শেষের পাতা
কেন্দুুয়ায় সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাৎ পোস্টমাস্টার বরখাস্ত
কেন্দুুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
১১ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার
সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাৎ ঘটনায় নেত্রকোনার কেন্দুুয়া উপজেলা পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার কেন্দ্রীয় সার্কেলের পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদেশের পরদিনই পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে মধুভূষণ সরকার নামে একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া শাহেদুন্নাহার গত বছরের নভেম্বরে কেন্দুয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে পোস্টমাস্টার হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি নেত্রকোনা জেলা পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন। বরখাস্তের আদেশ বলা হয়েছে পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহার সঞ্চয়পত্রের ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কুপন জালিয়াতিমূলকভাবে এবং বাতিল মুনাফা কুপনে ফ্লুইড ব্যবহারের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি ও সরকারি ডকুমেন্টস ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে ছিঁড়ে ফেলেন। এমনকি ঘটনার তদন্তকালে তদন্ত টিমের কাছে লিখিত বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তদন্তকাজে অসহযোগিতা ও ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন। অসদাচরণ ও আত্মসাতের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ), ধারা ৩৯ (১) ও বিধি ১২(১) অনুযায়ী তাকে (শাহেদুন্নাহার) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহার গত বছরের নভেম্বরে নেত্রকোনা জেলা পোস্ট অফিস থেকে কেন্দুয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে যোগদান করেন। তবে বদলি হওয়ার সময় সদর অফিস থেকে এক নারীর পুরনো সঞ্চয়পত্রের কুপন সঙ্গে নিয়ে যান। যে সঞ্চয়পত্রের টাকা ২০১৭ সালেই ওই নারী তুলে নিয়েছেন। কেন্দুয়ায় গিয়ে ওই ভাঙানো সঞ্চয়পত্রে থাকা লাল কালি দ্বারা ক্রস চিহ্ন ফ্লুইড দিয়ে মুছে ফেলেন শাহেদুন্নাহার। পরে পুনরায় সেই সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল প্রমাণাদি ছিঁড়ে ফেলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ডাক বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রিপন রায়কে প্রধান করে তিন সদস্য তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- ময়মনসিংহ ডাক বিভাগের পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র ধর ও নেত্রকোনার পোস্ট অফিস পরিদর্শক আবু হেনা মোনাসেফ করিম। এদিকে তদন্তকালে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন শাহেদুন্নাহার।
ওই কমিটি তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পায়। তাদের প্রতিবেদন পেয়ে কেন্দ্রীয় সার্কেলের পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদ অভিযুক্ত পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ বিষয়ে জানতে বরখাস্ত হওয়া পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিলে তাতেও তিনি সাড়া দেননি। পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দুুয়া উপজেলা মধুভূষণ সরকার বলেন, ৭ই জুলাই সাময়িক বরখাস্তের আদেশের পত্র জারি হলে ৮ই জুলাইয়ে তাকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত
দেখতে এত সুন্দরী অথচ মনটা অনেক কালো কেনো ?
এতো গল্পের পরেও উনি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সেটা বলা হয়নি বুঝা গেলো পুরাটাই চক্রান্ত ।