খেলা
‘পাকিস্তানে এলে ভারতের ভালোবাসা ও আতিথেয়তা ভুলে যাবে কোহলি’
স্পোর্টস ডেস্ক
(১১ মাস আগে) ১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার, ৬:০৩ অপরাহ্ন

পাকিস্তানে বিরাট কোহলির প্রবল জনপ্রিয়তার কথা জানিয়ে তাকে ও ভারত ক্রিকেট দলকে নিজ দেশে আমন্ত্রণ জানালেন শহীদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বললেন, ‘পাকিস্তানে এলে ভারতের ভালোবাসা ও আতিথেয়তা ভুলে যাবে কোহলি।’ প্রায় ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার বিরাট কোহলির। কিন্তু দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাকিস্তানে কখনও যাওয়া হয়নি তার। তবে সেখানকার ক্রিকেট অনুসারীদের মধ্যে কোহলির জনপ্রিয়তা তুমুল বলেই জানালেন শহীদ আফ্রিদি।
রাজনৈতিক বৈরিতায় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সম্পর্ক থমকে আছে বহু বছর ধরে। কোহলির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলির অভিষেক ২০০৮ সালের আগস্টে। ভারত সবশেষ পাকিস্তানে সফর করেছে ২০০৭ সালের শুরুতে। পাকিস্তান সবশেষ ভারত সফরে গিয়েছে ২০১৩ সালে। দুই টি-টোয়েন্টি ও তিন ওয়ানডের ছোট্ট সফর ছিল সেটি। দুই দেশের সবশেষ টেস্ট লড়াই ছিল ২০০৭ সালে। এখন শুধু আইসিসি ও এসিসি’র আসরগুলোতেই দেখা হয় দুই দেশের দ্বৈরথ। তেমনই একটি আইসিসি টুর্নামেন্ট আছে সামনে। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসবে পাকিস্তানে।
খসড়া যে সূচি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ভারতের সব ম্যাচ রাখা হয়েছে লাহোরে। তবে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর, পাকিস্তানে যাওয়ার ইচ্ছা নেই ভারতের। গত এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হলেও ভারত নিজেদের ম্যাচগুলি খেলেছে শ্রীলঙ্কায়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও নিজেদের ম্যাচগুলি তারা শ্রীলঙ্কা বা দুবাইয়ে খেলতে চায় বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে সবশেষ গত মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল, সরকারের নিদের্শনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। সব মিলিয়ে যথারীতি এবারও ভারতের পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা। এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি অনুরোধ করলেন সেই অনিশ্চয়তাই দূর করে দিতে। ক্রিকেটকে রাজনীতির বাইরে রাখার দাবি জানিয়ে সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেন, কোহলির প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসার উষ্ণতায় ভারতীয়দেরকে ছাড়িয়ে যাবে পাকিস্তানের মানুষেরা। শহীদ আফ্রিদি বলেন, “ভারতীয় দলকে স্বাগত জানিয়ে রাখছি। পাকিস্তান যখন সফরে যেত, ভারতে আমরা অনেক সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি। ভারত যখন ২০০৫-০৬ মৌসুমে এখানে সফরে এসেছিল, তাদের সব ক্রিকেটার দারুণ উপভোগ করেছিল।”
আফ্রিদি বলেন, “ক্রিকেটকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত। পাকিস্তান ও ভারতীয় দল একে অপরের দেশে যাচ্ছে এবং ক্রিকেট খেলছে, এর চেয়ে বড় শান্তির বার্তা তো আর হতে পারে না। বিরাট কোহলি যদি পাকিস্তানে আসে, ভারতের ভালোবাসা ও আতিথেয়তা ভুলে যাবে সে। তার জাতই আলাদা। পাকিস্তানে তার জনপ্রিয়তা প্রবল, এখানে লোকে তাকে অনেক পছন্দ করে।”
সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন কোহলি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। এই সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি। ভারতীয় দল পাকিস্তানে গেলে তাই কোহলিকেও পাওয়া যাবে, যদি তিনি ফিট থাকেন। তবে টি-টোয়েন্টি থেকে তার বিদায় নেওয়াও উচিত হয়নি বলে মনে করেন ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী তারকা আফ্রিদি। বলেন, “টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ানো ঠিক হয়নি তার। তাকে নিয়েই এই সংস্করণ সুন্দর, তাই না? সে কেন খেলতে পারবে না? এখনও দারুণ ফিট, ফর্মেও আছে। সবকিছুর বাইরে, সে থাকলে নতুন ছেলেরা তাকে ঘিরে আরও বেশি সাফল্য পেত।”
আফ্রিদি বলেন, “শুধু তরুণ ক্রিকেটারদের দিয়েই সবকিছু সম্ভব নয়। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রণ থাকতে হয়। বিরাট তরুণদেরকে যা শেখাতে পারে, অন্য কেউ তা পারবে বলে আমার মনে হয় না।”