প্রথম পাতা
মতিউরের সম্পদ ক্রোকের প্রস্তুতি
স্টাফ রিপোর্টার
১ জুলাই ২০২৪, সোমবারজাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সম্পদ ক্রোকের পরিকল্পনা রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। তবে পর্যাপ্ত তথ্য পেতে বিলম্ব হওয়ায় সংস্থাটি এখনো তা করতে পারেনি। রোববার সংস্থাটির একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় তিনি ও তার পরিবার তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল অর্থ তুলে নেন। এ ছাড়া বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠজন ও সহযোগীরা খামার থেকে গবাদি পশু সরিয়ে নেয়াসহ নানাভাবে স্থাবর সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা চালান। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দুদক আদালতের আদেশ পেলে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সম্পদ তদন্ত চলাকালেই জব্দ করতে চান। একইসঙ্গে এসব সম্পদ কোনো অপকৌশলে যাতে বেহাত না হয় সেজন্য তা রক্ষণাবেক্ষণে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব তত্ত্বাবধায়ক বা রিসিভার নিয়োগ করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
তবে এসব পরিকল্পনা তখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে যখন বিভিন্ন দপ্তর থেকে চিঠির উত্তর পাওয়া যাবে। অর্থাৎ মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে কি পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তা জানার পরেই আদালতে ক্রোকের আবেদন করবে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধান শুরুর পরপরই মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের তথ্য চেয়ে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), নিবন্ধন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। নিবন্ধন অধিদপ্তরে পাঠানো চিঠিটি এরইমধ্যে দেশের সব রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়া হয়। যেখান থেকে মতিউর ও তার পরিবারের নামে থাকা সম্পদের তথ্যগুলো পাওয়া যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, গত ৪ঠা জুন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি।
তিনি আরও জানান, তথ্যগুলো পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদ নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। পাশাপাশি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী ক্রোকের আবেদন করতে পারবে দুদক।
এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক মানবজমিনকে বলেন, অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া আছে। তিনি তার সুবিধা অনুযায়ী কাজ করছেন। কমিশন অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে স্বাধীনতা দিয়েছে। মতিউর বা যেই হোক কমিশন আইন ও বিধি মোতাবেক কাজ করবে। তাড়াহুড়ো করবে না।
দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর ২৫শে জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মুঠোফোনে আর্থিক সেবার (এমএফএস) হিসাব ও শেয়ারবাজারের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ।
নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে কানিজের আবেদন
রাজস্ব বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় গত ২৪শে জুন। সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন তার স্ত্রী লায়লা কানিজ। রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে এই আবেদন করেন। আদালত আগামী ২৮শে জুলাই এই আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন।
যাদের কাছে চিঠি দিয়েছে তারাও তো আবার ম্যানেজ হয়ে তারপর ফিল্টার করে হিসেব দেবে। এতো তাড়া দিলে হবে !!!!
সম্পদ জব্দ করতে কয়দিন সময় লাগে ? আর এইসব চোরদের দেশ ত্যাগের সুযোগটা দিচ্ছে কেন দূদক ?
এইসব চোরদের কেন এখনো ধরা হচ্ছে না ?
মতিউর কে কেন ধরা হচ্ছে না। কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়...
মতিউর সব বিক্রি করে বাগছে,