প্রথম পাতা
অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন ট্রাম্প
মানবজমিন ডেস্ক
১৫ জুলাই ২০২৪, সোমবার
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সামান্য এদিক-ওদিক হলেই গুলি তার মাথায় বিদ্ধ হতো। কিন্তু তা তার ডান কানে বিদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যায়। ভাগ্যক্রমে রক্ষা পান তিনি। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেছিল ২০ বছর বয়সী ম্যাথিউ ক্রুকস। এফবিআই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ট্রাম্পের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে। তার মৃতদেহের কাছ থেকে স্পেশাল বাহিনী উদ্ধার করেছে একটি এআর-১৫ রাইফেল। ধারণা করা হচ্ছে, এটা দিয়েই সে ট্রাম্পকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়েছে। ম্যাথিউ ক্রুকস পেনসিলভ্যানিয়ার বাসিন্দা। সে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত একজন ভোটার। ডনাল্ড ট্রাম্প পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলার এলাকার বাটলার ফার্ম শো গ্রাউন্ডে নির্বাচনী জনসভা করার সময় প্রায় ১৩০ গজ দূরের একটি ভবনের ছাদ থেকে গুলি চালায় ম্যাথিউ ক্রুকস। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় বিশ্বের টেলিভিশন ও অনলাইনের সংবাদ শিরোনাম। নিয়মিত প্রোগ্রাম বাতিল করে ব্রেকিং নিউজ দেয়া শুরু করে তারা। এতে বলা হয়, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্প বক্তব্য দেয়ার কয়েক মিনিট পরেই গুলি চালানো হয়। বেশ কয়েক দফা গুলির শব্দের মধ্যে ট্রাম্প তার বক্তব্য থামিয়ে দিয়ে আকস্মিকভাবে ডানহাত দিয়ে কান চেপে ধরেন। সঙ্গে সঙ্গে ডাকিং বা ডুব দেয়ার ভঙ্গিতে বসে পড়েন। ছুটে যায় সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। তারা গিয়ে ট্রাম্পকে রক্ষা করতে বেষ্টনী তৈরি করেন। ততক্ষণে ট্রাম্পের নিরাপত্তায় থাকা সদস্যরা অন্য একটি ভবনের ছাদ থেকে হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করে। পরে একটি ছাদের উপর তার মৃতদেহ পড়ে আছে দেখা যায়। ততক্ষণে হামলাকারী ম্যাথিউ ক্রুকসের গুলিতে র্যালিতে অংশ নেয়া একজন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে সিক্রেট সার্ভিস, বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা সেখানে সক্রিয় থাকার পর কীভাবে এমন ঘটনা ঘটলো। কেউ কেউ নিরাপত্তা ঘাটতির জন্য সিক্রেট সার্ভিস, বিভিন্ন সংস্থার দিকে আঙ্গুল তুলছেন। চলছে নানা বিশ্লেষণ। ওদিকে যখন এই হামলার ঘটনা ঘটে তখন দেলাওয়ার রাজ্যে নিজের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্প নিরাপদ আছেন এটা জেনে স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি। কাল বিলম্ব না করে এয়ারফোর্স ওয়ানে করে ছুটে যান ওয়াশিংটনে। শনিবার রাতেই তিনি টেলিফোনে কথা বলেন ট্রাম্পের সঙ্গে। সঙ্গে দলমতনির্বিশেষে সবাই এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কমপক্ষে আটটি গুলি ছোড়া হয়েছে। সিক্রেট সার্ভিস হামলাকারীকে হত্যা করেছে। তাকে শনাক্ত করেছে এফবিআই। তার নাম ম্যাথিউ ক্রুকস। কি উদ্দেশ্যে সে এই হামলা চালিয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে তারা।
ওদিকে হামলাস্থল থেকে ট্রাম্পকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি। জানা যায়, তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। রাতের শেষের দিকে সাবেক প্রেসিডেন্টের একজন সহযোগী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিউজার্সিতে অবতরণের পর কোনো সাহায্যকারী ছাড়াই প্রেসিডেন্ট একা বিমান থেকে হেঁটে নামছেন। রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি এবং ট্রাম্পের প্রচারণা টিম বলেছে, মিলওয়াকিতে সোমবার অনুষ্ঠেয় রিপাবলিকান কনভেনশনে যোগ দেয়ার কথা তার। এই কনভেনশন থেকে তাকে এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেয়ার কথা। সিক্রেট সার্ভিস বলেছে, হামলাকারী কাছাকাছি একটি ভবনের ছাদ থেকে এআর-১৫ রাইফেল ব্যবহার করে হামলা করেছে। হামলাকারী একজন শ্বেতাঙ্গ। তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে একসঙ্গে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ার আর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস। জাতীয় পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা সম্পর্কিত ডাটাবেজ ধরে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে তারা। অন্যদিকে তার বাড়ির সন্ধান পেয়ে সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। কীভাবে হামলাকারীকে হত্যা করেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলেনি সিক্রেট সার্ভিস। সে একাই হামলা চালিয়েছে নাকি তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল, তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
বাটলার কাউন্টি শেরিফ মাইকেল টি স্লাপ বলেন, দর্শকদের মধ্যে নিহত ব্যক্তি একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুুরুষ। তিনি সপরিবারে ওই নির্বাচনী র্যালিতে অংশ নিয়েছিলেন। হামলায় তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। গুলিতে আহত অন্য দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হেলিকপ্টারে করে নেয়া হয়েছে পিটার্সবুর্গে অ্যালেগেনি জেনারেল হাসপাতালে।
এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা ও যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে নির্বাচিত সরকারি কর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে আছেন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানও। তারা মনে করছেন এই হামলা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করা হয়েছে এ জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন বাইডেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ রকম সহিংসতার কোনো স্থান নেই। পরে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণা টিম বলেছে, তারা টেলিভিশন থেকে নির্বাচনী বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিয়েছে এই হামলার পরই। হামলার পর তারা রাজনৈতিক সহমত প্রকাশ করার জন্য এ ব্যবস্থা নিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মার্কিনিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই মুহূর্তটিকে ব্যবহার করে রাজনীতিতে শ্রদ্ধা এবং সভ্যতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে। সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন রিপাবলিকান সিনেটর মিস ম্যাকনেল সহ অনেকে। ম্যাকনেল বলেছেন, শান্তিপূর্ণ একটি র্যালিতে নিন্দনীয় হামলার পর ডনাল্ড ট্রাম্প ভালো আছেন এ জন্য সব মার্কিনি কৃতজ্ঞ। ট্রাম্পের জন্য প্রার্থনা জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের সমাজে রাজনৈতিক কোনো রকম সমালোচনার স্থান নেই।
ট্রাম্পকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়: এফবিআই
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বলেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। সন্দেহজনকভাবে এক হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার নাম, পরিচয় জানাতে পারেনি তারা। জানিয়েছে, তার ডিএনএ পরীক্ষা করে তথ্য যাচাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এফবিআই’র পিটার্সবুর্গের ইনচার্জ কেভিন রোজেক বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। এটি এখনো একটি অ্যাকটিভ ক্রাইম সিন। বাটলারে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদেরকে শনাক্ত এবং হামলার উদ্দেশ্য কি তা জানার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। এ জন্য তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে অনুসন্ধানী এজেন্টদের মোতায়েন করা হয়েছে। তথ্য প্রমাণের টিম মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে এজেন্টদের সতর্ক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীকে শনাক্ত করার খুব কাছাকাছি তারা। তবে এ অবস্থায় তার নাম প্রকাশ করছে না। কর্তৃপক্ষ মনে করছে এখন আর কোনো হুমকি নেই। এফবিআই বলেছে, ঘটনাস্থলে বোমা-ক্লিয়ারিং সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে কড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। কেভিন রোজেক বলেন, প্রথমে আমরা সন্দেহজনক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবো। এটাই স্ট্যান্ডার্ড প্রক্রিয়া। এর মধ্যে হামলাকারী কোথায় ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে নিরাপদে অনুসন্ধান চালানোর জন্য স্থানটিকে ঝুঁকিমুক্ত করতে প্রচুর সতর্কতা নেয়া হয়েছে। বোমা সরিয়ে ফেলার জন্য টিম মোতায়েন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীকে শনাক্ত করতে তার বায়োমেট্রিক ও ডিএনএন পরীক্ষা করা হবে। এখন তাকে শনাক্ত করার কাজ চলছে। এর সঙ্গে অন্য কে বা কারা জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন আমরা জানার চেষ্টা করছি কি ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং কতোগুলো গুলি করেছে। তবে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো তথ্য এখনো দেয়নি। পেনসিলভ্যানিয়া রাজ্য পুলিশের লেফটেন্যান্ট কর্নেল জর্জ বিভেন্স কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সে সম্পর্কে কর্মকর্তাদের ভালো ধারণা থাকার কথা। তবে তা এখনো তদন্তাধীন। তদন্ত করা হচ্ছে কীভাবে এই গুলির ঘটনা ঘটলো। বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, একজন অস্ত্রধারীকে একটি ছাদের উপর দেখতে পেয়েছেন। এ সময় তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।
ট্রাম্পকে গুলি করা ক্রুকস রিপাবলিকান দলের ভোটার!
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করা টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস তারই দল রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটার। বিবিসি’র খবর বলছে, ক্রুকস পেনসিলভ্যানিয়ার বেথেল পার্ক এলাকার বাসিন্দা। বাটলার থেকে এই শহরের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। গুলির এ ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা ধরে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে এফবিআই। অনলাইনে তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে যে, হামলাকারী ক্রুকস এ অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের ভোটার। এ সংক্রান্ত নথি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, তার জন্ম ২০০৩ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর। ওই নথি অনুযায়ী, তিনি ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটার। সেই সঙ্গে ভোটার স্ট্যাটাসের ঘরে ক্রুকসকে ‘সক্রিয়’ হিসেবে লেখা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউ ইয়র্ক পোস্ট। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় পেনসিলভ্যানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। তখন নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেয়া শুরু করেন ট্রাম্প। পাশেই কমপক্ষে ১৩০ গজ দূরের একটি ভবনের ছাদ থেকে গুলি করেন ক্রুকস। এর পরপরই ট্রাম্প মঞ্চে বসে পড়েন। তার ডান কান দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ট্রাম্পকে ঘিরে ধরেন এবং দ্রুত গাড়িতে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয় ট্রাম্পকে। সিক্রেট সার্ভিসের স্নাইপাররা গুলি করে হত্যা করেছেন ক্রুকসকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন এআর স্টাইলের একটি রাইফেল। ওদিকে হামলাকারী ক্রুকস সম্পর্কে আরও তথ্য বেরিয়ে আসছে। অনলাইন এনডিটিভি বলছে, তার বসবাস ছিল পেনসিলভ্যানিয়ার বেথেল পার্কে। বেথেল পার্ক হাই স্কুল থেকে ২০২২ সালে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে সে। ওই বছর ন্যাশনাল ম্যাথ অ্যান্ড সায়েন্স ইনিশিয়েটিভে সে ‘স্টার অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে ৫০০ ডলার পুরস্কার পায়। হামলার সময় সে ব্যবহার করেছে এআর-১৫ আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তারা গুলি করার আগে ক্রুকসকে দেখেছিলেন এবং এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছিলেন।
ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে সমর্থকদের ভিড়
নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে সমবেত তার ভক্তরা। শনিবার ডনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করার পর এসব মানুষ ফিফথ এভিনিউয়ে ওই টাওয়ারের কাছে জড়ো হচ্ছিলেন। এর মধ্যে আছেন স্থানীয়রা, পর্যটক, অকাজে ঘুরেফিরে বেড়ানো লোকজন এবং ভক্তরা। তাদের একজন ক্রিস্টিন র্যানডাল (৫৯)। তিনি ম্যানহাটানের বাড়িতে বসে টিভিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জনসভা দেখছিলেন। এরই মধ্যে গুলি হয়। তারপরই তিনি ছুটে যান ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে। বলেন, আমি ভেবেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) মারা গেছেন। ফলে আমি চিৎকার শুরু করি। তারপর যখন দাঁড়াই, তখন দেখি তিনি মারা যাননি। আমি খুব খুশি এখন। ঠিক এরপরেই তিনি ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ হ্যাট খুঁজে নেন। হাতে নেন ‘টেক আমেরিকা ব্যাক’ পতাকা। এভাবেই ছুটে যান ট্রাম্পের ওই ভবনের সামনে। তবে তিনি একা নন।
কর্মকর্তারা ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে প্রবেশপথের বাইরে দেয়ালের মতো নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেন। কাছাকাছি অবস্থান করছিল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা। কমপক্ষে দু’ডজন পর্যটক ছিলেন সেখানে। এমনকি গুলি করার পরেও তারা ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে সেখানে অবস্থান করেন। ওই হামলার সময় কে কোথায় ছিলেন তা নিয়ে আলোচনা করতে থাকেন তারা। এ সময় তারা গাড়ির চালক এবং মোটরসাইকেল চালকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। মোটরসাইকেল চালকরাও হর্ন বাজিয়ে সাড়া দেন। বলেন- আমরা তোমাকে ভালোবাসি, ট্রাম্প। লিন্ডা অ্যানড্রুস (৫১) ট্রাম্প হ্যাট পরে বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন, সারারাত তিনি ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে থাকবেন। তার হাতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা। পরনে লাল টপ।
পাঠকের মতামত
এ সবই সাজানো নাটক । সামনে আরো অনেক নাটক আছে । যুক্ত রাষ্ট্রের নাটাই ইসরাইলের হাতে । ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র কারী ইহুদীদের ট্রাম্প কে বড় প্রয়োজন ।