শেষের পাতা
প্রতিবাদকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘের
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ জুলাই ২০২৪, বুধবারজাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, বাংলাদেশে যে সহিংসতা দেখেছি আমরা, সে বিষয়ে অত্যন্ত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন মহাসচিব। এই সহিংসতায় কমপক্ষে একশ’ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে এক হাজার। আমরা আরও দেখেছি যে, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। প্রতিবাদ বিক্ষোভের ইস্যুগুলোর অন্যতম ছিল এই ইস্যু। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার জন্য প্রতিবাদ বিক্ষোভ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেখেছেন মহাসচিব। তিনি খুব বেশি আশাবাদী যে, এই দুটি সিদ্ধান্তই সংলাপের উপযোগী একটি পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। তিনি সব পক্ষকে সহিংসতা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বিদ্যমান সব মতবিরোধ মিটিয়ে ফেলার জন্য আস্থার সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছার আহ্বান জানিয়েছেন। ডুজাররিক আরও বলেন, সব প্রতিবাদীর সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই আমরা। একই সঙ্গে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানাই, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বিনা বাধায় চর্চা করা যায়। সব রকম সহিংস কর্মকাণ্ড দ্রুততার সঙ্গে, স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং পক্ষপাতহীনভাবে তদন্তের আহ্বান জানাই। এর জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।
স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, বাংলাদেশে গত কয়েকদিনে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সময়ে জাতিসংঘের চিহ্ন সংবলিত যান (ভেহিক্যালস) ও সরঞ্জাম ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে বলে বাংলাদেশের মাঠপর্যায়ে আমাদের সহকর্মীদের কাছ থেকে হতাশাজনক রিপোর্ট দেখেছি। আমাদের জন্য এটা জোর দিয়ে বলা গুরুত্বপূর্ণ যে, জাতিসংঘে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের পাঠানোর মধ্যদিয়ে যেসব দেশ অবদান রাখছে তারা জতিসংঘের চিহ্ন সংবলিত সরঞ্জাম শুধু তখনই ব্যবহার করতে পারে- যখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী অথবা জাতিসংঘের রাজনৈতিক মিশনের অংশ হিসেবে অনুমোদিত কাজ করে। একই সঙ্গে যেকোনো রকম জাতিসংঘ মিশনে মোতায়েনের প্রেক্ষিতে এটা করতে পারে। এর প্রেক্ষিতে আমাদের গুরুতর উদ্বেগ আমাদের সহকর্মীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।