প্রথম পাতা
সংঘাত-সংঘর্ষ
৩০ মামলা গ্রেপ্তার ৬১৬
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা, গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০টি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। এসব মামলায় ৬১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল যাত্রাবাড়ী এলাকার যেসব স্থানে সহিংসতা হয়েছে সেসব এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কমিশনার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক আন্দোলন হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। হাইকোর্টও একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তারা কমপ্লিট শাটডাউন নামে যে কর্মসূচি দিয়েছিলেন সেটি প্রত্যাহার করেছেন। এটি কেবলই ছাত্রদের আন্দোলন ছিল। কিন্তু আমরা দেখছি উল্টো কিছু। ছাত্ররা কী মেট্রোরেল, সেতুভবন, বিটিআরসি ভবনে গিয়ে আগুন দিতে পারে? দেশের সকল মানুষের সঙ্গী এখন ইন্টারনেট। আপনজন সঙ্গে না থাকলেও ইন্টারনেট থাকে। সেই ইন্টারনেট যেখান থেকে পরিচালিত হয় বিটিআরসি’র ডাটা সেন্টার সেটিও পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ অফিস, স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করেছে, গাড়ি পুড়িয়েছে, হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতা চালিয়েছে সেটি নারকীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।
তিনি বলেন, ডিএমপি তার আওতাধীন এলাকার নাগরিকদের সেবা দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। পুলিশের সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও কারফিউ জারি করার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরাও পুলিশকে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু তারপরেও দেখেছেন স্বাধীনতাবিরোধী অপকর্মকারী চক্র সবসময় অমঙ্গল কামনা করে। দেশকে একটি অকার্যকর দেশ ও জাতি হিসেবে পরিণত করতে চায়। তারা যে ধ্বংসকাণ্ড চালিয়েছে সেটির বিপক্ষে পুলিশের তৎপরতা আপনারা দেখেছেন। তারা জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছে। অথচ পুলিশ সদস্যদের হত্যা করার জন্য টাকা দিয়ে মানুষ নিয়োগ করেছে। যে পুলিশকে ছাড়া আমরা একদিনও চলতে পারি না তাদেরই হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশের গাড়ি, স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের সন্তানদেরও নির্যাতন করে হত্যা করা হচ্ছে। ডিএমপি’র পক্ষ থেকে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কমিশনার বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা ও ঢাকা সিলেট-ঢাকা রোডের যাত্রীরা যাত্রীবাড়ী হয়ে সাইনবোর্ড এলাকা দিয়ে বের হন। ঢাকার আশেপাশের জেলার মানুষরাও এই রোড ব্যবহার করেন। এই রোডটা অর্থনৈতিক যোগাযোগের লাইফ লাইন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অথচ দুষ্কৃতকারীরা এটিকে ধ্বংস করার জন্য যে অপতৎপরতা চালিয়েছে আমরা অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সেটি বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারা এখানে অসংখ্য গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। অসংখ্য ভারী জিনিসপত্র এখানে এনে রেখেছে। যেগুলো ক্রেন ছাড়া স্থানান্তর করা সম্ভব হয় না। তাদের এই অপতৎপরতার গভীর নিন্দা জানাচ্ছি। এই রাস্তা চালু করার জন্য জনগণের সহযোগিতা কামনা করছি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে অপতৎপরতা চালানোর জন্য ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই এসেছে। এ সময় কমিশনার একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে সেগুলোতে নাশকতাকারীদের তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানান। এবং গত দুই মাস ধরে যেসব এলাকার বাড়িতে নতুন নতুন ভাড়াটিয়া এসেছেন তাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
পাঠকের মতামত
মামলা গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। গুম হয়ে যাবে হাজার হাজার ছাত্র, সম্ভ্রম হারাবে হাজার হাজার ছাত্রী। হেড লাইন হবে সংবাদ পত্রে ফিরে আসবেনা কেউ।