অনলাইন
বিবাহবিচ্ছেদ হলে মুসলিম নারীরাও খোরপোশ পাবার যোগ্য, রায় দিলো ভারতের শীর্ষ আদালত
মানবজমিন ডিজিটাল
(১০ মাস আগে) ১০ জুলাই ২০২৪, বুধবার, ৪:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১১ পূর্বাহ্ন

বিবাহবিচ্ছেদ হলে মুসলিম নারীরাও খোরপোশ পাবেন। এমনটাই জানালো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন ও বিচারপতি অগাস্টাইন জর্জ মাসিহর বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছিন্না মুসলিম নারীরা আদালতে খোরপোশের দাবি জানাতে পারবেন। ১০ জুলাইয়ের রায়ে একথা সাফ জানিয়ে দিলো সুপ্রিম কোর্ট। জানা গেছে, এক মুসলিম ব্যক্তি ডিভোর্সের পর স্ত্রীকে খোরপোশ দিতে চাননি। পারিবারিক আদালত তাকে মাসিক খোরপোশ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আবেদনকারী হাইকোর্টে বলেছিলেন যে, মুসলিম পার্সোনাল ল অনুসারে ২০১৭ সালে তাদের ডিভোর্স হয়েছিল। কিন্তু, সেই আর্জি নাকচ করে দিয়ে উচ্চ আদালত জানিয়ে দেয় প্রাক্তন স্ত্রীকে মাসে ১০ হাজার টাকা করে খোরপোশ দিতে হবে এবং পারিবারিক আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্থ হন তেলেঙ্গানার হাইকোর্টের। উচ্চ আদালতও একই রায় দিলে তিনি পিটিশন জমা দেন সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শীর্ষ আদালতেও সেই পিটিশনকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আর এর পরই বিচারপতিরা ফৌজদারি আইনের ১২৫ ধারার উল্লেখ করে একথা জানিয়ে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, খোরপোশের দাবি সমস্ত ধর্মের বিবাহবিচ্ছিন্না নারীরাই জানাতে পারেন। আদালত জানিয়ে দেয়, বিবাহবিচ্ছিন্নাদের অধিকার রক্ষা আইন, ১৯৮৬ অনুসারে মুসলিম নারীদের ধর্মনিরপেক্ষতার চোখে আলাদা করে দেখা যায় না।বেঞ্চ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৫ নম্বর ধারায় যদি কোনও মুসলিম নারী বিবাহবিচ্ছিন্না হয়ে থাকেন তাহলে তিনি খোরপোশ পেতে পারেন। মুসলিম নারী (বিবাহ অধিকার রক্ষা) আইন, ২০১৯-এ এর বন্দোবস্ত আছে। বিচারপতি নাগারত্ন বলেন, 'কিছু স্বামী এটা বুঝতেই পারেন না যে তার স্ত্রী, যিনি গৃহবধূ, তিনি মানসিক ও অন্যান্য দিক থেকে তার উপরে নির্ভরশীল। সময় এসেছে ভারতীয় পুরুষদের গৃহবধূদের ভূমিকা ও আত্মত্যাগকে স্বীকার করার ।'
সূত্র ইকোনোমিক টাইমস