অনলাইন
স্লোগানে উত্তাল শেকৃবি- ছাত্র পরামর্শক বললেন, পাইকারি দরে পানিশমেন্ট হবে
শেকৃবি প্রতিনিধি
(৮ মাস আগে) ১৫ জুলাই ২০২৪, সোমবার, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর উক্তিকে কেন্দ্র করে রাজাকার, রাজাকার স্লোগানে উত্তাল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এর প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ এবং ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন। অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, আজকে যে স্লোগান হয়েছে আগামীতে যদি এমন স্লোগান হয় তবে পাইকারি দরে পানিশমেন্ট এর ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে প্রক্টর জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলের প্রতিবাদ করতে বলেন।
রোববার রাত ১১ টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হল শেখ লুৎফর রহমান হল থেকে মিছিল নিয়ে বের হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘এই বাংলার মাটি-রাজাকারের ঘাটি’, 'শেরেবাংলার মাটি, রাজাকারের ঘাটি','চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার'-ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার চেয়েছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে রাজাকারের বাচ্চা বলে সম্বোধন করেছেন যা শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্যে লজ্জার। সেজন্য আমরা তার এই কথার প্রতিবাদে এত রাতেও রাস্তায় নেমেছি।
মিছিল শেষে ছাত্রলীগের কর্মীবৃন্দ এই স্লোগান ও বিক্ষোভ মিছিলের বিরোধীতা করে এবং এধরণের স্লোগান দিয়ে মিছিল না দেওয়া জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়। পরবর্তীতে জয়বাংলা এবং ডাইরেক্ট একশন স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
পাঠকের মতামত
100% ফরহাদ হোসেন আবিদ আলীর কাছে প্রশ্ন খরিদ করে ছিল .
দেখেন ভাই দেখেন এই প্রক্টর সে কিভাবে একদিকে ঝুকে গেল। এরা কেমন শিক্ষক? তারা ছাত্রদের শ্লোগান টাই দেখল। ছাত্ররা কোন যন্ত্রনা থেকে এই শ্লোগান দিচ্ছে তা তারা বুঝল না? সেখানে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসন থেকে তাদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেওয়া হয় সেটা অপরাধ না, স্লোগন অপরাধ!!! সন্তাদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় অভিভাবক যদি তা বুঝতে না পারে তখন সন্তানরা তো ক্ষুব্ধ হবেই। তুমি শিক্ষক তা না বুঝে তাদের যন্ত্রনা না বুঝে উল্টো সুর গাইলা। তুমি তাদের সান্তনা দিতে পারতা।
ছোট ভাই বোনেরা তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাও। ১% কোটাও থাকবে না কারো জন্য। মেধা দিয়ে জায়গা দখল করে নিতে হবে কিসের কোটা।
এই প্রক্টর বড় বড় কিতাব পড়ে মানুষ হতে পারে নাই অমানুষ ই থেকে গেছে। এই অমানুষের পদত্যাগ করা উচিত।
এই প্রক্টরের বহিষ্কার করার দাবি জানাই।
এটা কখনো একজন শিক্ষকের ভাষা হতে পারে না।এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। এদের মতো শিক্ষকের জন্য ই আজ ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক শিক্ষার অভাব।
ফরহাদ হোসেন আবিদ আলীর কাছে প্রশ্ন খরিদ করে ছিলো কি না তদন্ত হওয়া উচিৎ।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ এবং ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন কি পরিমান কানা হইলে এমন কাজ করতে পারে। এদের জন্য শিক্ষকদের আজ এই অবস্থা।
এই তথাকথিত অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন শিক্ষক নামের অযোগ্য I বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে এরা কোথায় নামিয়েছে?
পাইকারি দরে এই প্রক্টরদের বিরুদ্ধে শ্লোগান হোক।