শেষের পাতা
দুই বিশিষ্ট আইনজীবীর মত
হত্যায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা উচিত
আব্দুল্লাহ-আল-মামুন
২৩ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবারকোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিহত হয়েছে। সারা দেশে কারফিউ চলমান ও ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর যে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক বিচার দাবি এবং একইসঙ্গে আন্দোলনকে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দমন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চরিত্র না বলে মনে করছেন বিশিষ্ট আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর যে গুলিবর্ষণ হচ্ছে এবং যাদের নির্দেশে হচ্ছে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। এখন সরকারের পক্ষ থেকে কোটা নির্ধারণ করা হবে, সেটা যেন সঠিকভাবে হয়।
কয়েকদিন ধরে সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু কেন বন্ধ রাখা হয়েছে সেটা নাগরিকদের জানাতে হবে।’
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা পুনর্বহাল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কোটা রাখা হলেও নারী কোটা রাখা হয়নি।
নারী কোটা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ‘নারীদের জন্য কোটা তুলে দেয়া হয়েছে। সরকারি চাকরিতে নারীদের কোটা অন্তর্ভুক্তি বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে।’
অন্যদিকে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী বা একনায়কতন্ত্রী সরকারগুলো আন্দোলনকে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দমন করতে চায় বা চেষ্টা করে। আলাপ-আলোচনা- সমঝোতা এগুলো হলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চরিত্র। বর্তমানে রাষ্ট্রের চরিত্র ওই অর্থে মোটেও গণতান্ত্রিক না। দেশের পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যে কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী নামিয়ে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে অস্থিরতা দমানোর চেষ্টা করছে। যতদিন সম্ভব সরকার এই পথেই হাঁটবে বলে আমার আশঙ্কা হয়।’