শেষের পাতা
বিক্ষোভের তথ্য চেয়ে দেশে দেশে সরকারের চিঠি
মিজানুর রহমান
২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্রবারকোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী সৃষ্ট উত্তেজক পরিস্থিতি, ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি, স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ নানা কারণে উদ্বিগ্ন প্রবাসী এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে বিক্ষোভ করছেন তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছে সরকার। বিশ্বের নানা দেশে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস, হাইকমিশন এবং অনাবাসিক মিশনগুলোর মাধ্যমে হোস্ট গভর্মেন্টের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার ওই চিঠি পাঠানোর বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ঢাকায় থাকা বিভিন্ন দেশের মিশন এবং বাংলাদেশ দেখভালকারী দিল্লিস্থ বিভিন্ন দেশের মিশনকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ক’দিনে ঢাকায় কূটনৈতিক ব্রিফিং ছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ৬টি নোট পাঠানো হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকার পরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের কমিউনিকেশনে কোনো ঘাটতি হয়নি। এতদিন আমরা দুনিয়াকে ঘটনাগুলোর বিষয়ে রিপোর্ট করেছি। যাতে তারা তাদের দেশের গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত গুজব এবং অসত্য তথ্যে বিভ্রান্ত না হোন। এবার আমরা তাদের সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা চাই- ওই সব দেশে যে বা যারা বিক্ষোভ করছে তার কারণ এবং মোটিভ সম্পর্কে জানতে। আমরা দেশগুলোর সরকারের কাছ থেকে বিক্ষোভের বিস্তারিত তথ্য পেতে চাই।
বাংলাদেশকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিজেদের ইচ্ছামত মনের মাধুরী মিশিয়ে যা ইচ্ছা তা বুঝিয়েছেন, ধরেই নিলাম সরকার যা বুঝাতে চেয়েছে বিশ্বও তা বুঝেছে। কিন্তু বাংলাদেশ বিশ্বের সাথে পুনরায় যুক্ত হবার পর তারা তো দেখছে কিভাবে বিক্ষোভকারীদের জঘণ্যভাবে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে দমন করা হয়েছে। এখন তো তারা বুঝছে যে আপনারা যা বলেছেন তা একেবারেই সত্যের বিপরীত।
বিদেশি কূটনীতিকদের ঘোল বুঝানো যায় না।
বাংলাদেশে বিদেশী কূটনীতিকেরা সম্ভবত ঘাঁস কাটতে এসেছেন মনেকরে আওয়ামী লীগ।