অনলাইন
ঢাবির সব হলের নিয়ন্ত্রণ শিক্ষার্থীদের হাতে, হল ছাড়লো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(৮ মাস আগে) ১৭ জুলাই ২০২৪, বুধবার, ৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:১৯ পূর্বাহ্ন

পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে গতকাল ছয়জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে অধিকাংশই কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। হল থেকে বেরিয়ে গেছে প্রতিটি হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের পরই বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের তিনটি আবাসিক হল-অমর একুশে হল, শহীদুল্লাহ হল ও ফজলুল হক হলের নিয়ন্ত্রণ নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিন থেকেই এই তিন হলে ছাত্রলীগের আর কোনো শীর্ষ নেতা প্রবেশ করতে পারেননি।
গতকাল রাতে রোকেয়া হলে এক ছাত্রলীগ নেত্রীর কক্ষ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় তোপের মুখে হল ছাত্রলীগ সভাপতিসহ সংগঠনটির ১০ নেতাকর্মী হল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে রোকেয়া হলকে রাজনীতি মুক্ত বলে বিজ্ঞপ্তি দেন হলের প্রভোস্ট নিলুফার পারভিন। এর পর কুয়েত মৈত্রী হলেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হলছাড়া করার ঘটনা ঘটে। এরপর মধ্যরাতে লাঠিসোটা নিয়ে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীরা বের হয়ে হলের নিয়ন্ত্রণ নেন। এ সময় হল ছাত্রলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারা হল ত্যাগ করেন। হলগেট বন্ধ করে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ এসে চেষ্টা করেও শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে সরাতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এ হলের প্রভোস্ট জহুরুল হক হলকে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করেন।
ভোর ৫টার পর হলের মূলগেটের সামনে পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাইকে করে এসে ককটেল ছুড়েন। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন হলে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরা। পরে তারা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন ব্লকে থাকা ছাত্রলীগ নেতাদের অন্তত ২০টি কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।
এদিকে মধ্যরাত থেকে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে হাজি মুহাম্মদ মহসিন হল, বঙ্গবন্ধু হল, জসিম উদ্দিন হল, বিজয় একাত্তর হলেও নিয়ন্ত্রণ হারায় ছাত্রলীগ। বিপদ বুঝতে পেরে এসব হল থেকে আগেই নেমে গিয়েছিলেন অধিকাংশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। পরে শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার সময় নেমে যান বাকিরাও।
ওদিকে আজ সকাল আটটার পর বিজয় একাত্তর হলেরও দখলে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা গেটের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। ভেতরে থাকা বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করেন তারা। এই হলে থাকতেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। তালা ভেঙে তার রুমেও হামলা চালায় শিক্ষার্থীরা।
কবি জসিম উদ্দিন হলে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। এ হলের ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুরের একপর্যায়ে এই শীর্ষ ছাত্রলীগ নেতার রুমটিতেও হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ভেঙে ফেলা হয় তার রুমে থাকা আসসবাবপত্র। তার কক্ষে থাকা একটি টিভি ও ফ্রিজ ভেঙে নিচে ফেলে দেয় তারা। সর্বশেষ আজ সকাল ১১টার দিকে ভাঙচুর করা হয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের কক্ষ। স্যার এএফ রহমান হলে তার কক্ষের তালা ভেঙে ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা।
হলগুলো নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর কোটা ও ছাত্রলীগ বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। তাদের প্রত্যাশা, হলগুলো আর কখনো ক্ষমতাসিন ছাত্রলীগের দখলে যাবে না। বন্ধ হবে সব ধরনের গেস্টরুম ও গণরুম কালচার। প্রশাসনিক পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে প্রতিটি হলে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চাপে থাকা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। হলছাড়া অনেক নেতাকর্মী এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। ক্যাম্পাসে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে একচ্ছত্র আধিপত্য থাকা ছাত্রলীগকে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে সেটি চিন্তাই করতে পারছেন না সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
আজ দুপুর দুইটায় শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ মিছিল ডেকেছে কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ'। ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সম্ভাব্য অবনতির আশঙ্কায় প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেক পোস্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিচয় নিশ্চিত হওয়া ছাড়া আছে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না কাউকেই।
পাঠকের মতামত
আলহামদুলিল্লাহ। খবরটা পড়ে মনে শান্তি পেলাম।
Now free D U.....where is Maksud Kamal...Is he guardian of D U!!!!!
অভিনন্দন ছাত্র সমাজকে।
chatra leage should be banned
দেশটাকেও জনগণের দখলে চাই। স্বৈরাচারের পতন হবে শীঘ্রই, সেই আলো দেখতে পাচ্ছি।
সবার আগে ভোটচোর মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
আলহামদুলিল্লাহ ভারতের দালাল মুক্ত
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ। হে আল্লাহ তুমিই সবকিছুর মালিক। ন্যায় পথের পথিকদের ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি করে দাও এবং তাদের প্রত্যেককে হেফাজতে রাখিও।
দেশ নব্য রাজাকার মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ. অভিনন্দন DU
আলহামদুলিল্লাহ।
ছাত্রলীগের এ অবস্হার জন্য ছাত্রলীগই দায়ী। অন্যায় চিরকাল চলতে পারেনা।
আজকের ছাত্রদের দেখে ৫২,৭১ ও ৯০ এর উত্তাল দিনগুলোর কথা কথা আমাদের মনে পরছে। ছাত্রদের রক্ত কখনো বৃথা যায়নি, ভবিষ্যতেও বৃথা যাবে না। ছাত্ররা বিজয় শুধু মাত্র সময়ের ব্যাপার, ইনশাআল্লাহ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কে সারমেয় মুক্ত করায় তোমাদের ধন্যবাদ
অভিন্দন সাধারণ ছাত্রদের আল্লাহ্ মহান
এগিয়ে যাও,আল্লাহ সহায় হউক।
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ। হাজার শুকরিয়া। সাধারন ছাত্রের জয় সুনিচ্শিত।
great,go ahead.
সাবাস শিক্ষার্থী বৃন্দু তোমাদের কে অসংখ্য ধন্যবাদ আন্তরিক মোবারক বাদ। আল্লাহ সহায় হউন।
Congratulations
ছাত্র লীগ মুক্ত ক্যাম্পাস চাই, ওরা ছাত্র নামের কলংক
মহান আল্লাহ ন্যায়ের পথে থাকলে তাদের সাহায্য করেন, আশা করি পরিবর্তন খুবই সন্নিকটে।এই আন্দোলন দেশের সকল মানুষের জন্য।
আলহামদুলিল্লাহ, সাধারণ ছাত্র সমাজ ইচ্ছে করলে সব কিছুই পারে তা আবার প্রমাণিত হল.
অভিনন্দন তোমাদের। বিজয় হোক সত্যের।বিজয় হোক গণতন্ত্রের।
আপনারা আসল দেশ প্রেমিক।
আমার আপনার দেশ ছাত্রলীগ মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
দেশ ও জাতির কল্যাণে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই
Well done, Congratulations.
congratulations all of the students ! any how we need to protest BSL for their illegal activities !
সমাধানযোগ্য বিষয়টিকে এ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। পরামর্শকরা সুচিন্তিত পরামর্শ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ভয় নাই! ভয় নাই!! জয় হবেই!!!
অভিনন্দন ছাত্র সমাজকে
অভিনন্দন ছাত্র সমাজ তোমরাই পারবে এই দেশটাকে ঠিক করতে।
অভিনন্দন ছাত্র সমাজকে
স্যালুট জানাই.....,
Alhamdulilla . অভিনন্দন ছাত্র সমাজকে। :)
শিক্ষা অঙ্গনে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার এখনই সময়। এগিয়ে যাও,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ
অভিনন্দন ছাত্র সমাজকে
অভিনন্দন ছাত্র সমাজকে।
Every action has an equal and opposite reaction
Congratulations
Salut yours.
আলহামদুলিল্লাহ, রাজনীতি মুক্ত পরিবেশ চাই।
অবিস্মরনীয় রাত
অভিনন্দন ছাত্র সমাজকে।