প্রথম পাতা
ওয়াশিংটন দূতাবাসে মিলিয়ন ডলার চুরি, তদন্ত ফাইল গায়েব
মিজানুর রহমান
৬ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার![mzamin](uploads/news/main/113126_oa.webp)
রাষ্ট্রদূতের বাসভবন
ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী চক্র। আত্মসাৎ করেছে দূতাবাসের ১ লাখ ৭৬ হাজার ডলারের ইমার্জেন্সি ফান্ড। তাছাড়া দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট থেকে কৌশলে সরানো হয়েছে আরও প্রায় সোয়া ৩ লাখ ডলার। সেই চুরির প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, শুধু সিডর ইমার্জেন্সি ফান্ড বা দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ লোপাট নয়, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন (বাংলাদেশ হাউস) মেরামতেও ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। রাষ্ট্রদূতের রিপোর্ট, পররাষ্ট্র দপ্তরে জমা পড়া অভিযোগ, মানবজমিন প্রতিবেদকের সরজমিন ওয়াশিংটনে অনুসন্ধান, হাতে আসা নথি এবং সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপে অভিযোগগুলোর সত্যতা মিলেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সময়ে দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না।
জানা গেছে, সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি লাগয়ো মেরিল্যান্ডে বেথেসডা হাইবরো এলাকায় থাকা বাংলাদেশ হাউস নির্মাণে। বাড়ির জমিসহ বাজারমূল্য (রিয়েলটর প্রতিষ্ঠান রেডফিন ও জিলোর তথ্য) ৪.২৩ মিলিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ৫.১ মিলিয়ন ডলার। বাড়িটি মেরামতেই (কাঠামোগত সংস্কার এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনে) বিল দেখানো হয়েছে ৬ মিলিয়ন ডলার। ৬০ কোটি টাকায় সংস্কার করা বাড়িতে এতটাই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে যে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বাড়িটি উদ্বোধনের কয়েক মাস পর ছাদে ফাটল ধরেছে। সামান্য বরফ জমলে বা ঝড়বৃষ্টিতে ঘরের বিভিন্ন অংশে পানি প্রবেশ করে। ওই বাড়িতে রাষ্ট্রদূত, তার পরিবার এবং ব্যক্তিগত কর্মচারীরা বসবাস করলেও মান-সম্মান হারানোর ভয়ে কূটনৈতিক পার্টির আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি সরজমিন দেখে দ্রুত পুনঃসংস্কারের ব্যবস্থা নিতে ঢাকায় দফায় দফায় আর্জি জানাচ্ছেন বর্তমান রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ। ওয়াশিংটনে সিস্টেমেটিক দুর্নীতি নিয়ে রহস্যজনক কারণে শুরু থেকেই লুকোচুরি চলছে। ওয়াশিংটন মিশনের ১ লাখ ৪৬ হাজার ডলার গেল কই? এই শিরোনামে ঘটনার অংশবিশেষ তুলে ধরে গত বছরের মার্চে মানবজমিন একটি রিপোর্ট করেছিল। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি তদন্তে তখন ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নাম প্রস্তাব করে একটি ফাইল উঠেছিল। কিন্তু আজ অবধি তদন্তটি হয়নি।
ওয়াকিবহাল সূত্রের দাবি, ওয়াশিংটনের পুকুর চুরির বিস্তৃত তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন অবধি ফাইলটি উঠেছিল। মন্ত্রী বদল হয়েছে, কিন্তু আজও নামেনি ফাইলটি। এটি রহস্যজনক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকের তথ্য, দূতাবাসের অর্থ গেছে ক্যাসিনোতে: ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ডরমেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে বেহাত হওয়া কয়েক লাখ ডলারের (ইমার্জেন্সি তহবিল) একটি বড় অংশ ক্যাসিনোতে গেছে বলে দূতাবাসকে জানিয়েছে আমেরিকান সিটি ব্যাংক। তারা এর প্রমাণ হিসাবে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার এটিএম কার্ডের বিস্তারিত শেয়ার করেছে। আচমকা দূতাবাসের ডরমেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন এবং কয়েক মাসের ব্যবধানে অ্যাকাউন্টটি খালি করার বিষয়টি সন্দেহজনক ঠেকে আমেরিকান সিটি ব্যাংকের ম্যানেজার (ভাইস প্রেসিডেন্ট) সাচা খানের কাছে। তিনি চিঠি দিয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করেন। মানবজমিনের হাতে আসা ডকুমেন্ট বলছে, ওয়াশিংটনে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনকারী রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিনের বিদায় এবং পরবর্তী রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণের মুহূর্তে (ট্রানজিশন পিরিয়ডে) অ্যাকাউটটি খালি করার ঘটনা ঘটে। তখন দূতাবাসের তৎকালীন হেড অব চ্যান্সারি (ডিডিও’র বাড়তি দায়িত্ব) ছিলেন ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম। তার স্বাক্ষরে ব্যাংকের হিসাবটি ক্লোজ করা হয়। ২০২১ সালের মার্চে অ্যাকাউন্টটি ক্লোজ হলেও তা নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ দূর না হওয়ায় পরবর্তীতেও দূতাবাসের সঙ্গে চিঠি চালাচালি চলতে থাকে। ওয়াশিংটন দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানাজানির পর রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু বিষয়টি যাতে কোনো অবস্থাতেই গণমাধ্যমে প্রকাশ না পায় এজন্য অফিসারদের নিয়মিত বিরতিতে ডেকে ব্রিফ করে সম্ভাব্য সব ছিদ্র বন্ধ করা হয়। অনেকটা নীরবেই তথ্যানুসন্ধান শুরু হয় এবং ঘটনার সত্যতা পায় সরকার। দায়িত্বশীলরা জানান, কী অজুহাত দেখিয়ে মোটা অঙ্কের ওই অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে, এর ব্যয় কীভাবে দেখানো হয়েছে? অর্থ উত্তোলনের প্রক্রিয়া এবং কার কার মধ্যে এটি ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে তা-ও তখন খোঁজা হয়। কিন্তু ততক্ষণে একটি পক্ষ তৎপর হয়ে উঠে সেই অনুসন্ধান বন্ধ করতে।
২০২১ সালের ১০ই ডিসেম্বর র্যাবের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারির প্রেক্ষিতে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হলে তৎকালীন রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়। সঙ্গত কারণেই অর্থ লুটের বিষয়টি তখন ছাইছাপা পড়ে যায়। স্মরণ করা যায়, যেকোনো দূতাবাসের আয়-ব্যয়ে একটি অ্যাকাউন্ট থাকে। যাকে মাদার বা মূল অ্যাকাউন্ট বলা হয়। সরকারের অনুমতি নিয়ে বাড়তি অ্যাকাউন্ট খোলা বা বন্ধ করতে হয়। ‘সেভিংস ফর ইমার্জেন্সি’ ছিল ওয়াশিংটন মিশনের স্বতন্ত্র অ্যাকাউন্ট। যার নাম্বার ছিল সিটি বিজনেস আইএমএমএ-১৫২৮৩৩২১। সূত্রমতে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর ইমার্জেন্সি ওই হিসাব খোলা হয়েছিল। শুরুতেই এতে জমা হয়েছিল বেশ অর্থ। কিন্তু অনেক দিন এতে লেনদেন না হওয়ায় অ্যাকাউন্টটি ‘ডরমেন্ট’ অবস্থায় চলে যায়।
নির্মাণ ব্যয় থার্ড পার্টি দিয়ে নিরীক্ষার চেষ্টা সফল হয়নি: রাষ্ট্রদূতের বাড়িটির নির্মাণকাজে কতোটা অনিয়ম হয়েছে তা বুঝতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিরীক্ষার চেষ্টা করেছিলেন একজন রাষ্ট্রদূত। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির চাপে এনিয়ে তিনি বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেননি। স্থানীয় রিয়েলটরদের বিবেচনায় বাংলাদেশ হাউসে যে নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে তার ব্যয় কোনো অবস্থাতেই ৩ মিলিয়নের বেশি হওয়ার কথা নয়। স্মরণ করা যায়, জমির পরিমাণ, বিদ্যমান অবকাঠামো এবং ইন্টেরিয়র বিচেনায় বিভিন্ন রিয়েলটর প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাড়িগুলোর ইভালুয়েশন করে দাম নির্ধারণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম রিয়েলটর প্রতিষ্ঠান জিলো তাদের ওয়েবসাইটে 4 Highboro Ct, Bethesda, MD 20817, USA (বাংলাদেশ হাউস) বাড়িটির জমিসহ মূল্য দেখিয়েছে ৫.১ মিলিয়ন ডলার। অন্য প্রতিষ্ঠান রেডফিন পুনর্নির্মাণকৃত ওই বাড়িটির জমিসহ মূল্য দেখিয়েছে ৪.২৩ মিলিয়ন ডলার।
তদন্ত ফাইল গায়েব এবং...: ওয়াশিংটনে চুরির তদন্তের ফাইল গায়েবের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রশাসন অনুবিভাগ। দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন, ফাইলটি গায়েব নয় বরং এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। গত বছরে নেয়া তদন্তের নীতিগত সিদ্ধান্ত এখনো বহাল রয়েছে জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনের আগে ফাইলটি উঠেছিলো বলে তা এখন অনেকটাই অকার্যকর। মন্ত্রী পদে পরিবর্তনসহ নানা কারণে পূর্বের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি নতুনভাবে উপস্থাপন করে তার মতামত নিয়েই স্পর্শকাতর ওই ঘটনার তদন্ত করতে হবে, এটাই সঙ্গত। বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আবদুল মোমেন মানবজমিনের সঙ্গে আলাপে বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এডিমিরাল (অব.) খুরশেদ আলমকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনে প্রস্তাব করেছিলাম। যদিও পররাষ্ট্র সচিবের প্রস্তাব ছিল নিউ ইয়র্কস্থ জাতিংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ মুহিতকে প্রধান করার। তদন্ত কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধিকেও রাখা হয়েছিল জানিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটন মিশনের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার চুরির তথ্য পাই। সেইসঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বাড়ি নির্মাণ প্রকল্পে মিলিয়ন ডলার দুর্নীতির তথ্য আসে। বিদায়ের আগে অনেক কাজ হলো কিন্তু দুর্ভাগ্য, চুরির তদন্তটি শুরু করে আসতে পারিনি। তিনি বলেন, আউটসাইডার হলেও এডমিরাল খুরশেদ আলম পররাষ্ট্রে বহু জটিল তদন্ত করেছেন এবং এসব কাজে তিনি দক্ষ। ড. মোমেন মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া এই তদন্ত বেশিদূর অগ্রসর হবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার মানবজমিনকে জানান, ওয়াশিংটনের ঘটনার ব্যাপারে এখনো তিনি অবহিত নন। গত ৫ মাসে বিষয়টি মন্ত্রীর নোটিশে আনা হয়নি বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন। মানবজমিন’র লিখিত প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) মীর আকরাম উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ওয়াশিংটনের তহবিল তছরুপ বিষয়ে মন্ত্রী অবহিত নন। তিনি এখন হয়তো খোঁজখবর নেবেন এবং আশা করি এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন।
পাঠকের মতামত
মতামত দিয়ে কেস খাবো ভাই ??
লিখতে মন চায় না। যা লিখেছিলাম তা-ও মুছে দিচ্ছি।
দূর্নীতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে রপ্তানি হয়েছে ।
চারিদিকে চলছে হরিলুট।সবচেয়ে বড় কথা এদেশটাই চুরি হয়ে গেসে সেই ৫ই জানুয়ারি,৩০শে ডিসেম্বর,সর্বশেষ ৭ই জানুয়ারি জানাজা...।
শিক্ষিত হওয়া এক কথা আর নীতি, আদর্শবান, সৎ হওয়া আরেক কথা। যারা জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করছে, চুরি করছে, দুর্নীতি করছে, সুদ, ঘুষ খাচ্ছে, অধিকার হরণ করছে, করে চলছে তারা তো শিক্ষিত। কিন্তু আদর্শবান নয়। বরং চোর। তাহলে আমরা সাধারণ জনগণ নির্ধিধায় বলতে পারি যে ওরা চোর। ওরা যতই শিক্ষিত হওয়ার দাবি করুক, তারা সুশিক্ষা পায় নাই। বরং তারা চোর। আমরা এটা জোর গলায় বলতে পারি, বলবো যে তুই চোর, তুই হারাম খোর।
চুরি-তন্ত্র আর গুন্ডা-তন্ত্রে এগুলা কোন ব্যাপার নয়। যে দেশের জনগণের ভোট চুরি হয়ে যায়, সে দেশের জনগণের অর্থ চুরি কোন ব্যাপার নয়। যারা সৎ কথা বলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, আদর্শের কথা বলে, দ্বীন ধর্মের কথা বলে তাদের ধরে খাঁচায় বন্দি করা হয়। আর যারা জনগণের অধিকার হরণ করে, জনগণের অর্থ চুরি করে, ভোট চুরি করে তারা বীর দর্পে চলে। যে দেশে মানুষ পিটিয়ে হত্যা করা হয়, লাশের উপর নৃত্য করা হয়, ধর্ষণে সেঞ্চুরি করা যায়, সে দেশে এগুলা কোন ব্যাপার না। যে দেশে আজিজ বেনজিরের মতো লোক তৈরী হয় সেদেশে জনগণের হয়রানি হবে না তো কি হবে? যে দেশে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। যে দেশে সৎ বিচারককে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয় সে দেশে পুকুর চুরি, সাগর চুরি হবে না তো কি হবে? এটাই সোনার বাংলা। জানিনা সেটা কোন সোনা?
জয় বাংলা। এইসব বিএনপি জামাতের অপপ্রচার যারা সাম্প্রদায়িক ও চেতনাহীন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। আজিজ বেনজীর ও কিন্তু অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী পক্ষের শক্তি। দেশপ্রেমিক ও অত্যন্ত ভালো লোক ছিলেন। তাইতো অনেক পদ পদবি ও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। জয় বাংলা।
হরিলুট!!!
'জয় বাংলা' বাংলারজয়,হবে হবে হবে---, হবে নিশ্চয়। কোটি চোর একসাথে, লেগে গেছে লুটপাটে, 'ইন্না লিল্লাহ'-পড়ার এইতো সময়।
পরিবার হতে ছোট বেলায় হারাম-হালাল, ধর্মীয়-নৈতিক শিক্ষা কয়জন শিশুর ভাগ্যে জোটে? মা-বাবার সে সময় আছে? প্রাথমিক-মাধ্যমিকের বইতে চরিত্র গঠনমূলক আগেকার সেই কবিতা, ছড়া, গল্প, বাগধারা, ভাব সম্প্রসারণ এখন কি আছে? এখন চারিদিকে যা চলছে তা এরি ফলশ্রুতি। মনে রাখা দরকার- ”কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস”।
রোমস্হ বাংলাদেশ দূতাবাস খরিদেও মিলিয়ন ইউরোর হরিলুট করেছে প্রাক্তন কর্ম কর্তা সহ রোমের স্হানীয় লীগ বাটপারেরা এতে জড়িত। কে কার তদন্ত করবে সব হরিলুটের দলে!
সর্বাংগে ব্যথা ঔষধ দেবে কোথা।
বলা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে সুবর্ণ সময় চলতেছে চোর আর দূর্ণীতিবাজদের। এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়নের বয়ান দিয়ে চুরি আর দূর্ণীতি না হচ্ছে। দেশটা আজ চোরদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে
সবাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি!!!
বিদেশের দুতাবাসে নিয়োগের আগে বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তাদের পারিবারিক ও চরিত্রগত ছাড়পত্র এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর নিজস্ব গোয়েন্দা বাহিনী, এনএসআই, র্যাব, পুলিশের বিশেষ শাখার সাহা্য্যে আলাদা আলাদা গোপনীয় রিপোর্টের ভিত্তিতে চুড়ান্ত করে বিবেচনা করা উচিত কারন ত্রতে দেশের সন্মান জড়িত।
সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব আবদুল মোমেন বলিলেন পুকুর চুরি বা তহবিল তছরুপের ঘটনা তদন্তের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাহিয়াছেন,এতে সহজে বুঝা যাচ্ছে চোরের ঘোস্টিরা কতটা পাওয়ারপুল বা শক্তিশালী।
তুমিও খাও আমিও খাই যেভাবে খাওয়া যায় দেশটা চলছে এমনি যে যাই বলুক এখন আর লজ্জা শরম নাই! চোর দিয়ে কখনও চুরি বন্ধ করা যায়? চোরে যদি বলে চুরি বন্ধ করে দাও চোরকে বলভে বেটা তুমিওতো আসছো চুরি করে?
আমরা প্রজার মতো শুধু দেখবো সবকিছু লোটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে।
এদেশের সবই কি চোর। দেশের কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে এদেরকে বিদেশে পাঠানো হয় বিশেষ কাজে। অথচ সেখানেও চুরি। অসভ্যতারও একটা লিমিট থাকে।
জয়বাংলা।
রাঘব বোয়াল থেকে চুনোপুঁটি এই সরকারের সব চোর। যে যেভাবে পারছে হরিলুট করছে।
মাথায় পচন ধরলে শরীরের বাকি অংশকে আর রক্ষা করা যায় না । দেশের মাথায় ঘা হয়েছে পচন ধরাও শুরু হয়েছে ... ...
এইগুলো খতিয়ে দেখা হবে। এবং এই খতিয়ে দেখার ঘোষণা পর্যন্তই শেষ। কত দেখলাম!
কোথায় নেই লুটপাট,, এখন সাত সমুদ্রের উপারে গিয়েও লুটেপুটে খাচ্ছে
এমন ঐতিহাসিক ঘটনার জন্য জাতি গর্ভ বোধ (ধারন) করে। সামনে এগিয়ে যান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদুতের সহযোগিতা ছাড়া এধরণের চুরি-জালিয়াতে করা সম্ভব না আমেরিকাতে।
ছি:! ছি:! ছি:!....... এর পরেও আমি বেঁচে আছি কেনো? আদৌও বেঁচে আছি তো। অনুভূতি গুলো সব ভোঁতা হয়ে গেলো। আমি আমার নিজের মৃত্যুদন্ডের দাবী তুলতে চাই। হায়রে সোনার বাংলা মা, তোমার সন্তানেরা এতো খারাপ। তুমি তো জা...গর্ভা।
ঢেকি সবরগে গেলেও ধান ভাঙে
চোরদের হাত এত লম্বা যে ঢাকা (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত পৌছে গেছে?
বাংলাদেশর সম্পদ যা আছে সব লুটপাট করে খেয়ে ফেলছে আওয়ামী লীগ
আশ্চর্যজনক ব্যাপার! দেশে ক্ষমতায় আছে কারা! উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সব চোর!!! মনে হচ্ছে ঠগীরা ক্ষমতা দখল করেছে !!!
আমেরিকাতেও এটা হয়? আমেরিকাতেও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী পাওয়া যায়?
Ata niccoi B n p jamater kaj.
এখন দেশ ছেরে বিদেশে দুক্ষজনক
চোরের বংশধর যতই শিক্ষিত হোক BCS পাশ করুক চোর ই থাকবে । দূতাবাসের সবাই তো উচ্চ শিক্ষিত !
It was a pukur churi ? Er bichar ki hobe ?
দেশ আছে কোথায়?
চোরা'রা করবে চুরির তদন্ত = 0 ফলাফল বিগ জিরো.
হায় মাবুদ! শুধু যায় যায়!
শুধু ওয়াশিংটন দূতাবাস নয়.. লস অ্যাঞ্জেলেস বাংলাদেশ দূতাবাস নিজস্ব বাড়ী কেনার সময় ব্যাপক হরিলুট হয়েছে। জানা যায় ৪/৫ লাখ ডলারের এই বাড়িটি তারা ১৪/১৫ লাখ ডলার দাম দেখিয়ে কিনেছেন! শুধু কী তাই..! ডেকোরেশন বাবদ আরও ৩/৪ লক্ষ ডলার চুরি করেছে তারা!
To much advertising, screen constantly flicking make too difficult to read. Prothom alo/daily nay diganta also has add but mzamin add make too difficult to read the news. It's simply disgusting
বাহ বাহ! আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছি! কী ভালো খবর, খুশির খবর!
দেশ কী চোর-ডাকাত মুক্ত হবে না? চোর-ডাকাতরা বিদেশীদেরও সাথে নিয়ে দেশের টাকা লুটে নিয়ে যাচ্ছে।
Another movie/drama is coming to town!
জয়বাংলা বাংলার জয়