অধ্যাপক মুশতাক এইচ খান; ২৪) অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা; ২৫) অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম; ২৬) অধ্যাপক বীনা ডি কস্তা; ২৭) অধ্যাপক শাহনাজ হুদা; ২৮) অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস; ২৯) অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস; ৩০) অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ; ৩১) অধ্যাপক ড. নাভীদা খান; ৩২) ড. স্বপন আদনান, শিক্ষাবিদ; ৩৩) দীনা সিদ্দিকী, শিক্ষাবিদ; ৩৪) ড. নাসরিন খন্দকার, পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চার; ৩৫) ড. সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক; ৩৬) ফারহা তানজিন তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক; ৩৭) মাইদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক; ৩৮) ড. রিজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, সহযোগী অধ্যাপক; ৩৯) মো. সাইমুম রেজা তালুকদার, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক; ৪০) সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র এডভোকেট; ৪১) তবারক হোসেন, সিনিয়র এডভোকেট; ৪২) ব্যারিস্টার শুভ্র চক্রবর্তী, মানবাধিকারকর্মী; ৪৩) ড. শরীফ ভূঁইয়া, এডভোকেট; ৪৪) এডভোকেট সাইদুর রহমান; ৪৫) এডভোকেট প্রিয়া হাসান চৌধুরী; ৪৪) এডভোকেট শারমিন খান; ৪৬) নাসের বখতিয়ার, সাবেক ব্যাংকার; ৪৭) আবু সাঈদ খান, সাংবাদিক; ৪৮) সাঈদা গুলরুখ, সাংবাদিক; ৪৯) সালিম সামাদ, সাংবাদিক ও মিডিয়া অধিকারকর্মী; ৫০) শারমিন মুরশিদ, মানবাধিকারকর্মী ও পর্যবেক্ষক; ৫১) ফস্টিনা পেরেইরা, মানবাধিকারকর্মী; ৫২) ড. রুশাদ ফরিদী, মানবাধিকারকর্মী; ৫৩) রেজাউল করিম লেলিন, গবেষক ও অধিকারকর্মী; ৫৪) নুর খান, মানবাধিকারকর্মী; ৫৫) রেজাউল করিম চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী; ৫৬) সাদাফ নুর, গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী; ৫৭) ড. তাসনিম সিরাজ মাহাবুব, মানবাধিকারকর্মী; ৫৮) ড. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী ও সমাজকর্মী; ৫৯) রেহেনুমা আহমেদ, লেখক ও গবেষক; ৬০) আলতাফ পারভেজ, লেখক ও গবেষক; ৬১) আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি ও লেখক; ৬২) জাকির হোসেন, মানবাধিকারকর্মী; ৬৩) মাহিন সুলতানা, মানবাধিকারকর্মী; ৬৪) রোজিনা বেগম, গবেষক ও অধিকারকর্মী; ৬৫) বারিশ হাসান চৌধুরী, গবেষক; ৬৬) রেজওয়ান ইসলাম, গবেষক ও অধিকারকর্মী; ৬৭) জাহানারা খাতুন, মানবাধিকারকর্মী; ৬৮) ফজিলা বানু লিলি, অধিকারকর্মী; ৬৯) আরিফা হাফিজ, মানবাধিকারকর্মী; ৭০) ইশরাত জাহান প্রাচী, অধিকারকর্মী; ৭১) দীপায়ন খীসা, মানবাধিকারকর্মী; ৭২) হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকারকর্মী; ৭৩) মুক্তশ্রী চাকমা, নারী অধিকারকর্মী এবং ৭৪) অরূপ রাহী, সাংস্কৃতিককর্মী।
পাঠকের মতামত
জাতিসংষ কি ধোয়া তুলসি পাতা . জাতিসংষের জানা মতে প্রতিটা মুসলিম রাষ্ঠে মুসলমান মারা হচ্ছে জাতিসংষ কি গলা ঝাড়ীয়ে আজ পযন্ত কথা বলছে? জাতি সংষ হল আমেরিকার পা চাটা গোলাম . শুধু বাংলাদেশ চোখে পড়ে .বাংলা দেশে এখন যারা মারা গেছেন সেটার নিন্দা করি . কিনত্ু জাতি সংষ বা অন্যরা আজকে যে কথা বলছেন ওরা এক চোখ . কেন ওরা মারা গেলেন কি জন্য মারা গেলেন কি কারণে সেটা জেনেও না জানার ভান করছে . ছাত্র আন্দোলন চলছিল সঠিক পথে যদি ছাত্র আন্দোলনের ভেতরে দালালরা না ঢুকত তবে একজন ছাত্রও মারা যেতেন না .
নামের লিস্ট দেখলাম। এখানে বর একটা গ্রুপ আছে যারা আওয়ামী লিগের সহযোগী ছিল এবং এখনও আছে। এদের ব্যাপারে সাবধান হওয়া উছিত, না হলে অর্জন নষ্ট হবে।
মানুষ মানুষের জন্য। স্বদেশের উপকারে নাই যার মন, কে বলে মানুষ তারে পশু সেইজন। প্রবাদগুলির পক্ষে উল্লেখিত ব্যক্তিদের ভূমিকা জাতি অবশ্যই স্মরণ করবে। মহান রব্বুল আলামীনের নিকট আপনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
মানুষ মানুষের জন্য। স্বদেশের উপকারে নাই যার মন, কে বলে মানুষ তারে পশু সেইজন। প্রবাদগুলির পক্ষে উল্লেখিত ব্যক্তিদের ভূমিকা জাতি অবশ্যই স্মরণ করবে। মহান রব্বুল আলামীনের নিকট আপনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
মানুষ মানুষের জন্য। স্বদেশের উপকারে নাই যার মন, কে বলে মানুষ তারে পশু সেইজন। প্রবাদগুলির পক্ষে উল্লেখিত ব্যক্তিদের ভূমিকা জাতি অবশ্যই স্মরণ করবে। মহান রব্বুল আলামীনের নিকট আপনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
Save our Students!Save our College,Varsities and Save our Country.